আইডি কার্ড প্রিন্টার কেনাকাটা
আমার কী ধরণের আইডি কার্ড প্রিন্টার দরকার?
বর্তমান সমইয়ে বিভিন্ন ধরনের আইডি কার্ড পাওয়া যায় এবং কাজের ধরন অনুযায়ী আইডি কার্ড প্রিন্টার নির্বাচন করা উচিৎ।
সিঙ্গেল সাইড আইডি প্রিন্টারঃ আইডি কার্ড এর শুধুমাত্র একপাশে প্রিন্টিং করার জন্য এই ধরণের প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়। আইডি কার্ড ছাড়াও ভিজিটিং কার্ড তৈরিতেও এই ধরণের প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়।
ডাবল সাইড আইডি প্রিন্টারঃ যে সকল আইডি কার্ডের দুই পাশে প্রিন্টিং করা হয় সে সকল কাজের জন্য ডাবল আইডি প্রিন্টার মেশিন ব্যবহার করা হয়। এই ধরণের মেশিন দিয়ে একই সাথে দুই পাশে প্রিন্ট করা যাবে।
পিভিসি কার্ড মেশিনঃ পিভিসি কার্ড সাধারণত প্লাস্টিক কার্ড নামে বেশি পরিচিত। এই ধরণের মেশিন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্ড যেমন, স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, সিআর কার্ড ইত্যদি তৈরি করা যায়। এছাড়াও এ মেশিন দিয়ে মাল্টিফাংশনাল ব্যাজের জন্য চৌম্বকীয় স্ট্রিপ যুক্ত করা যায়।
রি-ট্রান্সফার কার্ড মেশিনঃ রি-ট্রান্সফার প্রিন্টিং টেকনোলজি ব্যবহার করে প্রথমে ডাটাগুলো একটি পাতলা স্বচ্ছ সাবস্ট্রেটে প্রিন্ট করে পরবর্তিতে তাপ প্রয়োগ করে কার্ডের উপরে প্রিন্ট করা হয়। এই ধরণের টেকনোলজি ব্যবহার করে পিভিসি বা পলিকার্বোনেটের কার্ডও তৈরি করা যায়।
এম্বোসিং আইডি কার্ড প্রিন্টারঃ এম্বোসিং আইডি কার্ড প্রিন্টার দিয়ে প্রক্সিমিটি কার্ড ও স্মার্ট কার্ড তৈরি করা যায়।
আইডি কার্ড প্রিন্টার দ্বারা কি কি প্রিন্ট করা যায়?
আইডি কার্ড প্রিন্টারের ধরণ ও মডেল ভেদে সাদা সিন্থেটিক প্লাস্টিক কার্ড বা পিভিসি কার্ড ব্যবহার করে এর দ্বারা কর্মচারী আইডি ব্যাজ, সদস্যপদ কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, স্মার্ট কার্ড, প্রক্সিমিটি কার্ড, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কার্ড প্রিন্ট করা যায়।
বাংলাদেশে আইডি কার্ড প্রিন্টারের দাম কত?
বাংলাদেশে আইডি কার্ড প্রিন্টারের দাম এর ধরণ, ব্র্যান্ড, মডেল, প্রযুক্তি, গুণমান, ইত্যাদিত ভিত্তিতে ভিন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশে আইডি কার্ড প্রিন্টার কিনতে কমপক্ষে ৭০,০০০ টাকা থেকে ৭৫,০০০ টাকা খরচ করতে হবে যা একটি সিঙ্গেল সাইড আইডি প্রিন্টার। অন্যদিকে ডাবল সাইড আইডি প্রিন্টার কেনার জন্য সর্বনিম্ন ১০০,০০০ টাকার বেশি খরচ করতে হবে।
কোন ধরনের আইডি কার্ড প্রিন্টার কিনবো?
আইডি কার্ড প্রিন্টার কেনার আগে বিবেচনা করতে হবে কোন ধরনের আইডি কার্ড প্রিন্টার কিনবেন। যদি প্রতিনিয়ত কার্ডের ডাবল সাইড প্রিন্ট করার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে ডাবল সাইড আইডি কার্ড প্রিন্টার কিনতে হবে। অন্যদিকে, যদি কার্ডের সিঙ্গেল সাইড প্রিন্ট করার প্রয়োজন বেশি এবং মাঝে মাঝে কার্ডের ডাবল সাইড প্রিন্ট করার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সিঙ্গেল সাইড আইডি কার্ড প্রিন্টার কেনাই উত্তম। তাছাড়া, যে ধরনের কার্ড প্রতিনিয়ত প্রিন্ট করার প্রয়োজন হবে সে ধরনের কার্ড প্রিন্ট করতে সক্ষম প্রিন্টার নির্বাচন করতে হবে।
ডাই সাব্লিমেশন আইডি কার্ড প্রিন্টারের সুবিধা কি?
বেশির ভাগ আইডি কার্ড প্রিন্টার ডাই সাব্লিমেশন প্রিন্টিং পদ্ধতি ব্যবহার করে যেগুলো দ্রুত গতিতে আইডি কার্ড প্রিন্ট করতে সক্ষম। ডাই সাব্লিমেশন আইডি কার্ড প্রিন্টার রঙ গ্রেডেশন সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারে।
রিভার্স ট্রান্সফার আইডি কার্ড প্রিন্টারের সুবিধা কি?
কিছু আইডি কার্ড প্রিন্টার রয়েছে যেগুলো রিভার্স ট্রান্সফার প্রিন্টিং পদ্ধতি ব্যবহার করে যা এইচডি রেজোলিউশনের কার্ড প্রিন্ট করতে পারে তবে গতি তুলনামূলক কম। রিভার্স ট্রান্সফার আইডি কার্ড প্রিন্টার সর্বোচ্চ ভালো মানের ইমেজ গুণমান প্রদান করতে পারে বিধায় বাংলাদেশে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছে।
আইডি কার্ড প্রিন্টার কেনার আগে আর কি বিবেচনা করতে হবে?
১। প্রয়োজন অনুসারে সিঙ্গেল সাইড আইডি কার্ড প্রিন্টার বা ডাবল সাইড আইডি কার্ড প্রিন্টার নির্বাচন করতে হবে।
২। প্রয়োজনের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট প্রিন্টিং পদ্ধতি সম্পন্ন আইডি কার্ড প্রিন্টার নির্বাচন করতে হবে।
৩। আইডি কার্ডর প্রিন্টারের প্রতি ঘন্টায় কার্ড প্রিন্ট স্পিড এবং প্রতি পিস কার্ড প্রিন্ট এর খরচ বিবেচনায় আইডি কার্ড প্রিন্টার নির্বাচন করতে হবে।
৪। সাধারণত আইডি কার্ড প্রিন্টারে ইউএসবি পোর্ট কানেক্টিভিটি থাকে আবার কিছু আইডি কার্ড প্রিন্টারে ইউএসবি কানেক্টিভিটির পাশাপাশি ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি থাকে। তাই, প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট কানেক্টিভিটি সম্পন্ন আইডি কার্ড প্রিন্টার নির্বাচন করতে হবে।
৫। আইডি কার্ড প্রিন্টার কেনার আগে এর গুণমান বিবেচনায় কিনতে হবে। এবং, আইডি কার্ড প্রিন্টার এর সাথে নির্দিষ্ট সময়ের পার্টস এবং সার্ভিসিং ওয়ারেন্টি আছে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।