ক্যানন ডিএসএলআর কেনাকাটা
ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরা তুলনামূলক সহজে অপারেট করা যায় বিধায় বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া, ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরা কম দামে সেরা ইমেজ কোয়ালিটি ও সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স প্রদান করে থাকে। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় গেজেট আইটেমের মত ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরার ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কেন ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনব?
ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরায় মূলত ভালো ইমেজ কোয়ালিটি ও ফোকাস-এক্সপোজার কন্ট্রোল সিস্টেম রয়েছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী লেন্স পরিবর্তন করার সুবিধাও আছে। অন্যান্য বিশেষ সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে উল্লেখ করা হলঃ
এলসিডি ডিসপ্লেঃ ছবি কিংবা ভিডিওগ্রাফির কাজে ফাংশন চেঞ্জ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরার এলসিডি ডিসপ্লে। সাধারণত বাইরের লোকেশনে সূর্যের আলোতে পরিষ্কার ছবি তোলা ও ভিডিও ক্যাপচার কিংবা সরাসরি সম্প্রচারের কাজ করার জন্য ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরার এলসিডি ডিসপ্লে প্লাস্টিক বা গ্লাস দিয়ে অ্যান্টি রিফ্লেক্টেড ভাবে তৈরি করা।
অটো ফোকাসঃ ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরায় অটো ফোকাস বা (এএফ) অপশন থাকে বিধায় সহজেই ছবির ফোকাসিং করা যায়। অটো ফোকাস অপশন চালু থাকলে ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরা সহজেই ফেস ট্র্যাকিং, পাখি, ও প্রাণী ট্র্যাকিং করতে পারে। ফলে, তুলনামূলক সহজেই গতিশীল বস্তুর পরিষ্কার ছবি তুলতে পারে।
ভিডিও কোয়ালিটিঃ ক্যানন ডিএসএলআরের সকল মডেলের ক্যামেরার মাধ্যমে কমপক্ষে এইচডি ও ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ডিং করা যায়। বেশিরভাগ ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরাগুলোতে অন্তর্নির্মিত অটো হাইব্রিড ফোকাসিং সিস্টেম রয়েছে বিধায় ভিডিও রেকর্ড করার সময় যেকোনো বস্তুকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ফোকাস করতে পারে। তাছাড়া, ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ভালো মানের ভিডিও তৈরী করা জন্য বর্তমানে বাংলাদেশে ভিডিওগ্রাফী লেন্স পাওয়া যায়।
ক্রপ ফ্যাক্টরঃ ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরায় ক্রপ ফ্যাক্টর অন্যতম ফিচার। ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরায় ক্রপ সেন্সরে ১.৬এক্স ক্রপ ফ্যাক্টর রয়েছে। ফলে ৫০ মি.মি প্রাইম লেন্সে ক্রপ ফ্রেম ব্যবহার করলে ৭৫ মিমি এর পরিবর্তে ৮০ মিমি পাওয়া যাবে। তাছাড়া, ক্যানন ক্যামেরায় ২০০ মিমি লেন্স ব্যবহার করেই ৩২০ মিমি লেন্সের সমমান ছবি ক্যাপচার করা যায়।
ক্যামেরা বডিঃ ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরার আকর্ষণীয় ডিজাইনের পাশাপাশি ক্যামেরার বডি যথেষ্ট মজবুত ভাবে তৈরী। ক্যানন ডিএসএলআর গুলোর বডি এবং ব্যাক কভার প্রধানত পলিকার্বোনেট দিয়ে তৈরী যার মধ্যে শতকরা ১০-২০ শতাংশ গ্লাস ফাইবার থাকে পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়াম এলয় থাকে। ফলে ক্যানন ক্যামেরা গুলোর স্থায়িত্ব লম্বা সময় ধরে থাকে।
ব্যাটারিঃ ক্যানন ডিএসএলআর মূলত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করে থাকে যাকে এলপি সিরিজ বলা হয়। তাছাড়া, ক্যাননের ব্যাটারি গুলো কমপক্ষে ৩ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। ক্যানন ডিএসএলআরের ব্যাটারিগুলৈ ২ঘন্টা চার্জ করলে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা অনায়াসে ছবি তোলা যায়।
বাংলাদেশে ক্যানন ক্যামেরার দাম কত?
বর্তমানে বিডিতে ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরা নতুন ও পুরাতন উভয় কন্ডিশনে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ক্যানন ক্যামেরার দাম ক্যামেরার মডেল, ফিচার, ও কন্ডিশনের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন ১৪,০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এন্ট্রি-লেভেল থেকে প্রফেশনাল লেভেল ফটোগ্রাফি করার জন্য বাজেট সমন্বয় সব ধরনের ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরা পাওয়া যায়।
ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরা সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
প্রশ্নঃ ক্যানন ক্যামেরায় ছবি তোলার জন্য কোন মোড সেরা?
উত্তরঃ ক্যানন ক্যামেরায় ছবি তোলার জন্য “অ্যাপারচার প্রায়োরিটি” মোড সেরা।
প্রশ্নঃ ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরার শাটার লিমিট কত?
উত্তরঃ শাটার লিমিট বলতে ছবি তোলার সংখ্যাকে বুঝায়। ক্যানন ক্যামেরার শাটার লিমিট সর্বনিম্ন ৩০,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩,০০,০০০ শাটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ একজন নতুন ফটোগ্রাফারের জন্য সেরা ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরা কোনটি?
উত্তরঃ ক্যানন ইওএস ২০০ডি ও রেবেল টি৭ ডিএসএলআর ক্যামেরা নতুন ফটোগ্রাফারদের জন্য উপযুক্ত।