ডেল ল্যাপটপ কেনাকাটা
ল্যাপটপ ব্র্যান্ড গুলোর মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ডেল অন্যতম একটি ল্যাপটপ ব্র্যান্ড। বাংলাদেশে ডেল ল্যাপটপের একটি বিশেষ দিক হল এটি দামে অনেক সস্তা তাই ছাত্র থেকে শুরু করে প্রফেশনাল সবার কাছে ডেল ল্যাপটপ প্রিয়। এর কিছু বৈশিষ্ট দেখে নেয়া যাক।
১। ডেল ল্যাপটপ অন্যান্য ল্যাপটপের তুলনায় খুব মজবুত হয়ে থাকে।
২। স্লিম ফিগার, হালকা ওজন এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের জন্য ডেল ল্যাপটপ বিখ্যাত।
৩। ডেল বাজারে গ্রাহকদের সুবিধার্থে বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন সিরিজ প্রকাশ করে থাকে। এগুলো হলোঃ ইন্সপাইরন, এক্সপিএস, এলিয়েনওয়্যার, ভোস্ট্রো, ল্যাটিটিউড এবং প্রেসিশন। এই মডেলগুলো বাংলাদেশে সহজেই পাওয়া যায়। মডেলভেদে দাম অনুযায়ী বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা পছন্দের ডেল ল্যাপটপ সহজেই বেছে নিতে পারেন।
৪। মাদারবোর্ড, গ্রাফিক্স, ডিসপ্লে রেজুলেশন নিয়ে ডেল ল্যাপটপ সবসময় সচেতন।
৫। ডেল ল্যাপটপ প্রিমিয়াম সিরিজের পাশাপাশি অল্প দামের মধ্যে অনেক ল্যাপটপ বাংলাদেশে পাওয়া যায় ফলে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই কিনে নিতে পারে নিজের কাঙ্খিত ল্যাপটপ।
৬। বাংলাদেশে বিভিন্ন কনফিগারেশনের ডেল ল্যাপটপ পাওয়া যায়। ফলে গ্রাহকবৃন্দ কাজের ধরণ এবং কোয়ালিটি অনুযায়ী কিনে নিতে পারে।
৭। ডেল ল্যাপটপের মধ্যে অনেক গুলোই আছে যেগুলোতে টাচস্ক্রীন সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ডেল টাচস্ক্রীন ল্যাপটপের দাম অনেক কম।
৮। মার্কেট প্লেসের যেকোনো কাজ খুব সহজেই করে ফেলা যায় ডেল ল্যাপটপ গুলো দিয়ে। তাই বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারেরা ডেল ল্যাপটপ বেশি ব্যবহার করে থাকে।
৯। বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য ডেল ল্যাপটপ গুলোতে পাওয়া যায় বিভিন্ন রকমের গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টি। বিক্রয়োত্তর সেবার হিসেবে ডেল তার ল্যাপটপ গুলোর সাথে ১৫ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। ফলে গ্রাহকবৃন্দ ডেল ল্যাপটপ কিনতে বেশি পছন্দ করেন।
বাংলাদেশে ডেল ল্যাপটপের দাম কত?
বাংলাদেশে ডেল ল্যাপটপের দাম মাত্র ৪৩,০০০ টাকা থেকে শুরু। এই ল্যাপটপ দিয়ে অনলাইন ক্লাস, অনলাইন মিটিং, অফিসের কাজ গুলো খুব সহজেই করে ফেলা যায়। এছাড়াও যারা বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজ শিখতে চান তাদের জন্য কম দামের মধ্যে এই ল্যাপটপটি সেরা। মূলত ডেল ল্যাপটপের দাম নির্ভর করে ল্যাপটপের মান, প্রসেসর, র্যাম ইত্যাদির উপর। তাছাড়া, ডেল ল্যাপটপ এর দাম মূলত মডেল, কনফিগারেশন, এবং অন্যান্য ফিচার সমূহের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রোমোশন বা ডিসকাউন্টের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
ডেল ল্যাপটপ এর দাম ২০,০০০ টাকার নিচে
বাংলাদেশে ২০,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে ডেল ল্যাপটপ সাধারণত ব্যবহৃত ও রিফারভিশড কন্ডিশনে পাওয়া যায়। এই বাজেটের মধ্যে নতুন ডেল ল্যাপটপ মূলত এন্ট্রি-লেভেল এবং বেসিক কনফিগারেশন হয়ে থাকে। এছাড়াও, ২০,০০০ টাকার নিচে ডেল ল্যাপটপে প্রসেসর, র্যাম এবং স্টোরেজ সীমিত পরিসরে থাকে। এই বাজেটের ডেল ল্যাপটপ ওয়েব ব্রাউজিং, মাল্টি মিডিয়া এবং মাইক্রোসফট অফিস রিলেটেড প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
ডেল ল্যাপটপ এর দাম ৫০,০০০ টাকার নিচে
বাংলাদেশে ৫০,০০০ টাকা বাজেটের ডেল ল্যাপটপ সাধারণত নতুন কন্ডিশনে পাওয়া যায়। এই বাজেটের মধ্যে বাংলাদেশে ডেল ব্র্যান্ডের মিড-রেঞ্জের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। তাছাড়া, ৫০,০০০ টাকার মধ্যে ডেল ল্যাপটপে উন্নত প্রসেসর, পর্যাপ্ত র্যাম ও স্টোরেজ ক্যাপাসিটি প্রদান করে। বাংলাদেশে ৫০,০০০ টাকা বাজেটের ডেল ল্যাপটপ দিয়ে হালকা গেমিং, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন সহ বিভিন্ন ধরনের মাল্টিটাস্কিং কাজ করা যায়।
ডেল ল্যাপটপ এর দাম ১০০,০০০ টাকার নিচে
বাংলাদেশে ১০০,০০০ টাকার নিচে সাধারণত উচ্চ কনফিগারেশন নতুন ডেল ল্যাপটপ পাওয়া যায়। এই বাজেটের মধ্যে ডেল ল্যাপটপ উচ্চ প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড, এবং বেশি পরিমানে র্যাম এবং স্টোরেজ ক্যাপাসিটি প্রদান করে। তাছাড়া, ১০০,০০০ টাকা বাজেটে ডেল ল্যাপটপ দিয়ে কন্টেন্ট ক্রিয়েট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, সফটওয়্যার ডেভেলপম্যান্ট সহ প্রায় সকল ধরণের কাজ ই করা যায়।
ডেল কোর আই ৩ ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যাবে?
ডেল কোর আই ৩ ল্যাপটপ দিয়ে সবরকমের অফিশিয়াল কাজ যেমনঃ মাইক্রসফট অফিস, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি কাজ গুলো খুব সহজেই করা যাবে। ডেল কোর আই ৩ ল্যাপটপের দাম বাংলাদেশে মাত্র ৪৫,৫০০ টাকা থেকে শুরু। এটি দিয়ে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস করতে করতে পারবে এবং বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজ শিখতেও পারবে।
বাংলাদেশে ডেল কোর আই৫ ল্যাপটপ দিয়ে কি মার্কেটপ্লেসের কাজ করা যায়?
বাংলাদেশে ডেল কোর আই৫ ল্যাপটপ এর দাম মাত্র ৬০,০০০ টাকা এবং এটিতে আছে ৫০০ জিবি হার্ড ডিস্ক, ৪ জিবি র্যাম এবং ২ জিবি গ্রাফিক্স কার্ড। এটি দিয়ে বিগেনার লেভেলের সকলেই মার্কেটপ্লেসের কাজ করতে পারবে এবং শিখতে পারবে। মার্কেটপ্লেসের কাজ শেখার জন্য এটি একটি আদর্শ ল্যাপটপ।
ডেল কোর আই৭ নতুন ল্যাপটপের দাম কেমন?
বাংলাদেশে ডেল এর কোর আই-৭ ল্যাপটপের নতুন সিরিজগুলো অসাধারন এবং এগুলোতে অধিক র্যাম এবং সর্বশেষ জেনারেশনের প্রসেসর থাকে। এগুলো দিয়ে ভারী গেম খেলার পাশাপাশি ভিডিও এডিটিংএ ভাল সুবিধা পাওয়া যায়। এই ল্যাপটপগুলোর অনেক মডেল মেটাল বডির হয় বিধায় সহজে গরম হয় না। ডেল কোর আই৭ ল্যাপটপের দাম সর্বনিম্ন ৭০,০০০ হয়ে থাকে এবং প্রসেসরের জেনারেশনের এবং বদির ডিজাইনের উপর এর দাম নির্ভর করে।
ডেল ল্যাপটপে কি জিএসএম মডেম থাকে?
অনেক সিরিজের ডেল ল্যাপটপের জিএসএম মডেম সাথে থাকে ফলে যেকোন অপারেটারের সিম ব্যবহার করা যায়। তবে কেনার সময় এটি জেনে নেয়া উচিত বাংলাদেশের সিম এটি সাপোর্ট করে কিনা। সুবিধাসরূপ আলাদা মডেম কেনার দরকার নেই।
ডেল ল্যাপটপ কি বেশি গরম হয়?
নতুন মডেলের ডেল ল্যাপটপ খুব কম গরম হয়। তবে আগের কিছু মডেলের ল্যাপটপে কুলার ব্যবহার করা যেতে পারে। ডেলের মেটাল বডির ল্যাপটপগুলো অনেক উন্নমানের এবং সহজে গরম হয় না।
শিক্ষার্থীদের জন্য ডেলের কোন ল্যাপটপ ভালো?
ডেল ল্যাটিটিউড সিরিজটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। বিশেষ করে প্রাথমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা তাদের মেধাবিকাশের জন্য ব্যবহার করতে পারে এই ল্যাপটপটি। এটি ওজনে খুব হালকা এবং আকারেও ছোট যা খুব সহজেই বাচ্চারা বহন করতে পারে। বাংলাদেশে ডেল ল্যাটিটিউড বেশ কম দামে পাওয়া যায়।
ডেল ল্যাপটপে কি ব্যাকলাইট এবং স্পিল রেসিস্টেন্ট কীবোর্ড আছে?
ডেলের আগের বিশেষ কিছু মডেলে এবং বর্তমানের বেশিরভাগ মডেলে স্পিল রেসিস্টেন্ট কীবোর্ড আছে সাথে আছে ব্যাকলিট সুবিধা। বাংলাদেশের জন্য এই ব্যাকলাইট সুবিধা অনেক কাজে লাগে। তাছাড়া যারা ছাত্র তারা লাইটি না জ্বালিয়েও কাজ করতে পারে।