bdstall.com

ড্রিল মেশিনের দাম ২০২৪

আইটেম ১-৩ এর ৩

ড্রিল মেশিন Tool Box কেনাকাটা

বিশ্বব্যাপী ড্রিল মেশিন ব্যবহার করে যেকোনো শক্ত বস্তুর মধ্যে ছিদ্র করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ড্রিল মেশিন সাধারণত রাজমিস্ত্রি ও কাঠমিস্ত্রি বিভিন্ন নির্মাণ কাজে শক্ত উপাদানে ছিদ্র করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রিলিং হেড পরিবর্তন করে ড্রিল মেশিনের মাধ্যমে বিভিন্ন সাইজের ছিদ্র করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে কাজের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বিভিন্ন সাইজের ও পাওয়ারের ড্রিল মেশিন পাওয়া যায়।

ড্রিল মেশিন কিভাবে কাজ করে?

ড্রিলিং হেড রোটেট করার মাধ্যমে যেকোনো শক্ত উপাদানে ড্রিল মেশিন ছিদ্র করতে পারে। ড্রিল মেশিনের সাইজের ভিত্তিতে ছোট বড় মোটর অন্তর্নির্মিত থাকে যা ড্রিলিং হেড রোটেট করতে সাহায্য করে। এবং, ড্রিল মেশিনগুলো ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক উভয় ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে, পোর্টেবল হ্যান্ডহেল্ড ড্রিল মেশিনগুলো সতর্কতার সাথে ম্যানুয়ালি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

বাংলাদেশে কয় ধরনের ড্রিল মেশিন পাওয়া যায়?

বাংলাদেশে প্রধানত ম্যানুয়াল ও ইলেকট্রিক দুই ধরণের ড্রিল মেশিন পাওয়া যায়। বিভিন্ন সাইজে ম্যানুয়াল ও ইলেকট্রিক মেশিন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ব্যবহার করা হয়। সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলঃ

ম্যানুয়াল ড্রিল মেশিনঃ ম্যানুয়াল ড্রিল মেশিন ব্যবহারে কোন বৈদ্যুতিক সংযোগের প্রয়োজন হয় না। এই ধরণের ড্রিল মেশিন হাতের সাহায্য কাটিং টুল রোটেট করে বিভিন্ন শক্ত উপাদানে ছিদ্র করা হয়। ম্যানুয়াল ড্রিল মেশিনগুলো বিশেষ করে কাঠ ও টিনে ছিদ্র করার কাজে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া, ম্যানুয়াল ড্রিল মেশিনের দাম তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।

ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিনঃ ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিন চালু ও বন্ধ করার জন্য সুইচ সিস্টেম থাকে। যা চালু করলে ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিনের অন্তর্নির্মিত ইলেকট্রিক মোটর ঘুরতে শুরু করে এবং প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো জায়গায় ছিদ্র করা যায়। বর্তমানে বিশেষ করে ইটের দেওয়াল ছিদ্র করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিন ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন সাইজের ও পাওয়ার সম্পন্ন ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিন বাংলাদেশে পাওয়া যায়।

ড্রিল মেশিন কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?

ড্রিল মেশিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও নির্মাণ কাজে বহুল ব্যবহৃত যন্ত্র। তাই, ড্রিল মেশিন কেনার আগে এর স্পিড, ডিজাইন, পোর্টাবিলিটি, ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

স্পিডঃ প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন স্পিডের ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিন বর্তমানে বাংলাদেশে পাওয়া যায়। সাধারণত ইলেকট্রিক হ্যান্ডহেল্ড ড্রিল মেশিনের স্পিড ১০০০ আরপিএম থেকে শুরু হয়ে, ৫০০০ আরপিএম পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই, প্রয়োজন অনুসারে সঠিক স্পিড সম্পন্ন ড্রিল মেশিন নির্বাচন করুন।

