গোপন ক্যামেরা কেনাকাটা
গুপ্তচর ক্যামেরা হচ্ছে এক ধরনের ক্যামেরা যা দেখতে সাধারন অন্য বস্তুর সাদৃশ্য হয়ে থাকে তবে ভিতরে ক্যামেরা থাকে। গুপ্তচর ক্যামেরাকে লুকানো ক্যামেরা, গোপন ক্যামেরা বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে অনেকে নিরাপত্তার জন্য হিডেন ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকেন।
গুপ্তচর ক্যামেরার প্রকার
আকৃতির উপর ভিত্তি করে গুপ্তচর ক্যামেরাকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায় যেমন বাটন ক্যামেরা, ঘড়ি ক্যামেরা, চার্জার ক্যামেরা, কলম ক্যামেরা, লাইট ক্যামেরা, কি রিং ক্যামেরা, ফটো ফ্রেম ক্যামেরা, পাওয়ার ব্যাঙ্ক ক্যামেরা, ক্যাবলে ক্যামেরা, চশমা ক্যামেরা, বোতাম ক্যামেরা, হুক ক্যামেরা। প্রয়োজন এবং স্থান অনুযায়ী গোপন ক্যামেরা নির্বাচন করা উচিত। এই ধরনের ক্যামেরাগুলি আকারে খুব ছোট তাই কখনো কখনো এগুলোকে ছোট ক্যামেরা বলা হয়।
হিডেন ক্যামেরার ব্যবহার
১. গোপনে কোন স্থানের ছবি তোলার জন্য গুপ্তচর ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
২. বড় কোন অপরাধী বা চোর ধরার জন্য গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৩. অনেক সাংবাদিকগণ তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকেন।
৪. বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করার জন্য গুপ্তচর ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৫. গুপ্তচর ক্যামেরা দ্বারা কোন স্থানের ভিডিও ধারণ করা সম্ভব এবং সার্বক্ষণিক নজর রাখা সম্ভব।
স্পাই ক্যামেরার দাম কত?
বাংলাদেশে স্পাই ক্যামেরার দাম সর্বনিম্ন ৬৫০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে যা স্পাই ক্যামেরার আকার, ভিডিওর গুণমান, রেকর্ডিংয়ের সময় এবং ব্যাটারির ব্যাকআপের উপর নির্ভর করে। আপনার বাজেট যাই হোক না কেন, স্পাই ক্যামেরা কেনার সময় নিশ্চিত করুন যে এর ভিডিও কোয়ালিটি ভালো এবং ব্যাটারির ব্যাকআপ ভালো।
গুপ্তচর ক্যামেরার কিছু ফিচার
গুপ্তচর ক্যামেরা কেনার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে এর ব্যাটারি কত শক্তিশালী সাথে ক্যামেরার মান কেমন। ভিডিওর সাথে শব্দ ধারণ করতে পারলে আরো ভাল হয়। এছাড়া ভিতরে কত জায়গা আছে ভিডিও ধারণ করার জন্য এটি দেখতে হবে। আর অতিরিক্ত মেমরি কার্ড যোগ করা যাবে কিনা এটিও গুরুত্তপুর্ন।