গ্যাস চুলা কেনাকাটা
বিশ্বব্যাপী গ্যাসের চুলা ব্যবহার করে রান্না করা হয়। তাই, বর্তমানে প্রতিটি বাড়ির সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও অবিচ্ছেদ্য উপাদান হল গ্যাসের চুলা। বর্তমানে, বাংলাদেশে মিডিয়া, গীপাস, রিজকো, গাজী, এবং বিভিন্ন লোকাল ব্র্যান্ডের গ্যাসের চুলা পাওয়া যায়। তাছাড়া, বিডিস্টল থেকে বিভিন্ন ধরনের ও ব্র্যান্ডের গ্যাস স্টোভ কমদামে সংগ্রহ করতে পারবেন।
বাংলাদেশে কয় ধরনের গ্যাস স্টোভ পাওয়া যায়?
প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের চুলা বাংলাদেশে পাওয়া যায়। গ্যাসের চুলার ধরন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলঃ
অটোমেটিক গ্যাস স্টোভঃ এই গ্যাসের চুলাগুলোতে স্বয়ংক্রিয় ইগনিশন সিস্টেম রয়েছে তাই অটোমেটিক গ্যাসের চুলা হিসেবে পরিচিত। অটোমেটিক গ্যাসের চুলার বাটনে চাপ দিয়ে বা টিপ দিয়ে অথবা গাঁট ঘুরিয়ে গ্যাস বার্নার জ্বালানো যাবে সেক্ষেত্রে কোন আলাদা লাইটার বা ম্যাচস্টিক ব্যবহার করতে হবে না। স্বয়ংক্রিয় ইগনিশন সিস্টেমের কারণে এই গ্যাসের চুলা তুলনামূলক বেশি নিরাপদ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে অটোমেটিক গ্যাসের চুলাগুলো বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেছে। অটোমেটিক গ্যাসের চুলাগুলোতে সাধারণত এলপিজি ও ন্যাচারাল গ্যাস সহ সবধরনের গ্যাস ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া, অটোমেটিক গ্যাসের চুলাগুলো গ্যাস সাশ্রয় করতে পারে।
ম্যানুয়াল গ্যাস স্টোভঃ বাংলাদেশে ব্যাপক হারে ম্যানুয়াল গ্যাসের চুলার ব্যবহার করা হয়। ম্যানুয়াল গ্যাসের চুলার গাটঁ ঘুরিয়ে গ্যাস প্রবাহ শুরু করতে হয় তারপর লাইটার বা ম্যাচস্টিক ব্যবহার করে আগুন জ্বালানো যায়। মানুয়াল গ্যাসের চুলার সাথে এলপিজি ও ন্যাচারাল উভয় গ্যাস ব্যবহার করা যায়। তবে, ম্যানুয়াল গ্যাসের চুলার দাম তুলনামূলক কম হয়।
এছাড়াও, অটোমেটিক ও ম্যানুয়াল চুলার সিঙ্গেল বার্নার ও ডাবল বার্নার চুলা ব্যাপক জনপ্রিয়। আবার, কিছু কিছু ডাবল বার্নার চুলায় অতিরিক্ত একটি ছোট বার্নার থাকে। তবে, বিভিন্ন রেস্তোরায় কাস্টোমাইজ গ্যাসের চুলা ব্যবহার করতে দেখা যায়।
গ্যাসের চুলা কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?
বাংলাদেশে প্রায় সর্বত্র গ্যাসের চুলা ব্যবহার করে রান্ন করা হয়। প্রয়োজন অনুসারে অটোমেটিক ও ম্যানুয়াল উভয় ধরনের গ্যাসের চুলা ব্যবহার করা হয়। তবে, গ্যাসের চুলা সংগ্রহ করার পূর্বে অবশ্যই কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
বার্নারঃ গ্যাসের চুলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বার্নার। কেননা গ্যাসের চুলার বার্নারের মধ্যে আগুন জ্বলে যা ব্যবহার করে রান্না ও অন্যান্য কাজ করা হয়। এবং, কিছু কিছু বার্নার রয়েছে যেগুলো আগুনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে ফলে গ্যাস সাশ্রয় হয়। তাই, উন্নত মানের বার্নার যুক্ত গ্যাসের চুলা নির্বাচন করতে হবে।
গ্যাস সাশ্রয়ঃ বর্তমানে এলপিজি ও এনজি গ্যাসের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই গ্যাস সাশ্রয়ী চুলা নির্বাচন করতে হবে। অটোমেটিক গ্যাস স্টোভগুলো অধিক গ্যাস সাশ্রয়ী হয়ে থাকে।
প্যানেলঃ বর্তমানে বিভিন্ন উপাদানের তৈরি প্যানেল সহ গ্যাসের চুলা পাওয়া যায়। বিশেষ করে গ্লাসের প্যানেল সহ গ্যাসের চুলাগুলো বাংলাদেশে অধিক জনপ্রিয়। এছাড়াও, বিভিন্ন ডিজাইন সহ গ্যাসের চুলা পাওয়া যায়। তাই, রান্নাঘরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের ভিত্তিতে গ্যাসের চুলা নির্বাচন করতে হবে।
সাইজঃ বাংলাদেশের মানুষের চাহিদার অনুপাতে বিভিন্ন সাইজের গ্যাস স্টোভ পাওয়া যায়। তাই, রান্নাঘরের গ্যাসের চুলা রাখার জায়গা অনুপাতে গ্যাসের চুলা কেনা উচিত।
বাংলাদেশে গ্যাসের চুলার দাম কত?
বাংলাদেশে গ্যাসের চুলার দাম চুলার ব্র্যান্ড, বার্নার সংখ্যা, প্যানেল, ও কোয়ালিটির ভিত্তিতে ১,০০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকার মধ্য থেকে শুরু হয়। উন্নত মানের অটোমেটিক গ্যাসের চুলাগুলো ৩,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। তবে, ১০,০০০ টাকার মধ্যে আকর্ষণীয় গ্লাস প্যানেলসহ উন্নত মানের অটোমেটিক গ্যাসের চুলা পাওয়া যায়। তাছাড়া, ম্যানুয়াল গ্যাসের চুলাগুলো তুলনামূলক কমদামে বাংলাদেশে পাওয়া যায়।