ভয়েস রেকর্ডার কেনাকাটা
ভয়েস রেকর্ডার মূলত স্পষ্ট শব্দ রেকর্ড করতে পারে এবং ফাইল ফরম্যাটে সংরক্ষণ করে রাখে যা প্রয়োজনে কম্পিউটারের মতো অন্যান্য ডিভাইসে স্থানান্তর করা যায়। বাংলাদেশে প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে অথবা সাক্ষাৎকার নেওয়ার ক্ষেত্রে অডিও রেকর্ডার ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে, প্রয়োজন অনুসারে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি সহ ভয়েস রেকর্ডার সাশ্রয়ী দামে বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
কেন ভয়েস রেকর্ডার ব্যবহার করবো?
সম্প্রতি মোবাইল ফোন দ্বারা অডিও রেকর্ড করা যায় তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা অশোভন। তাছাড়া, ভয়েস রেকর্ডারের ন্যায় উন্নত প্রযুক্তিতে অডিও রেকর্ড সব মোবাইল দ্বারা করা সম্ভব নয়। যে কারনে ভয়েস রেকর্ডার ব্যবহার করা উচিত।
১। ভয়েস রেকর্ডার ব্যবহার করে নয়েজ ফ্রি স্পষ্ট সাউন্ড রেকর্ডিং করা যায়।
২। ভিডিওগ্রাফি করার ক্ষেত্রে অডিও রেকর্ড করার জন্য ভয়েস রেকর্ডার ব্যবহার করা হয়।
৩। ভয়েস রেকর্ডার ব্যবহার করে প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন অডিও ফরমেটে অডিও রেকর্ডিং করা যায়।
৪। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীর অবস্থার নোট বা রিপোর্ট রাখার জন্য ভয়েস রেকর্ডার ব্যবহার করে থাকে।
৫। তাছাড়া, বিশেষ কোন ক্ষেত্রে কারো বয়ান বা স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার জন্য হিডেন অডিও রেকর্ডার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬। ভিডিওগ্রাফি বা সাক্ষাৎকার নেওয়ার ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বর জন্য ভয়েস রেকর্ডার ব্যবহার করতে হবে।
ভয়েস রেকর্ডার কেনার আগে
- ভয়েস রেকর্ডার কেনার আগে এর অডিও রেকর্ডিং কোয়ালিটি এন্ড ক্লিয়ারিটি জাচাই করতে হবে।
- ভয়েস রেকর্ডারে নির্দিষ্ট সময়ের অডিও রেকর্ডিং করার জন্য বিল্ট-ইন স্টোরেজ আছে কিনা তা দেখতে হবে।
- ভয়েস রেকর্ডারে সর্বোচ্চ কত জিবি মেমরি কার্ড সমর্থন করে তা জানতে হবে।
- ডিজিটাল ভয়েস রেকর্ডারে কয় ধরনের অডিও ফরমেটে অডিও রেকর্ডিং করা যাবে তা বিবেচনা করতে হবে।
- ভয়েস রেকর্ডারে প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট অডিও ইফেক্ট বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা তা দেখতে হবে।
- প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট কাঠামোর ভয়েস রেকর্ডার নির্বাচন করতে হবে।
- ভয়েস রেকর্ডারটি রিচার্জেবল কিনা তা দেখতে হবে এবং প্রতি চার্জে কতক্ষণ অডিও রেকর্ডিং করতে পারে তা বিবেচনা করতে হবে।
- ভয়েস রেকর্ডারটি সর্বোচ্চ কতটুকু দূরত্ব থেকে অডিও রেকর্ডিং করতে পারে তা জানতে হবে।
- অনেক ভেয়েস রেকর্ডারে স্পিকার অন্তর্ভুক্ত থাকে ফলে অডিও রেকর্ড করার পাশাপাশী রেকর্ডকৃত অডিও শোনা যায়।
- তাছাড়া, প্রফেশনালি ভয়েস রেকর্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে এতে প্রয়োজন অনুসারে ইডিটিং বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা তা দেখতে হবে।
ক্যামারার সাথে কোন ধরণের ভয়েস রেকর্ডার সামঞ্জস্য?
ক্যামেরার সাথে সাধারণত তারযুক্ত অডিও রেকর্ডার অথবা ব্লুটুথ এর মাধ্যমে ক্যামারার সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে এমন ভয়েস রেকর্ডার ব্যবহার করা যেতে পারে। যা ক্যামেরার ভিডিও রেকর্ডিং এর সাথে সামঞ্জস্য ভাবে অডিও রেকর্ড করতে পারে।
বাংলাদেশে ভয়েস রেকর্ডারের দাম কত?
ভয়েস রেকর্ডার ডিভাইস এর দাম এর ধরণ, বৈশিষ্ট্য, বিল্ট-ইন স্টোরেজ ক্যাপাসিটি, মেমরি সাপোর্ট ক্যাপাসিটি, ইত্যাদির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। বর্তমানে, বাংলাদেশে ভয়েস রেকর্ডারের দাম মাত্র ৭০০ টাকা থেকে শুরু। তবে, ডিজিটাল ডিসপ্লে সহ উন্নত গুণমান সম্পন্ন ভয়েস রেকর্ডার কিনতে বাংলাদেশে ২,০০০ টাকা বা এর বেশি খরচ করতে হবে যা প্রফেশনাল কাজে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। তাছাড়া, হিডেন ভয়েস রেকর্ডার গুণমানের ভিত্তিতে ১,০০০ টাকা থেকে ৩,৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।