লিপস্টিক কেনাকাটা
প্রাচীন যুগ থেকে আধুনিক সভ্যতার সাজসজ্জার উপাদান হিসেবে লিপস্টিক অন্যতম। লিপস্টিক ঠোঁটকে রঙ্গিন করার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। আবার, অনেক লিপস্টিকে ভিটামিন উপাদান থাকে যা ঠোঁটকে রঙ্গিন করার পাশাপাশি শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে।
কোন কোন ধরনের লিপস্টিক বাংলাদেশে পাওয়া যায়?
বাংলাদেশী নারীদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার লিপস্টিক বাজারে বিভিন্ন সাইজ, কোয়ালিটি, ও কালারের পাওয়া যায়। আর কিছু লিপিস্টিক সেট পাওয়া যায় যেগুলোতে বিভিন্ন কালারের লিপস্টিক থাকে এবং দামেও বেশ কম হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে বহুল ব্যবহারকৃত লিপস্টিকগুলো হলঃ
ম্যাট লিপস্টিকঃ বাংলাদেশের বেশিরভাগ নারীরা ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করে। ম্যাট লিপস্টিক সকলের কাছেই পরিচিত। এই লিপস্টিকগুলো সাধারণ ঢাকনা থাকে যা খুলে নিচের অংশ ঘোরালে লিপস্টিক বেড়িয়ে আসে বিধায় সহজেই সাজসজ্জার ব্যবহার করা যায়। তবে এই লিপস্টিকে তেল কম ব্যবহার হয় বিধায় সহজেই ফেটে যায়।
লিকুইড লিপস্টিকঃ লিকুইড লিপস্টিক গুলো তুলনামূলক বেশি সময় স্থায়ী হয় বিধায় বাংলাদেশের সর্বস্তরের নারীদের নিকট এটি জনপ্রিয়। এই লিপস্টিকগুলো তরল পদার্থের হয়ে থাকে এবং আলাদা ব্রাশের মাধ্যমে ঠোঁটে ব্যবহার করতে হয়।
পাউডার লিপস্টিকঃ পাউডার লিপস্টিকগুলো স্ট্যান্ডার্ড লিপস্টিক ও লিকুইড লিপস্টিক এর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়।
লিপ জেলঃ সাধারণত লিপ জেল লিপস্টিক হিসেবে পরিচিত না। কিন্তু লিপ জেলও এক প্রকার লিপস্টিক যা ঠোঁটে লিপস্টিকের ন্যায় ব্যবহার করা হয়। লিপ জেলে তেল, পেট্রোলিয়াম জেলি থাকে বিধায় ঠোঁটকে যেকোন পরিবেশে শুষ্কতা হতে রক্ষা করে। বর্তমানে কালারফুল লিপ জেলেরও ব্যবহার দেখা যায়। তবে, লিপ জেলের কালার বেশি গাড় না হয়ে হালকা কালারের হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে লিপস্টিকের দাম কত?
বাংলাদেশে বহুল ব্যবহারকৃত লিপস্টিকগুলোর সাইজ, পরিমাণ, কোয়ালিটি, ও কালারের ভিত্তিতে দামের তারতম্য দেখা যায়। বাংলাদেশে ৫০ টাকা থেকে ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত লিপস্টিক পাওয়া যায়। আবার, লিকুইড লিপস্টিক গুলোর দাম ২০০ টাকা থেকে ৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও পাউডার লিপস্টিক গুলো ২০০ টাকে থেকে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। লিপজেল গুলো ২০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।