ইন্টেল কোর আই ৩ Laptop কেনাকাটা
বর্তমানে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ল্যাপটপ প্রত্যহ জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। পড়াশোনা, অফিস, ফ্রীল্যান্সিং, এবং মিডিয়া ডিভাইস হিসেবে ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে দামে সাশ্রয়ী এবং প্রায় সকল সাধারণ কাজের ব্যবহার উপযোগী সেরা মানের ল্যাপটপ হচ্ছে ইন্টেল কোর আই ৩ প্রসেসর ল্যাপটপ। বাংলাদেশে কমদামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ও ভিন্ন ভিন্ন জেনারেশনের ইন্টেল কোর আই ৩ ল্যাপটপ পাওয়া যায়।
ইন্টেল কোর আই ৩ ল্যাপটপের সুবিধা
ব্র্যান্ড ও জেনারেশন ভেদে ইন্টেল কোর আই ৩ ল্যাপটপের কর্ম ক্ষমতা, কাজের গতি, ব্যাটারি পারফরম্যান্স ইত্যাদির ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। বিডিতে প্রায় সকল ব্র্যান্ডের ইন্টেল কোর আই ৩ ল্যাপটপ পাওয়া যায়। তাছাড়া, ইন্টেল কোর আই ৩ ল্যাপটপ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করার পাশাপাশি বাজেট বান্ধব এবং দক্ষ কম্পিউটিং ক্ষমতা প্রদর্শন করে থাকে। ইন্টেল কোর আই ৩ ল্যাপটপ কেনার সুবিধা।
১। ইন্টেল কোর আই ৩ ল্যাপটপ সাধারণত কোর আই ৫ এবং কোর আই ৭ ল্যাপটপের তুলনায় দামে সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। সাধারণ কাজে যথেষ্ট কর্মক্ষম এবং কম খরচের মধ্যে একটি ভাল ভারসাম্য প্রদান করে ফলে বাজেট সচেতন গ্রাহকদের জন্য একটি দুর্দান্ত পছন্দ হচ্ছে কোর আই৩ ল্যাপটপ।
২। ল্যাপটপের কোর আই৩ প্রসেসরগুলো যথেষ্ট দক্ষ ও দীর্ঘ সময় ব্যবহার উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে। তাছাড়া, প্রসেসরের কাজের পরিধির উপর নির্ভর করে ইন্টেল কোর আই৩ ল্যাপটপের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়। ইন্টেল কোর আই৩ ল্যাপটপ বিশেষত সহজে বহন উপযোগী এবং যেকোনো জায়গায় ব্যাটারি বেকআপ দিয়ে কাজ করার সুবিধা প্রদান করে থাকে।
৩। ইন্টেল কোর আই ৩ ল্যাপটপগুলো ওয়েব ব্রাউজিং, ডকুমেন্ট এডিটিং, এবং মাল্টিমিডিয়া কাজের মত সাধারণ কাজের জন্য অন্যতম। তাছাড়া, ইন্টেল কোর আই ৩ ল্যাপটপগুলো মাঝারি মানের কাজের চাপ সামলাতে যথেষ্ঠ সক্ষম।
৪। বিভিন্ন জেনারেশন ও মডেলের হওয়ায় ইন্টেল কোর আই৩ ল্যাপটপে বিভিন্ন ধরনের ফর্ম ফ্যাক্টর রয়েছে। তাই, বিডিতে ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা পছন্দ এবং প্রয়োজনীয়তার অনুসারে কোর আই৩ ল্যাপটপ সংগ্রহ করতে পারবেন।
৫। তাছাড়া, কোর আই৩ ল্যাপটপ সহজেই আপগ্রেড করা যায় ফলে ব্যবহারকারী চাইলে র্যাম কিংবা স্টোরেজ ড্রাইভ বাড়িয়ে নিতে পারে। ফলে, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইন্টেল কোর আই৩ ল্যাপটপ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।
৬। ইন্টেল কোর আই৩ ল্যাপটপের মাধ্যমে একই সময় একাধিক কাজ সহজেই পরিচালন করা যায়। তাই, কোর আই৩ ল্যাপটপ মাল্টিটাস্কিং কাজের জন্য সেরা পছন্দ।
ইন্টেল কোর আই৩ ল্যাপটপ কিনার আগে কি কি দেখতে হবে?
