দরজার তালা কেনাকাটা
ডোর লক বর্তমান সময়ে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। এটি যেমন সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত তেমনই বিভিন্ন অন্যান্য সেবাও প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ডিজাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তির ডোর লক রয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডোর লক বাংলাদেশে এখন অনেক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশে কত রকমের ডোর লক পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে প্রযুক্তির দিক থেকে দুই ধরণের ডোর লক পাওয়া যায়। এগুলো হলোঃ
- স্মার্ট ডোর লক
- ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ডোর লক
স্মার্ট ডোর লকঃ স্মার্ট ডোর লক খুবই আধুনিক এবং উন্নত মানের। এটি নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। স্মার্ট ডোর লক গুলো ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, আরএফআইডি কার্ড স্ক্যান সেন্সর, এলার্ম এবং অনেক বিশেষত্ব দুয়ে সুরক্ষা নিচিত করা হয়।
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ডোর লকঃ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ডোর লক এটি তড়িৎচুম্বক শক্তির সাহায্যে কাজ করে। এই ডোর লক গুলো সাধারণত কাচের ও কাঠের দরজায় ব্যবহার করা হয়।
ডোর লক কেন ব্যবহার করা উচিৎ?
ডোর লক ব্যবহার করার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে। এই কারণ গুলো হলোঃ
১। ডোর লক ব্যবহার করলে বাসা, অফিস, ক্যাবিন, বিল্ডিং বা দরকারি অনেক জিনিসকে সুরক্ষিত রাখা যায়।
২। বিভিন্ন রকমের চুরি, ডাকাতি বা এজাতীয় জিনিস থেকে নিজের মূল্যবান জিনিসগুলোকে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ডোর লকের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩। স্মার্ট ডোর লক গুলো সাধারণ ডোর লকের মতো নয় বরং ডোর লকের পাশাপাশি আছে বিভিন্ন সুবিধা এই ডোর লক গুলোতে। যেমনঃ অচেনা কেও দরজা খুলতে চাইলে এলার্ম বাজবে সতর্ক করার জন্য।
৪। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরও থাকে অনেক ডোর লকে ফলে নির্দিষ্ট ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া আর কেও লক খুলতে পারবে না।
৫। বর্তমানে ডোর লকগুলো খুব মজবুত হয় তাই এগুলোকে কাটা সহজ হয় না। অনেক ডোর লকগুলোকে কাটাও যায় না। ফলে বাড়ি বা ব্যবহারের স্থান থাকে নিরাপদ।
৬। বিভিন্ন অ্যাপস, চাবি, ফেস, ফিঙ্গার, রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে যে ডোর লক গুলো আনলক করা হয় সেগুলো বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভাল।
৭। আরএফআইডি প্রযুক্তির ডোর লক রয়েছে বাংলাদেশে। এগুলো অফিস, আদালত এবং বিভিন্ন ভি.আই.পি স্থানে ব্যবহার করা হয়। এই কার্ড দিয়ে স্ক্যান করে তারপর ভিতরে প্রবেশ করতে হয়।
কোন ধরনের ডোর লক কিনবেন?
বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের ডোর লক আছে। এই ডোর লক গুলো বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার হয়। তাই ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কেনা উচিত যেমনঃ
প্যাড লকঃ প্যাড লক যা সাধারণ ভাবেই ব্যবহার হতে দেখা যায় আমাদের বাংলাদেশে সর্বত্র। তবে প্যাড লক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবল্বন করা জরুরী। কারণ কম দামি প্যাড লক গুলো তেমন মজবুত থাকে না ফলে এটিকে কাটা যায় খুব সহজেই। এটি খোলার জন্য যে চাবির দরকার হয় সেটি খুব সহজেই অন্যকেও বানিয়ে ফেলতে পারে বা ধাতব কোনো পদার্থ দিয়ে সহজেই তালা খোলা সম্ভব। তবে কিছু উন্নত মানের প্যাড লক আছে যেগুলো খুব মজবুত এবং অনেক ফিচার আছে। তাই এই প্যাড গুলো কেনা উচিৎ।
নব লকঃ নব লক গুলো দরজায় ব্যবহার হতে দেখা যায়। বর্তমানে খুব উন্নত মানের নব লক পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশে। নব লক গুলো ইনডোরে ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি। নব লকের একটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে এটি দরজার সাথে ফিক্সড থাকে। বারবার খুলতে ও লাগাতে হয় না। এটিকে চাবির সাহায্যে খোলা যায় এবং চাবির সাহায্যে লাগানো যায়।
লিভার হ্যান্ডেল লকঃ লিভার হ্যান্ডেল লক বাংলাদেশের সর্বত্র স্থানে দেখা যায়। লিভার হ্যান্ডেল বাড়ির মেইন গেইট, লকার, ব্যাংক এবং বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার হয়ে থাকে। লিভার হ্যান্ডেল লক মূল্যবান জিনিসকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী।
রিম লকঃ রিম লক গুলো যানবাহনের নিরাপত্তার জন্য বেশি ব্যবহার হতে দেখা যায় বাংলাদেশে। বাইক, সাইকেল, রিকশা, সিএনজি ইত্যাদি যানবাহন এই রিম লকের সাহায্যে লক করা হয়। রিম লক অনেক মজবুত হয় কেননা এগুলো শক্তিশালী মেটাল দিয়ে তৈরি। রিম লককে খুলতে ও লাগাতে চাবির দরকার হয়।
ফার্ণিচার লকঃ ফার্ণিচার লক গুলো ড্রেসিং টেবিল, শোকেস, আলমারি, কাভার্ড, টেবিল, ড্রয়ার সহ অনেক ফার্ণিচারে এই লক গুলো ব্যবহার হয়। ফার্ণিচার লক গুলো আকারে বেশি বড় হয় না তবে নিরাপত্তা প্রদানের দিক থেকে বেশ মজবুত।
বাংলাদেশে ডোর লকের দাম কত?
বাংলাদেশে ডোর লকের দাম শুরু হয় মাত্র ৪৯০ টাকা থেকে। বাংলাদেশে ডোর লকে এর দাম সর্বোচ্চ ২৯,৫৫০ টাকা মধ্যে হয়ে থাকে। বাংলাদেশে আরও বিভিন্ন রকমের ডোর লক আছে। মূলত বাংলাদেশে ডোর লকের দাম নির্ধারিত হয় ডোর লকের ধরণ, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য বিশেষত্বের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে ডোর লকের দাম কম হওয়ায় ডোর লকের ব্যবহার সর্বত্র দেখা যায়।