হাসপাতালের বিছানা কেনাকাটা
হাসপাতালের বিছানা সাধারণত হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়। হাসপাতাল বিছানায় প্রয়োজন অনুসারে উন্নত বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত থাকে যা রোগীদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়। বাংলাদেশে হাসপাতাল বিছানা সাধারণত মেডিক্যাল বিছানা এবং রোগী বিছানা নামেও ব্যাপক পরিচিত। বাংলাদেশের হাসপাতালে সাধারণ ওয়ার্ড থেকে শুরু করে বিশেষায়িত ওয়ার্ডে রোগীদের কন্ডিশনের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের মেডিক্যাল বেড ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে, বিডিস্টল.কম এ কমদামে বিভিন্ন ধরনের হাসপাতাল বেড পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে হাসপাতাল বেডের দাম কত?
বাংলাদেশে মেডিক্যাল বেডের দাম এর ধরণ, বৈশিষ্ট্য, গুণমান, ইত্যাদির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বিছানার দাম কমপক্ষে ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু যা সাধারণ ওয়ার্ড এর জন্য উপযুক্ত। তাছাড়া, বিশেষায়িত ওয়ার্ডে ব্যবহার উপযুক্ত মেডিক্যাল বেড কেনার জন্য কমপক্ষে ৪০,০০০ টাকা খরচ করতে হবে।
বাংলাদেশে কয় ধরনের মেডিক্যাল বেড পাওয়া যায়?
প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের হাসপাতাল বেড বাংলাদেশে পাওয়া যায়। তবে, কার্যকারিতার ভিত্তিতে মেডিক্যাল বেডকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
ম্যানুয়াল বেডঃ ম্যানুয়াল বেড এর মাথা বা পায়ের দিকে উচ্চতা সামঞ্জস্য করতে হ্যান্ড ক্র্যাঙ্ক এর ব্যবহার করতে হয়। ম্যানুয়াল বেড সাধারণত বাংলাদেশের হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডে যেখানে কয়েকদিনের জন্য কম গুরুতর রোগী অবস্থান করে সেখানে ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হয়।
সেমি-ইলেকট্রিক বেডঃ সেমি-ইলেকট্রিক বেড এর মাথা বা পায়ের দিকে উঠানো ও নামানোর জন্য ইলেকট্রিক মোটর ব্যবহার করা হয়। তবে, সেমি-ইলেকট্রিক বেড এর উচ্চতা সামঞ্জস্য করার জন্য ম্যানুয়াল বেড এর ন্যায় হ্যান্ড ক্র্যাঙ্ক এর ব্যবহার করতে হয়। বাংলাদেশে সেমি-ইলেকট্রিক বেড কেনার জন্য কমপক্ষে ২৫,০০০ টাকা খরচ করতে হবে।
ইলেকট্রিক বেডঃ রিমোট কোন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে ইলেকট্রিক বেড এর মাথা বা পায়ের দিকে উঠানো ও নামানো যায় এবং এর উচ্চতা সামঞ্জস্য করা যায়। বাংলাদেশের হাসপাতালের বিশেষায়িত ওয়ার্ডে সাধারণত ইলেকট্রিক বেড ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে ইলেকট্রিক বেড কিনতে কমপক্ষে ৫০,০০০ টাকা খরচ করতে হবে।
তাছাড়া, রোগীর অবস্থা ও ধরণ ভেদে বিভিন্ন স্টাইলের হাসপাতাল বেড বাংলাদেশে ব্যবহার করা হয়। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ পেডিয়াট্রিক বেড, বার্থিং বেড, আইসোলেশন বেড, ইত্যাদি।
হাসপাতালের বেড কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?
১। হাসপাতাল বেড কেনার আগে কোন ধরনের মেডিক্যাল বেড প্রয়োজন তা বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে রোগীর ধরন বিবেচনায় হাসপাতাল বেড নির্বাচন করতে হবে। তবে, বিশেষায়িত ওয়ার্ডের জন্য সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক বেড নির্বাচন করা উচিত।
২। মেডিক্যাল বেড এর মাথা বা পায়ের দিকে প্রয়োজন অনুসারে উঠানো ও নামানোর যায় কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।
৩। হাসপাতাল বেড চাকা আছে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে কেননা গুরুতর মুহূর্তে রোগীকে স্থানান্তরের প্রয়োজন হতে পারে।
৪। হাসপাতাল বেড কেনার আগে এর দামের অনুপাতে গুণমান ঠিক আছে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।
৫। হাসপাতাল বেড এর সাইজ প্রয়োজন অনুপাতে সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
সর্বোপরি, হাসপাতাল বেডে অবশ্যই ভালো মানের ম্যাট্রেস ব্যবহার করতে হবে।
আইসিইউ বেড এর বিশেষত্ব কী?
আইসিইউ বেড মূলত ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটস (আইসিইউস) এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটস (সিসিইউস) বা ইন্টেন্সিভ থেরাপি ইউনিটস (আইটিইউস) এ ব্যবহার করা হয় যেখানে গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আইসিইউ বেডগুলো উন্নত প্রযুক্তির সাথে ডিজাইন করা হয় এবং আইসিইউ বেড সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক হয়ে থাকে। বাংলাদেশে আইসিইউ বেড এর দাম ৪৫,০০০ টাকা থেকে শুরু। তবে, অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন আইসিইউ বেড এর দাম ১০০,০০০ টাকার বেশি হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে বার্থিং বেড এর দাম কেমন?
বাংলাদেশে বার্থিং বেড সাধারণত লেবার বেড বা ডেলিভারি বেড হিসেবেও পরিচিত। বার্থিং বেড এর গুণমান ও বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে বাংলাদেশে সর্বনিম্ন ১৫,০০০ টাকার মধ্যে বার্থিং বেড কেনা যায়।
বাংলাদেশে কি ব্যবহৃত রোগীর বিছানা কিনতে পাওয়া যায়?
বাংলাদেশের বেশিরভাগ হাসপাতাল শুধুমাত্র নতুন রোগীর বিছানা কিনে ব্যবহার করে থাকে। সচরাচর মেডিক্যাল বেড পুরাতন হয়ে গেলে হাসপাতালগুলো তা বিক্রি করে দেয় আর সাধারণত লোকাল ক্লিনিকগুলো ব্যবহৃত রোগীর বিছানা সংগ্রহ করে থাকে। বাংলাদেশে ব্যবহৃত রোগীর বিছানা সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমদামে পাওয়া যায়।