আসুস ল্যাপটপ কেনাকাটা
আসুস বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এর ল্যাপটপ দিয়ে কারন আসুস ল্যাপটপের মান ভালো এবং দামেও সাশ্রয়ী।
কেন আসুস ল্যাপটপ ভাল?
এই ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ আপনি যে কারণে কিনবেন তা নিয়ে এবার কিছু আলোচনা করা যাক:
১। আসুস ব্র্যান্ড সবসময় তার ল্যাপটপ গুলোর গুণগত মানের উপর বেশি নজর দিয়ে থাকে।
২। আসুসের ল্যাপটপ গুলো বেশ স্টাইলিশ। এগুলোর বডি ডিজাইন, স্লিম ফিগার, এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ খুবই চমৎকার।
৩। আসুস বাজারে ল্যাপটপের অনেক সিরিজ নিয়ে আসে প্রতিনিয়ত এগুলো হলোঃ জেনবুক সিরিজ, ভিভোবুক সিরিজ, গেমার সিরিজ, কে-সিরিজ, এক্স সিরিজ এবং ক্রোমবুক সিরিজ। এই সিরিজগুলো নিজস্ব মানের জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। গুণ বা বিশেষত্বের উপর নির্ভর করে দরকার অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন পছন্দের সিরিজ।
৪। আসুস ল্যাপটপ গুলোর মাদারবোর্ড, গ্রাফিক্স, ডিসপ্লে এগুলো উচ্চ মানের হয়ে থাকে।
৫। আসুস বিভিন্ন রকম প্রসেসরের ল্যাপটপ তৈর করে থাকে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ কোর আই৫, কোর আই৭, এএমডির এথলন এবং রাইজেন সিরিজ প্রসেসর ব্যবহার করে থাকে। তাই বাজেট অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন পছন্দের প্রসেসরের আসুস ল্যাপটপ।
৬। আসুস ল্যাপটপ প্রিমিয়াম সিরিজের পাশাপাশি কিছু কম দামের ল্যাপটপ বাজারে ছাড়ে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা খুব অল্প দামে পেতে পারে তাদের কাঙ্খিত ল্যাপটপট। তাই একটিকে বাজেট ফ্রেন্ডলি ল্যাপটপ ব্র্যান্ডও বলা যায়।
৭। আসুস সবসময় গ্রাহকদের সেবা প্রদানে সচেতন থাকে। প্রতিটি ল্যাপটপের সাথে গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টি থাকার কারণে গ্রাহকেরা আসুস ল্যাপটপ কিনতে বেশি পছন্দ করে। তাই আসুসের ল্যাপটপ কেনা যাবে চিন্তা ছাড়াই।
আসুস ল্যাপটপ কেনার আরও কিছু কারনঃ
আসুস ল্যাপটপ কেনার আগে যে জিনিসগুলো বিবেচনা করতে হবে সেগুলো হল এর স্থায়িত্ত, কর্মক্ষমতা ও সোন্দর্য যা আসুস ল্যাপটপে পাওয়া যায়। তাই বাংলাদেশে আসুস ল্যাপটপ বিশেষ আকর্ষণ তৈরী করেছে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক আসুস ল্যাপটপ নির্বাচন যেমন আসুসের আপডেট ফিচারসগুলো উপভোগ করার জন্য নতুন প্রজন্মের আসুস ল্যাপটপ কেনা, ভ্রমনে সাথে করে বহন করার জন্য ১৪ ইঞ্চি বা কম সাইজের ডিসপ্লের আসুস ল্যাপটপ ভালো হবে কারণ এগুলো আকৃতিতে একটু ছোট, আর গ্রাফিক্স বা প্রোগ্রামিংয়ের জন্য ১৫ ইঞ্চির আসুস ল্যাপটপ বেশ ভাল হবে।
আসুস ল্যাপটপের দাম কত?
আসুস ল্যাপটপের দাম ৪৫,০০০ টাকা থেকে শুরু যেটি দিয়ে সকল ধরনের কাজ সহজে করা যাবে যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজিং, এইচডি ভিডিও চালানো, সাধারণ গেম খেলা। তবে ল্যাপটপের দাম নির্ভর করে এর ডিজাইন, প্রসেসর, এবং বিল্ড মানের উপর। তাই বাজেট এবং কাজের ধরন অনুযায়ী আসুস ল্যাপটপ নির্বাচন করা উচিৎ।
আসুস কোর আই৩ ল্যাপটপ কত টাকায় পাওয়া যাবে?
বাংলাদেশে আসুস কোর আই৩ ল্যাপটপের দাম ৪০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে। এটিতে ৪ জিবি র্যাম, ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স কার্ড এবং ১ জিবি হার্ড ড্রাইভ আছে। এই ল্যাপটপ দিয়ে মাইক্রসফট অফিস, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট সহ বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজ করা যাবে। শিক্ষার্থীরাও অনলাইন ক্লাস করতে পারবে খুব সহজেই।
আসুস কোর আই৫ প্রসেসরের ল্যাপটপ দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে ও দাম কত?
আসুস কোর আই৫ প্রসেসরের ল্যাপটপের দাম বাংলাদেশে শুরু ৫৫,০০০ টাকা থেকে শুরু এবং এটি দিয়ে সব ধরনের ফ্রীলেনসিং কাজ করা যাবে। এই ল্যাপটপটিতে আছে ৮ জিবি র্যাম, ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক এবং ২ জিবি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড। এটি দিয়ে খুব সহজেই অনলাইন মার্কেট প্লেসের যেকোনো কাজ যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিংসহ বিভিন্ন কাজ খুব সহজেই করা সম্ভব।
আসুস ব্র্যান্ডের কোর আই৭ প্রসসরের ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কর যাবে?
আসুস ব্র্যান্ডের কোর আই৭ ল্যাপটপ বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭০,০০০ টাকাতে। এই ল্যাপটপে আছে ৮ জিবি র্যাম, ৫১২ এসএসডি, ২জিবি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড, এইচডি ওয়েবক্যাম, ১৪ ইঞ্চির ডিসপ্লে এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইত্যাদি। এই ল্যাপটপ দিয়ে ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন সহ সকল কাজ করা যাবে।