৪কে Drone কেনাকাটা
প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে, ৪কে ক্যামেরা দিয়ে সজ্জিত ড্রোন মূলত এরিয়াল ফটোগ্রাফার এবং ভিডিওগ্রাফারদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। ৪কে ড্রোন দিয়ে আকর্ষণীয় ভিজ্যুয়াল ক্যাপচার করার জন্য উন্নত ক্যামেরা, আপডেটেড অ্যাপ্লিকেশন, এবং উন্নত সেন্সর যুক্ত রয়েছে, যা বিনোদনমূলক কিংবা নিরাপত্তার কাজে ব্যবহারের জন্য নতুন সম্ভাবনার ধার উন্মুক্ত করেছে। বর্তমানে, বাংলাদেশে ৪কে ড্রোন এরিয়াল ফটোগ্রাফার, ফিল্মমেকার, জরিপ এবং অনুসন্ধান কাজে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
৪কে ড্রোনের দাম কত?
৪কে ড্রোনের দাম সাধারণত ব্র্যান্ড, মডেল, বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য সরঞ্জামের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ৪কে ড্রোনের দাম ৪,৫০০ টাকা শুরু যা সাধারণত নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য এন্ট্রি-লেভেলের ৪কে ড্রোন। এছাড়াও, মিড-রেঞ্জের ৪কে ড্রোনের দাম ২০,০০০ টাকা থেকে শুরু যা ১০০ ডিগ্রী ক্যামেরা লেন্স, ২-এক্সিস জিম্বাল ৪কে ক্যামেরা, ১২০০ মিটার পর্যন্ত উড্ডয়ন সক্ষমতা এবং সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট ফ্লাইয়িং টাইম ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করে। পাশাপাশি, প্রফেশনাল গ্রেডের ৪কে ক্যামেরা যুক্ত ড্রোনের দাম বাংলাদেশে ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি হয়ে থাকে।
৪কে ড্রোনের সুবিধা কি?
৪কে ড্রোন এরিয়াল ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, ফিল্ম মেকিং, জরিপ, পরিদর্শন, অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযান সহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে থাকে যা বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ৪কে ড্রোন ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য সুবিধা হচ্ছেঃ
১। উচ্চ-রেজোলিউশন ফুটেজঃ ৪কে ড্রোনের প্রাথমিক সুবিধা হচ্ছে অনেক হাই ডেফিনেশন ফুটেজ ক্যাপচার করার সক্ষমতা রয়েছে। ৩৮৪০ x ২১৬০ পিক্সেলের রেজোলিউশন সহ, ৪কে ক্যামেরার ড্রোন অধিক স্বচ্ছ, তীক্ষ্ণ এবং বিস্তৃত পরিসরের ছবি ও ভিডিও ক্যাপচার করে।
২। সিনেমাটিক শটঃ ৪কে ড্রোন দিয়ে এরিয়াল শট নেওয়ার ক্ষেত্রে সিনেমাটিক ভিউ প্রদান করে। পাশাপাশি উচ্চ রেজোলিউশন, নির্ভুল ও উজ্জ্বল রঙ এবং মসৃণ গ্রেডিয়েন্ট সহ সুন্দর দৃশ্য ক্যাপচার করা যায়। এছাড়াও ৪কে ড্রোন দিয়ে চলচ্চিত্র, ভিডিওগ্রাফী করার ক্ষেত্রে উচ্চ-মান সম্পন্ন এবং পেশাদার-গ্রেডের ভিজ্যুয়াল তৈরি করা যায়, যা বর্তমানে বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পেশাদার থেকে নতুন ব্যবহারকারীদের কাছে মূল্যবান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
৩। এডভান্সড স্ট্যাবিলাইজেশনঃ বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তি, যেমন জিম্বাল এবং ইলেকট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন দিয়ে ৪কে ড্রোন ডিজাইন করা হয়েছে। এই ধরণের প্রযুক্তি যুক্ত ৪কে ড্রোন বাতাসে চলাচলের ক্ষেত্রে প্রভাব মুক্ত থেকে মসৃণ এবং স্থিতিশীল ফুটেজ কিংবা ইমেজ ক্যাপচার করে থাকে।
৪। মান সম্পন্ন ক্যাপচারঃ বর্তমানে ৪কে ড্রোন দিয়ে ফটোগ্রাফী ও ভিডিওগ্রাফী করার ক্ষেত্রে গুণগত মান অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরিয়াল ফটোগ্রাফার এবং ভিডিওগ্রাফারদেরকে আকর্ষণীয় ল্যান্ডস্কেপ ভিডিও কিংবা ছবি, আরকিটেকচারাল শট এবং অনন্য দৃষ্টিনন্দন ছবি, ভিডিও ক্যাপচার করার সুবিধা প্রদান করে। এছাড়াও বিভিন্ন উচ্চতায় এবং কোণ থেকে ছবি কিংবা ভিডিও করার যায় ৪কে ড্রোন দিয়ে।
৫। রিয়েল-টাইম মনিটরিং এবং এফপিবিঃ অনেক ৪কে ড্রোন এফপিবি বা ফার্স্ট-পারসন ভিউ সিস্টেমের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম মনিটরিং সুবিধা প্রদান করে। যা স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মতো ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত করে লাইভ স্ট্রিম করা যায়। এছাড়াও রিয়েল-টাইম মনিটরিং সাধারনত ফ্রেমিং এবং কম্পোজিশন উন্নত করার জন্য ক্যামেরা সেটিংস পরিবর্তন, ফ্লাইট পাথ এবং পছন্দসই শট ক্যাপচার করার সুবিধা প্রদান করে।
এরিয়াল ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির জন্য কোনটি সেরা ৪কে ড্রোন?
বর্তমানে বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে এন্ট্রি-লেভেল থেকে প্রফেশনাল গ্রেডে কাজ করার জন্য প্রায় সকল ধরণের ৪কে ড্রোন পাওয়া যায়। এরিয়াল ফটোগ্রাফি করার ক্ষেত্রে জেজেআরসি ৬-চ্যানেল ৪কে, ডিজেআই ফ্যান্টম ৪ প্রো, ডিজেআই ম্যাভিস ২ প্রো ইত্যাদি মডেলের ৪কে ড্রোন অধিক জনপ্রিয়। তবে এরিয়াল ফটোগ্রাফি কিংবা ভিডিওগ্রাফির জন্য ৪কে ড্রোন কেনার আগে বাজেট, নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা, পছন্দ অনুযায়ী বিবেচনা করা উচিত।
বাংলাদেশের সর্বাধুনিক কি কি প্রযুক্তির ৪কে ড্রোন রয়েছে?
বর্তমানে ৪কে ড্রোনের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যবহারকারী প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী প্রযুক্তিগত অনেক পরিবর্তন এসেছে। যার মধ্যে অবস্ট্যাকল এভয়ড্যান্স, ইন্টেলিজেন্ট ফ্লাইট মোড, এক্সটেন্ডেড ফ্লাইট টাইম, ইন্টিগ্রেটেড ক্যামেরা সিস্টেম, লাইভ স্ট্রিমিং এবং এফপিভি সহ অনেক নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত ৪কে ড্রোন বাংলাদেশে সেরা দামে পাওয়া যায়।