লাইটেনিং এরেস্টার কেনাকাটা
লাইটনিং অ্যারেস্টার মূলত বজ্রপাতের উচ্চ-ভোল্টেজের বিরুদ্ধে বৈদ্যুতিক যন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা বিদ্যুৎ যেখানে থাকবে সেখানে বজ্রপাতের হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে যায়। আর, বজ্রপাতের উচ্চ-ভোল্টেজ ইলেকট্রিক ডিভাইসকে সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট করে ফেলে এবং দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই, বজ্রপাত থেকে ইলেকট্রিক ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে লাইটনিং অ্যারেস্টার ব্যবহার করা উচিত। লাইটনিং অ্যারেস্টার সাধারণত থান্ডার অ্যারেস্টার নামেও পরিচিত। বর্তমানে, বাংলাদেশে প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ধরণের ও গুণমান সম্পন্ন লাইটনিং অ্যারেস্টার পাওয়া যায়।
লাইটনিং অ্যারেস্টার কোথায় ব্যবহার করা হয়?
লাইটনিং অ্যারেস্টার সাধারণত যে সকল স্থানে ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করা হয় সেখানে সেটআপ করা উচিত। ফলে, অনাকাঙ্ক্ষিত বজ্রপাতের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। বিশেষ করে ট্রান্সফরমার এবং ট্রান্সমিশন লাইন এর মত বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সাথে লাইটনিং অ্যারেস্টার অধিক হারে ব্যবহার করা হয় কেননা এই ডিভাইস গুলোতে বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এছাড়া, দালান-কোঠা বা ছোট বাড়ি যেখানে ইলেকট্রিসিটি আছে সেখানে লাইটনিং অ্যারেস্টার ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।
লাইটনিং অ্যারেস্টার কিভাবে কাজ করে?
লাইটনিং অ্যারেস্টার সিস্টেম খুব সহজেই বজ্রপাতের উচ্চ-ভোল্টেজকে মাটিতে স্থানান্তর করতে পারে। লাইটনিং অ্যারেস্টার সিস্টেমের একটি ডিভাইস আকাশের দিকে মুখ করানো থাকে যা বজ্রপাতকে আকর্ষিত করে যা এয়ার টার্মিনাল নামেও পরিচিত। এবং তা আর্থিং ইলেকট্রোড এর মাধ্যমে গ্রাউন্ড টার্মিনালের সাথে যুক্ত থাকে বিধায় বজ্রপাতের সম্পূর্ণ উচ্চ-ভোল্টেজকে মাটিতে স্থানান্তর করতে পারে। ফলে, বজ্রপাতের কারণে কোন ইলেকট্রিক ডিভাইসের ক্ষতি হয় না বরং দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
লাইটনিং অ্যারেস্টার কেনার আগে কি বিবেচনা করতে হবে?
লাইটনিং অ্যারেস্টার কেনার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করতে হবেঃ
১। প্রয়োজনীয়তা ও বাজেট অনুসারে লাইটনিং অ্যারেস্টার নির্বাচন করা উচিত।
২। বাংলাদেশের যেসব অঞ্চলে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে সেসব অঞ্চলে উন্নত মানের লাইটনিং অ্যারেস্টার ব্যবহার করা উচিত।
৩। যদি কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র যেমন ট্রান্সফরমার, ট্রান্সমিশন লাইন, মোটর, জেনারেটর সাথে লাইটনিং অ্যারেস্টার ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেই অনুযায়ী উপযুক্ত লাইটনিং অ্যারেস্টার নির্বাচন করতে হবে।
৪। লাইটনিং অ্যারেস্টারের নির্ভরযোগ্যতার বিবেচনায় তা নির্বাচন করা উচিত।
৫। লাইটনিং অ্যারেস্টার কেনার আগে অবশ্যই এর গুণমান বিবেচনা করতে হবে।
বাংলাদেশে লাইটনিং অ্যারেস্টারের দাম কত?
বর্তমানে, লাইটনিং অ্যারেস্টারের দাম এর ধরণ, সাইজ, গুণমান, ইত্যাদির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে লাইটনিং অ্যারেস্টারের দাম ৭,০০০ টাকা থেকে শুরু যা হলো লাইটনিং অ্যারেস্টারের সম্পূর্ণ সিস্টেম সেটআপ। এবং, উন্নত কোয়ালিটির লাইটনিং অ্যারেস্টারের দাম ১,৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়। তাছাড়া, প্রয়োজন অনুসারে লাইটিনিং অ্যারেস্টার এর পার্টস এবং লাইটনিং অ্যারেস্টারের সম্পূর্ণ সেটআপ বিডিস্টল থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে সংগ্রহ করা যাবে।