আইপিএস কেনাকাটা
আইপিএস কেন প্রয়োজন?
লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মূলত আইপিএস ব্যবহার করা হয়। এটি প্রধানত এসি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ শক্তি চার্জারের মাধ্যমে ডিসি আকারে ব্যাটারিতে সঞ্চয় করে রাখে এবং কোনো কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে বা লোড শেডিং হলে সেই বিদ্যুৎ এসি আকারে সরবরাহ করে বিদ্যুৎতের চাহিদা পূরণ করে থাকে। সাধারণত বাসা বাড়িতে কিংবা অফিস আদালতে অতি গরমের সময় শুধু মাত্র লাইট ও ফ্যান চালানোর কাজেই সবচেয়ে বেশি আইপিএসের ব্যবহার করা হয়। তবে ক্ষেত্রবিশেষে ভালো আইপিএস দ্বারা বাসা বাড়ির টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার এমনকি এসিও চালানো যায়। বাংলাদেশে, আইপিএস এখন দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই আইপিএস চাহিদা এখন বাংলাদেশে এটিকে সামান্য ব্যয়বহুল করেছে। কিন্তু Bdstall.com-এ আপনি বিভিন্ন IPS প্যাকেজের মধ্যে উপযুক্ত আইপিএস খুঁজে পেতে পারেন।
কত শক্তি প্রয়োজন?
প্রথমে হিসেব করে নিন বিদ্যুৎ চলে গেলে আপনার কতগুলো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস চালাতে হবে। মনে রাখবেন সর্বদা আপনার মোট আইপিএসের ৮০% লোড হিসাব করুন এবং ২০% ফ্রি রাখুন তাহলে আইপিএস আরও ভাল এবং দীর্ঘ সেবা দিবে। বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে, কিছু ধারণা দেওয়া হল যেমন এলসিডি মনিটর সহ পিসি ৩০০ ওয়াট, দেশীয় ফ্যান ১০০ ওয়াট, বিদেশী ফ্যান ১৫০ ওয়াট, টিভি ১০০ ওয়াট, টিউব লাইট ৬০ ওয়াট, এনার্জি সেভিং লাইট ৩০ ওয়াট।
আইপিএসর কী কী উপাদান রয়েছে ?
একটি আইপিএসে প্রধানত দুটি উপাদান রয়েছে আর সেগুলো হলো
ইনভাটার: ইনভাটার হলো এমন একটি ডিভাইস বা যন্ত্রাংশ যা মূলত ডিসি পাওয়ারকে এসিতে রুপান্তর করে থাকে। প্রায় সব ধরনের আইপিএসেই এই ডিভাইসটি থাকে।
ব্যাটারি: ব্যাটারি হলো আইপিএসের প্রধান উপাদান। মূলত ব্যাটারিতেই বিদ্যুৎ জমা করে রাখা হয় যাতে কারেন্ট চলে গেলে বিদ্যুৎতের চাহিদা পূরণ করা যায়।
আইপিএস কত প্রকার?
আমরা মূলত দুই ধরনের আইপিএস দেখতে পাই সেগুলো হলো
ইলেক্টটিক: এই ধরনের আইপিএস গুলো মূলত আপনার বাসার বিদ্যুৎতের সাথে চার্জার দ্বারা সংযোগ দেওয়া থাকে যাতে যখন বাসায় বিদ্যুৎ থাকবে তখন এটি চার্জ হতে থাকে এবং বিদ্যুৎ চলে গেলে অটোমেটিক তা থেকে আপনার বাসায় পাওয়া জেনারেট করা হয় এবং আপনার বাসায় থাকা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলো চলতে থাকে।
সোলার সিস্টেম: এই ধরনের আইপিএসগুলোতে কোন মেইন বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হয় না কারণ এটির ব্যাটারিটি চার্জ হয় সৌর বিদ্যুৎতে। এটি দিনের বেলা সূর্যের আলোতে চার্জ হতে থাকে এবং যখনই বিদ্যুৎ চলে যায় তখনই এটির ব্যাটারিতে থাকা বিদ্যুৎ শক্তি আপনার বাসার বিদ্যুৎ চাহিদাকে পূরণ করে থাকে।
৫০০ ওয়াটের আইপিএস মেশিনের দাম কত?
