ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ড কেনাকাটা
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিগত ভাবে ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড তৈরির ফলে শিক্ষাব্যবস্থায় পাঠদান কর্মসূচি আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই ধরনের হোইয়াইট বোর্ড মূলত সফটওয়্যার এবং ইন্ট্ররেক্টিভ হার্ডওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। একটি ফ্ল্যাট-প্যানেল ডিসপ্লে ডিজিটাল উপাদানে তৈরী এবং কম্পিউটারের সাথে ইন্টারেক্ট করতে পারে যা প্রয়োজনে ডাটা সংরক্ষণ করতে পারে তাকে ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইট বোর্ড বলা হয়। এ ধরনের হোয়াইট বোর্ড কে স্মার্ট হোয়াইট বোর্ডও বলা হয়। কারণ ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ড ব্যবহারে চক ডাস্টার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই এবং পাশাপাশি ডিজিটাল কলম বা হাতের মাধ্যমে লেখা ও আঁকা আঁকি করা যায়। বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ড ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে।
কেন স্মার্ট হোয়াইটবোর্ড ব্যবহার করা হয়?
ডিজিটাল হোয়াইট বোর্ড এমন একটি ডিভাইস যা শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ফলে শিক্ষকরা পড়াশোনার মান উন্নত করছে এবং আকর্ষণীয় ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে উপস্থাপন করতে সক্ষম হচ্ছে। তাছাড়া ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড অফিসের মিটিং রুম, হাসপাতাল, ক্লাশরুম এবং অন্যান্য উপস্থাপন যোগ্যস্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের যৌথভাবে শেখার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করার পাশাপাশি ফাইল শেয়ার, অনলাইন রিসোর্স অ্যাক্সেস এবং শিক্ষামূলক সফ্টওয়্যার ব্যবহারে সক্ষমতা প্রদর্শন করে থাকে। তবে ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ড মূলত কম্পিউটার ও প্রজেক্টরের সমন্বয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ডের বিশেষত্ব কী?
ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড হচ্ছে পুরানো দিনের সাধারণ হোয়াইটবোর্ডের আধুনিক প্রতিস্থাপন। যা বর্তমানে কম্পিউটার ও প্রজেক্টরের সাথে সংযুক্ত থেকে টাচস্ক্রীন ডিভাইসের মত কাজ করা যায়। এই ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ড গুলোতে বোর্ডে উপস্থিত ডাটা ক্লিক, সরানো, কপি এবং বিশ্লেষণ করা যায়। তাছাড়া তথ্য পরিবর্তন এবং জরুরি মুহূর্তে যেকোনো লেখাকে পাঠ্যে পরিণত করে সংরক্ষণ করা যায়।
অ্যাপ্লিকেশনঃ প্রায় সকল ধরণের ফাইল এবং অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ড ডিজাইন করা হয়েছে। তাছাড়া ইন্টারেক্টিভ হোয়াইট বোর্ড এমন ভাবে ডিজাইন করা যা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনও সাপোর্ট করে থাকে। ফলে ইন্টারনেট সার্ফিং, ভিডিও, উপস্থাপনা প্রদর্শন ইত্যাদির কাজে সহজেই ব্যবহার করা যায়।
স্পটলাইটঃ ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ডের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্পটলাইট। যার ফলে কোনো ছবির নির্দিষ্ট একটি অংশ ব্যবহারকারীকে প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে পুরো চিত্রটি অন্ধকার করে এবং নির্দিষ্ট এলাকাটি হাইলাইট করতে দেয়। স্পটলাইট টুলটি ব্যবহারকারীর জন্য সহজেই ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।
ম্যাগনিফায়ারঃ ছবি বিবর্ধন, জুম ইন, এবং জুম আউট করার জন্য ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য ম্যাগনিফায়ার রয়েছে। তাছাড়া, ম্যাগনিফায়ার ব্যবহার করে ছবি থেকে এরিয়া সাপেক্ষে ছোট ছবি কে বড় করে দেখা যায়।
পয়েন্টারঃ পয়েন্টার ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ডের অন্যতম একটি টুল যা ব্যবহারকারীর কাজের সুবিধার্থে সহজবোধ্যভাবে তৈরি করা হয়েছে। পয়েন্টার মূলত ডাটা চিহ্নিতকরণ এবং নির্দিষ্ট অংশগুলোকে হাইলাইট করতে সহায়তা করে। এমনকি উপস্থাপক চাইলে হাতের আঙ্গুল ব্যবহার করে পয়েন্টারটিকে চারপাশে সরাতে এবং ডাবল ক্লিক করে সরাতে পারবে।
ইন্টারেক্টিভ সেশনঃ দূরবর্তী প্রশিক্ষণ বা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য স্কুল শিক্ষক কিংবা অফিস কর্মীদের জন্য লাইভ স্ট্রিমিং করা সুবিধা। ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ড যদি প্রজেক্টর ও নেটওয়ার্ক সংযুক্ত কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েবকাস্ট বা লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে প্রশিক্ষন নিতে পারবে।
বাংলাদেশে স্মার্ট হোয়াইটবোর্ডের দাম কত?
বিডিতে স্মার্ট হোয়াইটবোর্ডের দাম হোয়াইটবোর্ডের স্ক্রীন সাইজ, কোয়ালিটি, টাচ-নন টাচস্ক্রীন, কানেক্টিভিটি এবং ব্র্যান্ড অনুযায়ী ১২,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্য থেকে শুরু হয়। বাংলাদেশে ভালো মানের ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড ৫০,০০০ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। তাছাড়া, ৪কে ভিডিও কোয়ালিটি, টাচস্ক্রীন, এবং ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন যুক্ত ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ডের দাম ১,৬৫,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়।