এলইডি Light কেনাকাটা
এলইডি লাইট এর সম্পূর্ণ রূপ হলো লাইট এমিটিং ডায়োড। বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী অফিস, বাসা বাড়ি, এবং যেকোনো বদ্ধ রুমকে আলোকিত করার জন্য এলইডি লাইট ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, রাস্তা, পার্কিং গ্যারেজ, ওয়াকওয়ে এবং অন্যান্য আউটডোর এলাকা আলোকিত করার জন্য এলইডি লাইট ব্যবহার করা হয়। এলইডি লাইট ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক আলো পাওয়া যায় এবং তুলনামূলক শক্তি সাশ্রয়ী হয়ে থাকে বিধায় বিশ্বব্যাপী এলইডি লাইট ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে, ফিলিপস ও ওয়ালটন সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এলইডি লাইট বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে কয় ধরনের এলইডি লাইট পাওয়া যায়?
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের, সাইজের, এবং ডিজাইনের এলইডি লাইট পাওয়া যায়। এলইডি লাইটের ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
এলইডি টিউব লাইটঃ এলইডি টিউব লাইট সাধারণত ছোট ছোট এলিডি লাইট দ্বারা তৈরি লম্বা এবং লিনিয়ার ল্যাম্প ডিজাইনে তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে এলইডি টিউব লাইট সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে পোশাক কারখানা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এলইডি টিউব লাইট অধিক ব্যবহার করা হয়।
এলইডি বাল্বঃ এলইডি বাল্ব দেখতে সাদা রঙের গোলাকার আকৃতির হয়ে থাকে। এলইডি বাল্ব সাধারণ বাল্ব থেকে ৯০ শতাংশ শক্তি সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। এবং, বর্তমানে তুলনামূলক কমদামে বাংলাদেশের সর্বত্র বিভিন্ন সাইজের এলইডি বাল্ব পাওয়া যায়।
এলইডি স্পটলাইটঃ কোন নির্দিষ্ট জায়গায় সম্পূর্ণ আলো বিকিরণ করার জন্য এলইডি স্পট লাইট ব্যবহার করা হয়। এলইডি স্পট লাইট নির্দিষ্ট এক জায়গায় আলো বিকিরণ করে বিধায় সেই জায়গা আলাদা ভাবে চিহ্নিত হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট স্থান আলাদা ভাবে আলোকিত করে চিহ্নিত করার জন্য স্পট লাইট ব্যবহার করা হয়।
এলইডি হ্যালোজেন লাইটঃ এলইডি লাইটের মধ্যে এলইডি হ্যালোজেন লাইট সবচেয়ে বেশী আলো বিকিরণ করতে পারে। এলইডি হ্যালোজেন লাইট আকারে তুলনামূলক বড় হয়ে থাকে এবং দামও তুলনামূলক বেশি। এলইডি হ্যালোজেন লাইট সাধারণত অন্ধকারে কন্ট্রাকশন কাজ সহ বিভিন্ন কাজ করতে বেশি ব্যবহার করা হয়। এমনকি রাতে খেলার স্টেডিয়াম আলোকিত করার জন্য বৃহৎ আকৃতির এলইডি হ্যালোজেন লাইট ব্যবহার করা হয়।
এলইডি স্ট্রিট লাইটঃ রাতের অন্ধকারে রাস্তা ও সেতুতে চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তা ও সেতুতে ল্যাম্প পোস্টের সাহায্যে এলইডি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়। প্রয়োজন অনুসারে ছোট ও বড় বিভিন্ন সাইজের এলইডি স্ট্রিট লাইট বাংলাদেশে রাস্তায় ও সেতুগুলোতে স্থাপন করা হয়।
এছাড়াও, কালারফুল এলইডি লাইট, এলইডি টর্চ লাইট, এবং ইত্যাদি ধরনের এলইডি লাইট বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে এলইডি লাইটের দাম কত?
এলইডি লাইটের দাম এর ব্র্যান্ড, ধরণ, সাইজ, এবং কোয়ালিটির ভিত্তিতে তারতম্য হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এলইডি লাইটের দাম ১০০ টাকা থেকে শুরু যা একটি সাধারন এলইডি বাল্ব। এছাড়া, এলইডি টিউব লাইট এর দাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু হয় যার দৈর্ঘ্য সাধারণত ৪ ফিট হয়ে থাকে। তাছাড়া, বাংলাদেশে এলইডি হ্যালোজেন লাইট পাওয়া যায় যার দাম কিছুটা বেশি।
এলইডি লাইট কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?
বর্তমানে এলইডি লাইট একটি প্রয়োজনীয় ইলেকট্রিক ডিভাইস তাই এলইডি লাইট কেনার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
১। এলইডি লাইটের ধরণঃ প্রয়োজন ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের এলইডি লাইট বাংলাদেশে পাওয়া যায়। তাই, এলইডি লাইট কেনার আগে অবশ্যই ব্যবহারের উপর ভিত্তিতে সঠিক ধরনের এলইডি লাইট সংগ্রহ করতে হবে। এবং,রুমের আকৃতির ভিত্তিতে ছোট বা বড় এলইডি লাইট সংগ্রহ করতে হবে।
২। আলোর পরিমাণঃ রুমের সাইজ তুলনায় আলোর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী এলইডি টিউব লাইট বা এলইডি বাল্ব নির্বাচন করতে হবে। যদি, অফিস রুম হয় যেখানে কম্পিটারের কাজ করা হয় সেক্ষেত্রে একাধিক এলইডি টিউব লাইট বা এলইডি বাল্ব ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, আউটডোরে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গার অনুপাতে হ্যালোজেন লাইট নির্বাচন করতে হবে।
৩। সকেট সামঞ্জস্যতাঃ নির্দিষ্ট রুমের জন্য এলইডি লাইট কেনার প্রয়োজন হলে সেখানকার সকেট টেকনোলজির ভিত্তিতে এলইডি লাইট নির্বাচন করতে হবে। অথবা, লাইটের সাথে সামঞ্জস্যতার অনুপাতে ল্যাম্প সকেট পরিবর্তন করতে হবে।
৪। ডিজাইনঃ এলইডি লাইট যেখানে ব্যবহার করা হবে সেই রুমের অভ্যন্তরীণ ভিজাইন অনুযায়ী এলইডি টিউব লাইট বা এলইডি বাল্ব নির্বাচন করতে হবে।