গরু কেনাকাটা
বাংলাদেশ একটি গবাদি পশুসমৃদ্ধ দেশ। আর এই গবাদি পশুর মধ্যে গরু সবচেয়ে জনপ্রিয়। অনেকেই আছেন যারা গরু কিনতে চাচ্ছেন কোরবানির জন্য, ফার্ম করার জন্য অথবা ব্যক্তিগত ভাবে পালনের জন্য। তবে কারণ যেটাই হোক, গরু কেনার আগে জেনে নিতে হবে গরু নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কিছু টিপস। নিম্নে কিছু টিপস তুলে ধরা হলোঃ
১. যদি উদ্দেশ্য কোরবানির জন্য হয় তবে অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে সুন্নাহ মোতাবেক গরু যেন কমপক্ষে ২টি দাঁত বিশিষ্ট কি হয়।
২. ফার্ম করতে চাইলে অবশ্যই একজন পশু ডাক্তার কে সাথে নিয়ে অথবা তার পরামর্শ অনুযায়ী গরু নির্বাচন করতে হবে। কেননা আপনি যে গরুটি কিনবেন সেটা কোনো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কি না অথবা শারীরিক কোনো অক্ষমতা আছে কি না সেটি যাচাই করা আবশ্যক।
৩. গরুর নাকের ওপরটা যদি কিছু ভেজা তাহলে এটি সুস্থ গরুর লক্ষণ। আর যদি গরুর মুখের সামনে খাবার ধরেন এবং গরু যদি জিহ্বা দিয়ে টেনে নেয় তাহলেও গরুটি সুস্থ বলে ধরে নেয়া যায়। মনে রাখবেন অসুস্থ গরু কিছুটা নির্জীব এবং সহজে খাবার খেতে চাইবে না।
৪. অনেকের ধারনা মোটা গরু মানেই সুস্থ এবং অধিক মাংস সম্পন্ন। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় কোরবানির পশুকে ওষুধ দিয়ে মোটাতাজা করে হাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসে। এইসকল গরু অন্যসব গরুর চাইতে বেশ মোটা থাকে এবং চামড়া টানটান হয়।
৫. সুস্থ গরু সবসময় নাড়াচড়া করবে যেমন কান দিয়ে মাছি তাড়াবে সাথে লেজ নাড়াবে। অপরদিকে মোটাতাজার ওষুধ খাওয়ালে গরুর স্বাভাবিক নড়াচড়া কমে যাবে ফলে ঝিম মেরে থাকবে। তাই এসকল গরু কেনা উচিত নয়।
৬. যদি গরুর কুঁজ মোটা হয এবং টানটান থাকে তাহলে গরুটি সুস্থ ধরে নেয়া যেতে পারে।
৭. গরুর শিং ভাঙা, খুর ভাঙা, চামড়ায় ঘা আছে কি না সেটি অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে।
৮. গরুর ফ্লায়েন্ট জয়েন্ট বলে একটি জায়গা আছে যেটি তিন কোনা গর্তের মত সেই স্থানটি ফোলা থাকলে গরুটিকে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়।
৯. দেশি গরুর দাম তুলনামূলকভাবে এখনও কম। বাংলাদেশে গরুর দাম ৭০,০০০ হাজার টাকার মধ্যে যেগুলো দেখতে মোটামুটি হলেও প্রাকৃতিক খাদ্য এবং ভাল যত্নে বড় করা হয়েছে।
উপরের এই সকল লক্ষণ গুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে আপনার কোরবানীর গরু, ফার্মের জন্য গরু, ব্যক্তিগত লালন পালন এর জন্য অথবা অন্যান্য সকল কাজের জন্য গরু নির্বাচন করুন।