bdstall.com

হেমকো আইপিএস এর দাম

আইটেম ১-১৪ এর ১৪

হেমকো আইপিএস কেনাকাটা

বাংলাদেশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে আইপিএস এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। হ্যামকো গ্রুপ সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত মানের আইপিএস সরবরাহ করে বিধায় বাংলাদেশে হ্যামকো আইপিএস ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাছাড়া, হ্যামকো আইপিএস বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে তৈরি করা হয় যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

বাংলাদেশে হ্যামকো আইপিএস এর দাম কত?

বাংলাদেশে হ্যামকো আইপিএস এর দাম ৮,৫০০ টাকা থেকে শুরু হয় যা ওয়াট ক্যাপাসিটি এবং নিরাপত্তা ফাংশনালিটির ভিত্তিতে নির্ধারন হয়। তবে, ব্যাটারি সহ হ্যামকো আইপিএস এর প্যাকেজের দাম ব্যাটারির ক্যাপাসিটি ও দাম অনুসারে নির্ধারিত হয়ে থাকে। অফিস ও বাসা-বাড়ির জন্য ২০,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকার মধ্যে ব্যাটারি সহ হ্যামকো আইপিএস প্যাকেজ পাওয়া যায় যাতে ৩২০-ওয়াট ক্যাপাসিটি আইপিএস এবং ১০০ এএইচ ব্যাটারি থাকে যা ইলেকট্রিক ডিভাইসগুলো কমপক্ষে ২ ঘন্টা ব্যাকআপ প্রদান করতে পারবে।

কেন হ্যামকো আইপিএস ব্যবহার করব?

হ্যামকো উন্নত মানের উপাদান দিয়ে আইপিএস তৈরি করে ফলে দীর্ঘদীন টেকসই হয়ে থাকে। হ্যামকো আইপিএস এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ

১। ওভারলোড প্রটেকশনঃ হ্যামকো আইপিএস এর মধ্যে ওভারলোড প্রটেকশন থাকে বিধায় অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ থেকে আইপিএস সুরক্ষিত থাকে। এছাড়াও, আউটপুট প্রদান কালে যেকোনো কারনে আইপিএস এর মধ্যে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হলে ওভারলোড প্রটেকশন হ্যামকো আইপিএস কে সুরক্ষিত রাখে।

২। ওভারচারজিং প্রটেকশনঃ হ্যামকো আইপিএস এর সাথে যুক্ত ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হওয়ার পর ওভারচার্জিং প্রতিরোধ করার জন্য ওভারচারজিং প্রটেকশন সিস্টেম কাজ করে। ফলে, ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভালো অবস্থায় থাকে এবং দীর্ঘদিন স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায়।

৩। শর্ট সার্কিট প্রটেকশনঃ হ্যামকো আইপিএস এর মধ্যে বিশেষ ফিউজ থাকে যা শর্ট সার্কিট হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে যায়। ফলে, শর্ট সার্কিটের কারনে বড় ধরনের দুর্ঘটনা অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব হয়।

৪। ডুয়াল মোডঃ বেশিরভাগ হ্যামকো আইপিএস সাধারণত ইউপিএস হিসেবে ব্যবহার করা যায় যা হ্যামকো আইপিএস এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাই, প্রয়োজন অনুসারে কেনার আগে ডুয়াল মোড যুক্ত হ্যামকো আইপিএস নির্বাচন করতে হবে।

৫। ভোল্টেজঃ সাধারণত হ্যামকো আইপিএস ১০০ থেকে ২৯৫ ভোল্টেজ ইনপুটে ব্যাটারি চার্জ করতে সক্ষম। অন্যদিকে একটানা ২২০+ ভোল্টেজ আউটপুট প্রদান করতে পারে। তবে, হ্যামকো আইপিএস কেনার আগে অবশ্যই এর ইনপুট ও আউটপুট ভোল্টেজ পরিসীমা বিবেচনা করতে হবে।

৬। ডিসপ্লেঃ হ্যামকো আইপিএস এ ডিজিটাল এলইডি ডিসপ্লে বা এলইডি লাইট ইন্ডিকেশন সিস্টেম থাকে যা আইপিএস এর বর্তমান অবস্থা প্রদর্শন করে। এছাড়াও, আইপিএস এর মধ্যে কোন সমস্যা চিহ্নিত হলে তা ডিসপ্লে বা ইন্ডিকেশন লাইটের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়।

৭। ব্যাটারি ক্যাপাসিটিঃ হ্যামকো আইপিএস এর সাথে প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো ক্যাপাসিটির আইপিএস ব্যাটারি ব্যবহার করা যায়। তবে, বর্তমানে হ্যামকো আইপিএস এর সাথে এক বা একাধিক ১০০ অ্যাম্পিয়ার, ১৬৫ অ্যাম্পিয়ার, এবং ২০০ অ্যাম্পিয়ার হ্যামকো ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়।

৮। ক্যাপাসিটিঃ বিডিতে মানুষের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ক্যাপাসিটির হ্যামকো আইপিএস পাওয়া যায়। বিশেষ করে বাসা-বাড়ির জন্য ৩২০ ওয়াট থেকে ৬৪০ ওয়াটের হ্যামকো আইপিএস উপযুক্ত। তাছাড়া, অফিসের প্রয়োজনের অনুপাতে ১০০০ ওয়াট থেকে ২০০০ ওয়াট বা বেশি ক্যাপাসিটির হ্যামকো আইপিএস ব্যবহার করা যায়।