ট্রান্সফরমার কেনাকাটা
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সরকার স্থাপিত ট্রান্সফরমার মেশিন দেখা যায়। তবে এগুলো দিয়ে বড় এপার্টমেন্ট, অফিস বা কারখানার লোড ম্যানেজ করা যায় না তখন দরকার হয় অতিরিক্ত ট্রান্সফরমার। বাংলাদেশে এগুলোকে পাওয়ার সাব-স্টেশন নামেও পরিচিত।
বাংলাদেশে কত প্রকার ট্রান্সফরমার পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে দুই প্রকারের ট্রান্সফরমার পাওয়া যায়, যথাঃ স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার এবং স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার। এই দুই প্রকার ট্রান্সফরমার মেশিনে রয়েছে কিছু প্রযুক্তিগত ভিন্নতা। নিচে গ্রাহকদের সহায়তার উদ্দেশ্যে ট্রানফর্মারের প্রকারভেদ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ভাবে আলোচনা করা হলোঃ
- স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার
- স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার
স্টেপ আপ ট্রান্সফরমারঃ
স্টেপ আপ ট্রান্সফরমারে মূলত প্রাথমিক ভাবে ভোল্টেজ দিলে সেকেন্ডারীতে উচ্চ ভোল্টেজ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার ইনপুট ভোল্টেজ বাড়ায় এবং আউটপুট হিসাবে বর্ধিত ভোল্টেজ প্রদান করে। এটি ইউপিএস, আইপিএস, ইনভার্টার জাতীয় প্রভৃতি যন্ত্রপাতিতে এই ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা হয়।
স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমারঃ
স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার স্টেপ আপ ট্রান্সফরমারের বিপরীত। এটি মূল ট্রান্সফরমারে ভোল্টেজ সাপ্লাই দেয়ার পরে আউটপুটে নিম্ন মানের ভোল্টেজ প্রদান করে থাকে।
বাংলাদেশে ট্রান্সফরমারের দাম কত?
বাংলাদেশে ট্রান্সফরমারের দাম শুরু হয় ২,০০০,০০০ টাকা থেকে। এটি ৬৩০ কেভিএ সাপোর্ট করতে সক্ষম। তবে আরও কম ট্রান্সফরমার পাওয়া যায় যেগুলো দিয়ে ছোট এপার্টমেন্ট বা কারখানা ভালভাবে চালানো যায়। আর এক ধরনের ট্রান্সফরমার আছে যেগুলো দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের লেড লাইটিং, টিভি এবং ছোটখাট ডিভাইসে চালানো যায় এবং এগুলোর দাম হাজার টাকার ভিতর।আকৃতি, ব্র্যান্ড, কেভিএ এবং প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে বাংলাদেশে ট্রান্সফরমারের দাম নির্ধারণ করা হয়।
কীভাবে সঠিক ট্রান্সফরমার পছন্দ করবো?
বিভিন্ন প্রকার ট্রান্সফরমার থেকে যেভাবে সঠিক ট্রান্সফরমারটি বেছে নেয়া যায় তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলোঃ
আকারঃ
সর্বপ্রথম একটি ট্রান্সফরমারের আকারের দিক বিবেচনা করা লাগবে। কেননা আকারের উপর ভিত্তি করেই ট্রান্সফরমার কোথায় সেট করা হবে সেটি বুঝা যাবে। তাই যেকোনো প্রযুক্তির ট্রান্সফরমার কেনার আগে অবশ্যই ট্রান্সফরমারের আকার বিবেচনা করতে হবে।
কেভিএঃ
কত কেভিএ শক্তি দরকার সে অনুযায়ী ট্রান্সফরমার পছন্দ করতে হবে। কারণ প্রয়োজন অনুসারে ট্রান্সফরমারের কেভিএ মিল না হলে সঠিক ভাবে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন করতে ট্রান্সফরমার অক্ষম হবে। দরকারের চেয়ে কেভিএ কম হলে ট্রান্সফরমার বিদ্যুৎ সরবারহ সব স্থানে করতে পারবে না আবার দরকার থেকে বেশি হয়ে গেলে বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা ঘটবে। তাই দরকার মাফিক কেভিএ সামঞ্জস্যতা রাখা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন কেভিএর টারন্সফর্মার মেশিন পাওয়া যায় যেমনঃ
- ১০ কেভিএ ট্রান্সফরমার
- ৩০ কেভিএ ট্রান্সফরমার
- ১০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার
- ২০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার
- ৬৩০ কেভিএ ট্রান্সফরমার
- ৮০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার
- ১০০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার সহ আরও অনেক রকমের
প্রকারভেদঃ
স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার এবং স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার কাজের দিক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আউট পুট বেশি চাইলে নিতে হবে স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার এবং আউট পুট কম চাইলে নিতে হবে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার।