মেঝে মাদুর কেনাকাটা
গৃহসজ্জার শখ সবারই থাকে। আর এই গৃহসজ্জার জন্য আকর্ষণীয় ফ্লোর ম্যাট সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফ্লোর ম্যাট শুধু গৃহসজ্জার কাজে ব্যবহৃত হয় বিষয়টি এমন নয় বরং বিভিন্ন অফিস, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, মসজিদ এবং বিভিন্ন স্থানে এর ব্যবহার দেখা যায় বহু আগে থেকেই। এই ফ্লোর ম্যাটকে কেও আবার কার্পেট নামেও চিনে থাকে। বাংলাদেশে ফ্লোর ম্যাট খুবই সস্তা দামে পাওয়া যায় তাই গ্রাহকগণও বেশ আনন্দের সাথে এগুলো কিনতে পারে।
বিডিতে কত রকমের ফ্লোর ম্যাট পাওয়া যায়?
- বিডিতে বিভিন্ন রকমের ফ্লোর ম্যাট পাওয়া যায়। এগুলো হলোঃ
- ইলেক্ট্রিক্যাল রাবার ম্যাট
- মসজিদ কার্পেট
- বাচ্চাদের ম্যাট
- ফ্লোর ম্যাট
- শীতল পাতি
কার্পেটগুলো কি কি দিয়ে তৈরি হয়?
বাংলাদেশের কার্পেটগুলো বিভিন্ন রকমের ফেব্রিক্স দিয়ে তৈরি হয়। কার্পেট ভেদে ফেব্রিক্স ভিন্ন হয়। যেমনঃ
ইলেক্ট্রিক্যাল রাবার ম্যাটঃ ইল্যাক্ট্রিক্যাল রাবার ম্যাট প্লাস্টিক রাবার ফেব্রিক্স দিয়ে তৈরি হয়। এই ইলেক্ট্রিক্যাল রাবার ম্যাট গুলো বিভিন্ন রকম স্যাঁতস্যাঁতে স্থান ও কল কারখানায় ব্যবহার হতে দেখা যায়। কেননা স্যাঁতস্যাঁতে স্থানের আশেপাশে যদি বৈদ্যুতিক লাইন থাকে তাহলে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। কিন্তু এ স্থান গুলোতে যদি ইলেক্ট্রিক্যাল রাবার ম্যাট গুলো ব্যবহার করা হয় তাহলে আর বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনার আশংকা থাকে না। একই ভাবে কল কারখানায় ব্যবহারের মূল কারণ হলো শ্রমিক বা গ্রাহকদের নিরাপদে থাকার জন্য।
মসজিদের কার্পেটঃ মসজিদের কার্পেট গুলো উল এবং তুলার সংমিশ্রণে তৈরি এক জাতীয় ফেব্রিক্স দিয়ে তৈরি হয়। এগুলো আকারে অনেক বড় এবং আয়তনেও মোটা হয়। এই কার্পেট গুলো বিশেষভাবে শীতের মৌসুমের জন্য তৈরি করা হয় ফলে তীব্র শীতকালেও ঠান্ডা অনুভব হয় না শরীরে।
বাচ্চাদের ম্যাটঃ ছোট বাচ্চারা হামাগুড়ি, লাফালাফি করতে বেশি পছন্দ করে তাই বিছানার উপর থাকতে চায় না। কিন্তু তাদের বিছানা থেকে নামাতে গেলেও পিতামাতাদের বিভিন্ন রকমের চিন্তা থাকে বাচ্চাদের নিয়ে যে তারা কোনো ময়লা মুখে তুলে নিলো কিনা, শীত কালে পায়ে ঠান্ডা লাগবে কিনা এবং অন্যান্য আরও অনেক দুশ্চিন্তা। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য তৈরি এই বিশেষ ম্যাট গুলো বিভিন্ন রঙ ও উন্নত মানের প্লাস্টিক ফেব্রিক দিয়ে তৈরি থাকে তাই ঠান্ডার চিন্তা করতে হয় না পিতামাতাদের। এই ম্যাট গুলো খুব সহজেই ধোয়া যায় এবং পরিষ্কার করা যায়।
ফ্লোর ম্যাটঃ এই ম্যাট বা কার্পেট গুলো বাসাবাড়ি, অফিস, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যপক ভাবে ব্যবহার হতে দেখা যায়। মেঝের সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি বারবার মেঝে পরিষ্কারের ঝামেলা থেকেও গৃহিণীদের আরাম পেতে এই ফ্লোর ম্যাট গুলো বিশেষ উপকার করে থাকে। ফ্লোর ম্যাট ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে খুব সহজেই পরিষ্কার করা যায়। কিন্ত টাইলস, মোজাইক বা সিমেন্টের মেঝেকে পরিষ্কার করতে হলে পানি দিয়ে মুছে নিতে হয় আগে। এতে সময় অপচয় এবং শ্রম দুইটিই দিতে হয়। এই ফ্লোর ম্যাট গুলো নাইলন ও পলিয়েস্টারের সমন্বয়ে এক ধরণের ফেব্রিক দিয়ে তৈরি হয়।
শীতল পাটিঃ শীতল পাটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যগত কুটির শিল্প যা বেত নামক উদ্ভিদের ছাল থেকে তৈরী হয়।
ফ্লোর ম্যাট বা কার্পেট কেনার আগে কি কি জানা দরকার?
ফ্লোর ম্যাট বা কার্পেট কেনার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা বিষয় ভাবে জরুরী। তাই ফ্লোর ম্যাট বা কার্পেট কেনার আগে জেনে নিতে হবে নিচের বিষয় গুলোঃ
১। ফ্লোর ম্যাট বা কার্পেট কেনার আগে জানতে হবে এটি ব্যবহার করতে হবে কোন স্থানে। এটি কি শুকনো জায়গায় নাকি সেঁতসেঁতে জায়গায় ব্যবহার হবে।
২। ব্যবহারের স্থানের আকারের সাথে কার্পেট বা ফ্লোর ম্যাটটির মাপ ঠিক আছে কিনা সেটি যাচাই করে নিতে হবে। মাপ অনুযায়ী না হলে ছোট হয়ে যাবে বা অনেক বড় হয়ে যবে।
৩। ফ্লোর ম্যাট কেনার আগে এটি কোন ফেব্রিক্স দিয়ে তৈরি সেটি জেনে নিতে হবে। মসজিদের জন্য ব্যবহার করতে চাইলে যদি ঘরে যে কার্পেট গুলো ব্যবহার হয় সেগুলো কেনা হয় তাহলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে কেননা ঘরে ব্যবহারের জন্য কার্পেট এবং মসজিদে ব্যবহারের কার্পেট গুলোর ফেব্রিক্স সম্পূর্ণ আলাদা।
৪। বাচ্চাদের জন্য ফ্লোর ম্যাট কিনতে চাইলে অবশ্যই কালারফুল ফ্লোর ম্যাট কেনা ভাল এবং একটু বড় সাইজের কেনা ভাল। বাচ্চারা দৌড় দিতে গিয়ে পরে গেলেও শরীরে আঘাত লাগবে না।
৫। সর্বোপরি পছন্দের ফ্লোর ম্যাটকে নিয়মিত ধোঁয়া বা পরিষ্কার করা যাবে কি না সেটি দেখে নিতে হবে। অনেক কম দামি কার্পেট থাকে যেগুলো একবার বা দুইবার ধোয়া হলেই রঙ উঠে যায়। তাই এগুলো না কেনাই ভাল।
বিডিতে কার্পেটের দাম কত?
বিডিতে কার্পেটের দাম শুরু হয় মাত্র ৫৫০ টাকা থেকে শুরু। আরও বিভিন্ন রকমের কার্পেট রয়েছে যাদের দাম নির্ধারিত হয় এদের সাইজ, ফেব্রিক্স, ডিজাইন এবং অন্যান্য কিছু বিশেষত্বের উপর নির্ভর করে। তবে ভাল মানের ফ্লোর ম্যাট কিনতে গেলে আরেকটু বেশি টাকা খরচ করতে হবে। তবে বাচ্চাদের ম্যাটগুলো ১,০০০ টাকার ভিতর ভাল পাওয়া যায় এবং যথেষ্ট বড়।