ডিজাইনঃ কাজের সুবিধার্থে ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বিভিন্ন ডিজাইনের ড্রিল মেশিন পাওয়া যায়। ড্রিল মেশিন বিভিন্ন শক্ত উপাদানে ছোট বড় ছিদ্র করে থাকে বিধায় একাধিক হ্যান্ডেলসহ ডিজাইন করা হয়। তাছাড়া, সাধারণ কাজে মিনি ড্রিল মেশিনের ব্যবহার অধিক জনপ্রিয়।

ড্রিলিং হেড কম্প্যাটিবিলিটিঃ ড্রিল মেশিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ড্রিল মেশিনের ড্রিলিং হেড প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তন করা যায়। তাই, ড্রিল মাশিন কেনার আগে কয়টি ড্রিলিং হেড সেই ড্রিল মেশিনের সাথে ব্যবহার করা যাবে তা বিবাচনা করতে হবে।

পোর্টেবিলিটিঃ ড্রিল মেশিন সাধারণ নির্মাণ কাজে অধিক ব্যবহার করা হয়। তাই, যেকোনো জায়গায় সহজে বহনযোগ্য করা যায় এমন ড্রিল মেশিন নির্বাচণ করতে হবে।

কন্ট্রোল সিস্টেমঃ ড্রিল মেশিনে একটি সুইচের মাধ্যমে চালু ও বন্ধ করার সিস্টেম থাকে। আবার, কিছু কিছু ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিনের স্পিড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আলাদা সুইচ থাকে। ড্রিল মেশিনের কন্ট্রোল সিস্টেম খুবি সহজ হয়ে থাকে। তবে, ড্রিল মেশিন নিয়ন্ত্রণ করতে এর সাথে থাকে ম্যানুয়াল গাইড ভালো ভাবে অনুসরণ করতে হবে।

পাওয়ারঃ ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিন মোটরের শক্তির ভিত্তিতে সাধারণত ৪০০ ওয়াট থেকে ৩০০০ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে। তাই, কাজের পরিধি ও প্রয়োজনীয়তা অনুসারে নির্দিষ্ট পাওয়ার সম্পন্ন ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিন নির্বাচন করতে হবে।

ড্রিল মেশিন ব্যবহারে সতর্কতা

  • কাজের সুবিধার্থে ড্রিল মেশিনের সাথে দীর্ঘ ওয়ারিং ব্যবহার করুন
  • ড্রিল মেশিনে বৈদ্যুতিক সংযোগের আগে ছকেট সর্ট সার্কিট রয়েছে কিনা যাচাই করে নিন
  • ড্রিল মেশিন ব্যবহারের আগে ম্যানুয়াল গাইড সঠিক ভাবে পড়ে নিতে হবে
  • সাবধানতার সাথে ড্রিল মেশিন ব্যবহার করে নির্দিষ্ট জায়গায় ছিদ্র করতে হবে। এবং ড্রিল করার স্থানে বৈদ্যুতিক তারের অস্তিত্ব আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে
  • ড্রিল মেশিন চালু থাকা অবস্থায় পরিষ্কার করা যাবে না
  • ড্রিল মেশিনকে পানির সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখতে হবে

বাংলাদেশে ড্রিল মেশিনের দাম কত?

বর্তমানে বাংলাদেশে ড্রিল মেশিনের দাম এর স্পিড, ডিজাইন, কন্ট্রোল সিস্টেম, এবং কম্প্যাটিবিলিটির ভিত্তিতে ১,৫০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকার মধ্য থেকে শুরু হয়। ড্রিল মেশিনের একাধিক ড্রিলিং হেডসহ প্যাকেজের দাম ২,০০০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকার মধ্য থেকে শুরু হয়ে থাকে। তবে, ৫,০০০ টাকার মধ্যে উন্নত মানের ড্রিলিং মেশিন পাওয়া যায় যেগুলো সকল কাজের জন্য উপযুক্ত।