বাংলাদেশে আইপিএস মূল্য ৬,৫০০ টাকা থেকে শুরু হয় যেখানে খরচ শুধুমাত্র ইনভার্টার মেশিনের জন্য এবং ক্ষমতা ৫০০ ওয়াট পর্যন্ত। এই মেশিনটি ২ ঘন্টা সহজেই ২টি ফ্যান এবং ২টি লাইট চালাতে পারে। আইপিএসের দাম ভিএ, ব্যাটারির খরচ, ওয়্যারিং এবং ইনস্টলেশনের উপর নির্ভর করে তাই বিডি স্টলের আইপিএস তালিকাটি দেখুন এবং সর্বনিম্ন দাম কিনতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং স্পেসিফিকেশনের মূল্য তুলনা করুন।
বাংলাদেশে ৮০০ ওয়াট আইপিএস এর দাম কত?
বাংলাদেশে ৮০০ ওয়াটের আইপিএসের দাম কমপক্ষে ৮,৩০০ টাকা হবে এবং আপনাকে অতিরিক্ত ব্যাটারি খরচ বিবেচনা করতে হবে। এই ধরনের আইপিএস ৩টি ফ্যান এবং ৩টি লাইটের জন্য ২ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে পারে।
বিডিতে ১০০০ ওয়াটের আইপিএস এর দাম কত?
বিডিতে, ১০০০ ওয়াটের আইপিএসের জন্য কমপক্ষে ১০,০০০ টাকা খরচ হবে এবং ব্যাটারির খরচ যোগ করতে হবে। এই ধরনের আইপিএস কম দামে বড় পরিবার এবং ছোট অফিসের জন্য উপযুক্ত বলে বাংলাদেশে বেশি জনপ্রিয়। ৪টি লাইট এবং ৪টি ফ্যান ২ ঘন্টা মসৃণভাবে চলবে এবং আইপিএসের কোয়ালিটি খুব ভাল হবে।
মিনি আইপিএস এর দাম কত?
বাংলাদেশে মিনি আইপিএস মূল্য প্রায় ৩,০০০ টাকা এবং এর ক্ষমতা ছোট যা সাধারণত রাউটার, মোবাইল চার্জার বা ১০০ ওয়াট পর্যন্ত পাওয়ার প্রয়োজন এমন যেকোন একটি ডিভাইসের জন্য উপযুক্ত।
আইপিএস এর ক্যাপাসিটি কত?
বাজারে বিভিন্ন ক্যাপাসিসিটর আইপিএস রয়েছে যার যার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী আইপিএস বাছাই করতে পারেন। সাধারণত আইপিএসের ক্যাপাসিটি ওয়াটে হিসাব করে থাকে যেমন ৭৫০০ ওয়াট পর্যন্ত আইপিএস রয়েছে। এই ক্যাপাসিটির উপরই এর দাম ও আউটপুট নির্ভর করে।
আর কি বৈশিষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ?
নীচের বৈশিষ্ট্যগুলি আপনাকে বাংলাদেশে আইপিএস সম্পর্কে আরও ভাল জানতে সাহায্য করবে৷
ক্ষমতা - ভিএ এবং ওয়াটঃ
এটি আইপিএস শক্তি পরিমাপ করে এবং সাধারণত ভোল্ট এম্প (ভিএ) দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। কখনও কখনও আইপিএস পাওয়ারকে ওয়াট হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। মনে রাখবেন ওয়াট হল আসল শক্তি এবং ভিএ সাধারণত ওয়াটের সমতুল্য তবে এটি পাওয়ার ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে এবং ওয়াটের থেকেও বেশি হতে পারে।
সুরক্ষাঃ
আইপিএস বেশিরভাগ অন্দর এলাকায় ব্যবহৃত হয় তাই যথাযথ সুরক্ষা প্রয়োজন। এতে ওভারলোডিং, ওভারচার্জিং, শর্ট সার্কিট সুরক্ষা আছে কিনা তা সন্ধান করুন। এটি যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
সাইনওয়েভঃ
এটি অত্যন্ত পরিষ্কার সংকেত প্রদান করে যাতে পাওয়ার কাট-অফের সময় ভালভাবে চালাতে পারেন। বাংলাদেশে, বেশিরভাগ ঋতুতে বজ্রপাত হয় তাই সাইনওয়েভ আইপিএস আপনাকে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুচারুভাবে চালাতে সাহায্য করবে।
ডিসপ্লেঃ
কিছু আইপিএসে ডিজিটাল ডিসপ্লে থাকে এবং এটি আইপিএস স্ট্যাটাস প্রদর্শন করবে।