নিকন ডিএসএলআর কেনাকাটা
বর্তমানে নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরার বিশেষ বৈশিষ্ট্যর কারণে বাংলাদেশের মানুষের চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করছে। যেকোন পরিস্থিতি ও যেকোন অ্যাঙ্গেল থেকে নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরা নয়েস ব্যতীত সম্পূর্ণ পরিষ্কার ছবি তুলতে পারে। নতুন কিংবা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরা তৈরী করা হয়।
নিকন ক্যামেরা কেন অন্যান্য ডিএসএলআর ক্যামেরা থেকে আলাদা?
নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরায় তুলনামূলক আধুনিক ফিচার রয়েছে। বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
ডিসপ্লেঃ বেশিরভাগ নিকন ক্যামেরার ডিসপ্লে ফোল্ডিং টাইপ হয়ে থাকে এবং ৩৬০ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেল ঘুরিয়ে যেকোনো অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তোলা যায়। পাশাপাশি নিকন ক্যামেরায় সরাসরি সম্প্রচার করার ফাংশন রয়েছে। ফলে, ক্যামারা সরাসরি সম্প্রচারকালীন অবস্থায় ছবি কিংবা ভিডিও করা যায়। এছাড়াও, টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে সহ নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরা রয়েছে যেগুলোতে সহজেই ফ্রেমের ফোকাস পয়েন্ট ঠিক রাখা যায়।
ক্যামেরা বডিঃ নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ক্যামেরার বডি। নিকন ক্যামেরার বডি মূলত উচ্চমাত্রার কঠিন কার্বন ফাইভার এবং থারমোপ্লাস্টিক দিয়ে আকর্ষণীয় ডিজাইনের সাথে তৈরী করা হয়। তাছাড়া ক্যামেরা বডিতে কঠিন কার্বন ফাইভার ও থারমোপ্লাস্টিক এর সাথে ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম এর সংমিশ্রন থাকায় ক্যামেরার বডি সহজেই নষ্ট হয় না। ফলে, নিকন ক্যামেরার বডি দেখতে সুন্দর এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
ভিউ ফাইন্ডারঃ নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরায় অপটিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ভিউ-ফাইন্ডার ব্যবহার করা হয়। অপটিক্যাল ভিউ-ফাইন্ডার হচ্ছে ক্যামেরার বডিতে ছোট একটি উইন্ডো যা ব্যবহার করে ছবির ফ্রেম ঠিক রাখা হয়। ফলে, নিকন ক্যামেরার ভিউ-ফাইন্ডারে চোখ রাখলে যেকোনো সূক্ষ বস্তুও চোখে পড়ে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ছবির ফ্রেমিং করা যায়।
শাটার স্পীডঃ গতিশীল কোনো বস্তুর বা দৃশ্যের ছবি তোলার ক্ষেত্রে শাটার স্পীডের প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত গতিতে চলমান বস্তুর ঝাপসা ও ফ্রীজ মোশন ছাড়া ছবি তোলা কিংবা ধীর গতিতে চলমান কোনো কিছুর ছবি ক্যাপচার করার জন্য শাটার স্পীডের উপর নির্ভর করতে হয়। নিকনের বিভিন্ন মডেলের ক্যামেরার মধ্যে সর্বোচ্চ ১/৮০০০ শাটার স্পীড ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
আইএসও সেন্সিটিভিটিঃ নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরা আইএসও রেঞ্জ সাধারন পরিসরে প্রায় ২০০ থেকে ১৬০০ আইএসও হয়ে থাকে৷ বর্তমানে, নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরাগুলির সাথে, ক্যামেরা মডেলের উপর নির্ভর করে কখনও কখনও ৫০ বা তিন মিলিয়নেরও বেশি আইএসও হয়ে থাকে।
ইমেজ সেন্সরঃ নিকন ব্র্যান্ডের ডিএসএলআর ক্যামেরায় মূলত সিএমওএস ইমেজ সেন্সর থাকে যা ছবি তোলা কিংবা ভিডিওগ্রাফী করার ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত কালার এবং আকর্ষণীয় কোয়ালিটির ইফেক্ট প্রদান করে। নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরার মডেলের ভিন্নতার ক্ষেত্রে ইমেজ সেন্সর সাইজ এবং অ্যাকচুয়াল ও এফেক্টিভ মেগাপিক্সেল ভিন্ন হয়ে থাকে।
মেমোরিঃ নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরায় এসডি, এসডিএইচসি ও এসডিএক্সসি মেমোরি কার্ড সমর্থণ করে। তবে এসডিএইচসি মেমোরি কার্ড সর্বোচ্চ ৮ থেকে ৩২ জিবি এবং এসডিএক্সসি মেমোরি কার্ড গুলো ৬৪ জিবির উপরে সাপোর্ট করে থাকে।
ব্যাটারিঃ নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরা নিজস্ব ব্র্যান্ডের লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করে থাকে। তবে ডিএসএলআর ক্যামেরার মডেলের ভিন্নতার জন্য ব্যাটারি ভিন্ন ভিন্ন মডেল ও পাওয়ারের হয়ে থাকে। তাই নিকন ক্যামেরা নেওয়ার সময় ব্যাটারি কতক্ষন চার্জ করতে হবে কিংবা কত পাওয়ারের ব্যাটারি ব্যবহার করতে হবে তা জেনে নিতে হবে।
বাংলাদেশে নিকন ক্যামেরার দাম কত?
বর্তমানে বিডিতে নতুন ও ব্যবহৃত উভয় কন্ডিশনে নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে নিকন ক্যামেরার দাম ক্যামেরা ফিচার, কোয়ালিটি, ও কন্ডিশনের ভিত্তিতে ১৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফটোগ্রাফি শিখার জন্য নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরাই অন্যতম। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি করার জন্য কমপক্ষে ৪০,০০০ টাকার মধ্যে নিকন ডিএসএলআর কেনা উচিত।
বাংলাদেশে নিকন ক্যামেরা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
প্রশ্নঃ নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরা কেন বেশি জনপ্রিয়?
উত্তরঃ নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরা মূলত আয়নাবিহীন ফোকাস জেড সিস্টেমের জন্য বেশি জনপ্রিয়।
প্রশ্নঃ নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরার মধ্যে কোন সেন্সর ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ নিকন ডিএসএলআর ক্যামেরায় ডিএক্স ফরমেট সেন্সর এবং এফএক্স ফরমেট সেন্সর ব্যবহার করা হয়।