প্রসেসরের জেনারেশন, র্যাম, স্টোরেজ টাইপ, এবং ডিসপ্লে সাইজ অনুযায়ী ইন্টেল কোর আই৩ ল্যাপটপের পারফর্ম্যান্স ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই, কেনার পূর্বে অবশ্যই যে বিষয় গুলো জেনতে হবেঃ
প্রয়োজনীয়তাঃ প্রথমত কোন কাজে জন্য কোর আই৩ ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন তা বিবেচনা করা। কারণ প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার চালান যাবে কিনা এবং কাজের ধরণ অনুযায়ী সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারবে কিনা তা কেনার পূর্বে ভালো ভাবে যাচাই করতে হবে।
র্যামঃ প্রয়োজন অনুযায়ী র্যাম যথেষ্ট ক্ষমতা দিতে পারবে কিনা তা যাচাই করা। তবে, কোর আই৩ ল্যাপটপ দিয়ে একের অধিক কিংবা মাল্টিটাস্কিং করার জন্য র্যাম বাড়িয়ে নেওয়া উত্তম।
স্টোরেজঃ ইন্টেল কোর আই৩ ল্যাপটপে বড় ডাটা ফাইল, ছবি, ভিডিও সংরক্ষণ করতে চাইলে প্রয়োজন অনুযায়ী স্টোরেজের পরিমাণ যাচাই করে নেওয়া উচিত। তাছাড়া, বর্তমানে ল্যাপটপের স্টোরেজের জন্য এইচডিডি হার্ডডিস্কের পাশাপাশি এসএসডি পাওয়া যায় যা ল্যাপটপে কাজের গতি এবং ডাটা ট্রান্সফার ক্ষেত্রে দ্রুত রিড ও রাইট করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
ডিসপ্লেঃ কোর আই৩ ল্যাপটপ কেনার পূর্বে কাজের ক্ষেত্র বিশেষে ডিসপ্লের বিষয়ে ধারণা নেওয়া উত্তম। কারন ভিডিও দেখার জন্য, ডাটা এন্ট্রি, এবং ডাটা শিট রিলেটেড কাজের জন্য বড় ডিসপ্লে সুবিধাজনক। তাই, ইন্টেল কোর আই৩ ল্যাপটপ কেনার পূর্বে ব্যবহারের পরিধি বিবেচনায় ল্যাপটপের ডিসপ্লে সাইজ নির্বাচন করতে হবে।
ব্র্যান্ড এবং গুনগতমানঃ বিডিতে ব্র্যান্ড অনুযায়ী ইন্টেল কোর আই৩ ল্যাপটপের ক্ষেত্রে গ্রাহক সহায়তা এবং ওয়ারেন্টি ভিন্ন রকম হয়ে থাকে তাই কেনার পূর্বে ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত। ব্র্যান্ডের পাশপাশি ল্যাপটপটি মানসম্পন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
কোর আই ৩ ল্যাপটপের ১১ তম জেনারেশনে কি কি নতুনত্ব নিয়ে এসেছে?
ইন্টেল কোর আই৩ ১১তম জেনারেশনের প্রসেসর ল্যাপটপগুলোতে, নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে ফলে কর্মক্ষমতা, গ্রাফিক্স, সিকিউরিটি, সংযোগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে।
- ইন্টেল কোর আই ৩ ১১তম জেনারেশন প্রসেসর ল্যাপটপে, নতুন আর্কিটেকচার ব্যবহার করা হয়েছে যা আগের জেনারেশনের প্রসেসর ল্যাপটপের চেয়ে বেশি ফ্রিকোয়েন্সি এবং কল্ক স্পীড প্রদান করে। ফলে, কোর আই ৩ ১১তম জেনারেশনের ল্যাপটপ ব্যবহারে কর্মক্ষমতা বেশি পাওয়া যায়।
- ইন্টেল আই৩ ১১তম জেনারেশন ল্যাপটপে ইন্ট্রিগ্রেটেড ইন্টেল আইরিস এক্সই বিল্ট ইন গ্রাফিক্স আছে বিধায় হালকা ধরনের গেমিং এবং স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও ইডিটিং করা যাবে।
- ইন্টেল কোর আই৩ ১১তম জেনারেশন প্রসেসর ল্যাপটপ, ওয়াইফাই ভার্সন ৬ সমর্থন করে ফলে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ওয়্যারলেস সংযোগ প্রদান করতে সক্ষম।
- কোর আই ৩ ল্যাপটপের ১১তম জেনারেশনের প্রসেসর শক্তিশালী ও দক্ষ ডিজাইন করার ফলে ব্যাটারির বেকআপ যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
- ইন্টেল প্ল্যাটফর্ম ট্রাস্ট টেকনোলজি এবং ইন্টেল সফ্টওয়্যার গার্ড এক্সটেনশন ব্যবহার করার ফলে ইন্টেল কোর আই ৩ ১১তম জেনারেশনের ল্যাপটপ তথ্য সংরক্ষণে যথেষ্ট সংবেদনশীল হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে ইন্টেল কোর আই ৩ ল্যাপটপের দাম কত?
বাংলাদেশে নতুন ও ব্যবহৃত উভয় কন্ডিশনে ইন্টেল কোর আই৩ ল্যাপটপ পাওয়া যায়। বাংলাদেশে কোর আই৩ ল্যাপটপের দাম ৪০,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যাতে ইন্টেল কোর আই৩ ১০ম জেনারেশন প্রসেসর, ৮ জিবি পর্যন্ত র্যাম, ও ১ টেরাবাইট পর্যন্ট হার্ডডিস্ক থাকে। এছাড়া, ব্যবহৃত কোর আই৩ ল্যাপটপের দাম ১০,০০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকার মধ্যে থেকে শুরু হয়। তবে, উন্নত মানের কোর আই৩ ল্যাপটপগুলো ৫০,০০০ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।