হিউমিডিফায়ার কেনাকাটা
হিউমিডিফায়ার হল এমন একটি মেশিন যেটি শুস্কতা কমিয়ে বাতাসে আদ্রতা প্রদান করে। বাংলাদেশের যখন শীতকালে আদ্রতা কমে তখন এটি উপযুক্ত আদ্রতা প্রদান করে মানবদেহের রোগকে প্রতিরোধ করে। আর প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এই হিউমিডিফায়ার হয়েছে অনেক উন্নত। এটিতে পানি দিলে মেশিনটি নিজেই আদ্রতা নিয়ন্ত্রন করে। বাংলাদেশে খব কম করে অনেক ভাল মানের হিউমিডিফায়ার পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে হিউমিডিফায়ারের দাম কত?
বাংলাদেশে হিউমিডিফায়ারের দাম ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয় এবং বিভিন্ন মানের পাওয়া যায়। এগুলোর সবার কাজ মোটামুটি একই তবে দাম নির্ভর করে এটি কি পরিমান জায়গা নিয়ন্ত্র করে এবং কত শুষ্কতাকে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আর ভাল মানের হিউমিডিফায়ারে বার বার পানি দেয়ার প্রয়োজন নেই এবং এতে থাকে আরও উন্নতমানের ফিচার।
হিউমিডিফায়ার কেনার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় বিবেচনা করা উচিত?
বাংলাদেশে হিউমিডিফায়ার শুধু কম বা বেশি দামের কিনলেই হবে না প্রয়োজন এবং চাহিদা অনুযায়ী এটি কেনা উচিত।
১। প্রথমে নির্ধারণ করতে হবে কি কাজে এটি ব্যবহার হবে যদি বাসায় ব্যবহার হয় তবে কম দামের ভিতর হিউমিডিফার কাজ করবে। আর যদি বাংলাদেশের কারখানায় ব্যবহৃত হয় তবে ভাল মানের বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হিউমিডিফায়ার কিনতে হবে। তার মানে কভারেজ জেনে নিতে হবে।
২। এটির হিউমিডিটি ক্যাপাসিটি কত এটি জেনে নিতে হবে মানে এটি প্রতি ঘন্টায় কত কেজি হিউমিডিটি তৈরী করতে পারে। যত বেশি হিউমিডিটি তৈরী করতে পারবে তত বেশি ভাল।
৩। হিউমিডিফায়ারের এয়ার সার্কুলেশন কত জেনে নিতে হবে। যদি অনেক বড় জায়গা হয় তবে এটি যত বেশি হবে তত ভাল।
৪। হিউমিডিফায়ারের ট্যাংক ক্যাপাসিটি বেশি হলে বার বার পানি দিতে হবে না। অনেক বড় পরিসরে এটি ব্যবহৃত হলে ট্যাংক ক্যাপাসিটি একটি গুরুত্তপুর্ন বিষয়। আর ভাল মানের হিউমিডিফায়ারে অটো ওয়াটার সংযোগ থাকে ফলে পানি দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
৫। প্রতি রিফিলে এটি কত ঘন্টা চলতে পারে দেখতে হবে।
৬। রিয়েল টাইম হিউমিডিটি দেখালে সবচেয়ে ভাল হয়। বাংলাদেশে এই ধরনের এয়ার হিউমিডিফায়ার এখন অনেক সহজলভ্য।
৭। এটির সাইজ যদি কম হয় তবে অনেক ক্ষেত্রে এক জায়গা থেকে আরেক যায়গায় সহজে বহন করা যায়। তবে বাসার হিউমিডিফায়ারগুলো সাধারণত ছোট হয়।
৮। সাধারণত হিউমিডিফায়ারে ফিল্টার লাগানো থাকে ফলে বড় ধরনের ভাসমান ময়লা আটকে যায়। এটি কত সহজে পরিষ্কার করা যায় জেনে নেয়া ভাল। তবে ছোট পোর্টেবল হিউমিডিফায়ারে সাধারণত এই ফিল্টার থাকে না।
৯। এটিতে শব্দ কেমন হয় এটি একটি গুরুত্তপুর্ন বিষয়। শব্দ জট কম হবে তত কাজের পরিবেশ ভাল হবে। তাছাড়া বাসায় ব্যবহার করলে এটি ঘুমের ব্যাঘাত করবে না।
১০। বাংলাদেশে এখন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হিউমিডিফায়ার পাওয়া যায় ফলে ইলেক্ট্রিসিটির বিল কম আসবে।
১১। আর স্মার্ট ফিচার কি আছে তার উপর নির্ভর করে এর দামের তারতম্য তাই বাজেট অনুযায়ী এটি দেখে কিনতে হবে।