বাইক কেনাকাটা
বৈদ্যুতিক বাইক মূলত বৈদ্যুতিক মোটর এবং রিচার্জেবল ব্যাটারি দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এটি স্বল্প থেকে মাঝারি দূরত্বে যাতায়াতের জন্য সুবিধাজনক বাহন। ইলেকট্রিক বাইক ব্যবহারে ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন না হওয়ায় শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশাজীবি ব্যাক্তিদের পাশাপাশি বয়স্ক ব্যাক্তিদের ব্যবহারের জন্য আদর্শ বাইক। বর্তমানে, ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে ইওয়েভ, রানার, আকিজ, এক্সপ্লয়ট সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আকর্ষণীয় ডিজাইনের ইলেকট্রিক বাইক সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।
ইলেকট্রিক বাইক কেন নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী?
১। প্রচলিত মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ির তুলনায় ই বাইক যথেষ্ট খরচ সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। কারন এই ধরনের বাইক মূলত রাইডিং এর ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া, রক্ষণাবেক্ষণ খরচও যথেষ্ট কম হওয়ায় দৈনন্দিন যাতায়াতে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত ইলেকট্রিক বাইক।
২। এই ধরনের বাইক ব্যবহারে কার্বন নিঃসরণের হার শূন্যের কোঠায়, যা পরিবেশে বায়ু দূষন মুক্ত রাখতে যথেষ্ট কার্যকর। ফলে, ই বাইক পরিবেশ সচেতন ব্যাক্তিদের জন্য উপযুক্ত।
৩। তীব্র যানজটের মধ্যে বৈদ্যুতিক বাইক সহজে অপারেট করা যায় এবং দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে সহায়তা করে থাকে।
৪। এই ধরনের বাইক কমপ্যাক্ট সাইজের হওয়ায় যেকোনো রাস্তায় সহজে রাইডিং করা যায় পাশাপাশি ছোট পরিসরের জায়গায় পার্কিং করা যায়।
৫। কিছু কিছু বৈদ্যুতিক বাইকে প্যাডেল যুক্ত থাকায় দৈনন্দিন যাতায়াতে প্যাডেলিং করার মাধ্যমে ফিটনেস উন্নত রাখা যায়।
৬। বৈদ্যুতিক বাইক মোটরসাইকেল বা স্কুটারের তুলনায় কেন্দ্রে গ্রেভেটি কম থাকার কারণে রাইডারদের ভালো নিয়ন্ত্রণ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে। ফলে, চালানো সহজ হয় এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
৭। মোটরসাইকেল বা গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক বাইকের সর্বোচ্চ গতি সাধারণত কম হয়ে থাকে। যা নিরাপদ রাইডিং এর ক্ষেত্রে রাইডারদের আরামদায়ক গতি বজায় রাখতে পারে সহায়তা করে।
ইলেকট্রিক বাইকের দাম কত?
বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক বাইকের দাম সাধারণত ব্র্যান্ড, মডেল, বৈদ্যুতিক মোটর পাওয়ার, ব্যাটারি ক্যাপাসিটি সহ অন্যান্য ফিচার সমূহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বর্তমানে, বাংলাদেশে ই বাইকের দাম ৪৬,০০০ টাকা থেকে শুরু, যাতে ২৫০ ওয়াট এর মোটর এবং প্যাডেল যুক্ত রয়েছে। এছাড়াও, উন্নত ফিচার এবং উচ্চ পাওয়ার ক্যাপাসিটির মোটর যুক্ত বৈদ্যুতিক বাইক ৬৫,০০০ টাকা থেকে ১২৫,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়।