ফ্যাক্স মেশিন কেনাকাটা
ফ্যাক্স মেশিন মূলত এমন এক ধরণের টেলিকমিউনিকেশন ডিভাইস যা প্রিন্ট বা হাতে লেখা ডকুমেন্ট, ছবি টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে দীর্ঘ দূরত্বে আদান প্রদান করতে ব্যবহার হয়। বিডিতে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক যোগাযোগের উদ্দেশ্যে ডকুমেন্ট, ছবি আদান প্রদানে সুবিধাজনক ও নির্ভরযোগ্য ডিভাইস হিসেবে ফ্যাক্স মেশিন ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়। তাছাড়া, ফ্যাক্স মেশিন তুলনামূলকভাবে দামে সাশ্রয়ী এবং পরিচালনা করা সহজ হওয়ায় বাংলাদেশে ছোট ব্যবসা, সরকারী অফিস এবং ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় ডিভাইস।
ফ্যাক্স মেশিনের দাম কত?
ফ্যাক্স মেশিনের দাম সাধারণত ব্র্যান্ড, স্পেসিফিকেশন এবং গুণমান ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বর্তমানে, বাংলাদেশে ফ্যাক্স মেশিনের দাম ৮,৫০০ টাকা থেকে শুরু যা সাধারণত প্লেইন পেপার ফ্যাক্স মেশিন। থার্মাল ফ্যাক্স মেশিন ১১,০০০ টাকা থেকে ১৮,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও, বাংলাদেশে মনোক্রোম লেজার ফ্যাক্স মেশিন পাওয়া যায়, যার দাম ২৮,০০০ টাকা থেকে শুরু।
ফ্যাক্স মেশিন কেনার আগে কি কি দেখতে?
১। সামঞ্জস্যতাঃ টেলিফোন সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে কিনা ফ্যাক্স মেশিন কেনার আগে তা যাচাই করতে হবে।
২। ট্রান্সমিশন স্পিডঃ দ্রুত সময়ে নির্ভরযোগ্যভাবে ডকুমেন্ট আদান প্রদান নিশ্চিত করতে ফ্যাক্স মেশিনে উচ্চ ট্রান্সমিশন গতি রয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে।
৩। পেপার হ্যান্ডলিংঃ ইনপুট ট্রে আকার এবং ডকুমেন্ট ফিডার ইত্যাদি ভালো ভাবে যাচাই করে নিতে হবে।
৪। মেমরির ক্ষমতাঃ ইনকামিং এবং আউটগোয়িং ডকুমেন্টস আদান প্রদানের জন্য ফ্যাক্স মেশিনে যথেষ্ট মেমরি রয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে।
৫। রেজোলিউশনঃ ডকুমেন্টস, ছবি প্রিন্টিং, কপি কিংবা রিইডিট করার জন্য উচ্চ-রেজোলিউশন সম্পন্ন ফ্যাক্স মেশিন বাছাই করতে হবে৷
৬। ব্যবহারকারী-বান্ধবঃ ফ্যাক্স মেশিনের ইন্টারফেস সহজে অপারেট ও কন্ট্রোল করা যায় কিনা তা যাচাই করে নেওয়া উচিত।
৭। কানেক্টিভিটিঃ নির্দিষ্ট প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে ইউএসবি, ইথারনেট কিংবা ওয়্যারলেস সংযোগ ব্যবস্থা রয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে।
৮। ওয়্যারেন্টি ফ্যাসিলিটিঃ ফ্যাক্স মেশিন কেনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওয়ারেন্টি এবং যে কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে যথাযথ গ্রাহক সহায়তা পাওয়া যাবে কিনা তা যাচাই করতে হবে।