তোশিবা ফটোকপিয়ার কেনাকাটা
তোশিবা ফটোকপি মেশিন সারা বিশ্ব জুড়েই একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। ১৯৯৯ সালে তোশিবা সর্বপ্রথম কপিয়ার ব্যবসায় স্থানান্তরিত হয় এবং তখন থেকেই তোশিবা ফটোকপিয়ারের যাত্রা শুধু হয়। তারপর থেকে উন্নতমানের যন্ত্রাংশ এবং দুর্দান্ত পার্ফমেন্স দিয়ে পুরো পৃথিবীর মন জয় করে নিয়েছে জাপানি এই প্রতিষ্ঠানটি যা বাংলাদেশের বাজারে জনপ্রিয়তা এবং পার্ফমেন্সের দিক দিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করে রেখেছে। অন্যান্য ব্রান্ডের তুলনায় তোশিবার কপিয়ারগুলো তুলনামূলক কমদাম হওয়ায় সর্বস্থরের জনগণের কাছেই এটি গ্রহণ যোগ্যতা পেয়েছে ।
তোশিবা কপিয়ারের জন্য কত বাজেটের প্রয়োজন হবে?
তোশিবা ফটোকপি মেশিনের দাম স্পেসিফিকেশন এবং বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে সিঙ্গেল সাইড ফটোকপি মেশিনের দাম ৪৫,৯৯৯ টাকা থেকে শুরু হয় যা ছোট দোকান এবং অফিসের জন্য যথেষ্ট। ডুপ্লেক্স তোশিবা ফটোকপিয়ারের দাম প্রায় ৬০,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যা আপনাকে সুবিধা দেবে। সমস্ত রঙিন ফটোকপি মেশিন অটো ডুপ্লেক্সিং সমর্থন করে এবং বাংলাদেশে দাম ১২০,০০০ টাকার বেশি থেকে শুরু। এছাড়াও, মনে রাখবেন যে আপনার অতিরিক্ত কাগজের ট্রে, অতিরিক্ত কালি, ট্রলির প্রয়োজন হতে পারে তাই এগুলোর জন্যও কিছু অতিরিক্ত খরচ হবে।
১টি টোনারে তোশিবা ফটোকপিয়ার দিয়ে কতগুলো পৃষ্ঠা কপি করা যায়?
তোশিবা ফটোকপিয়ার ১টি টোনার দিয়ে সর্বনিম্ন ১৫,০০০ পৃষ্ঠা কপি করতে পারে। ব্যবসার ক্ষেত্রে এটি বেশ ভাল হিসাবে বিবেচিত।
তোশিবা ফটোকপিয়ারে কপির খরচ কেমন?
তোশিবা ফটোকপিয়ার দিয়ে সাদাকালো কপির ক্ষেত্রে মাত্র ৫০ পয়সা প্রতি কাগজে খরচ হয়। কালার কপির ক্ষেত্রে খরচ নির্ভর করবে মেশিনের উপর। কারণ সব মেশিনের রেজুলেশন এক নয়। তবে বাংলাদেশে তোশিবা ফটোকপিয়ারে অন্যান্য ফটোকপি মেশিনে তুলনায় খরচ কম হয়।
তোশিবা ফটোকপিয়ার মোবাইলের মাধ্যমে কীভাবে কানেক্ট করা যায়?
গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল স্টোর থেকে "Toshiba e-Bridge Print & Capture" অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে এবং সংযুক্ত হয়ে গেলে মোবাইল থেকে যেকোনো ডকুমেন্ট প্রিন্ট করা যাবে।
বাংলাদেশে তোশিবা ফটোকপিয়ার মেশিন কেনো সেরা?
তোশিবা ফটোকপিয়ার মেশিনে কপিয়ারের পাশাপাশি অনেক ফাংশন রয়েছে যেগুলো এটিকে সেরাতে পরিনিত করেছে।
স্ক্যানারঃ তোশিবা ফটোকপিয়ারে স্ক্যানার ফাংশন সাদা কালো মোডে সর্বনিম্ন ২৫ পিপিএম স্পীডে স্ক্যানিং করতে পারে। কালার স্ক্যানিং মোডে মেশিনের মডেলের উপর নির্ভর করবে স্ক্যানিং স্পীড।
প্রিন্টারঃ তোশিবা ফটোকপিয়ারের সাহায্যে উচ্চ রেজুলেশনে প্রিন্টিং করা যায়। এটি আইডি কার্ড প্রিন্ট করতে পারে সুন্দভাবে।
নেটওয়ার্কঃ তোশিবার অনেক মডেলে ল্যান, ওয়াইফাই কানেকশান আছে যেটি দিয়ে সহজেই বিভিন্ন ডিভাইস থেকে কানেক্ট করে প্রিন্ট করা যায়। এর এই মডেলের কপিয়ারের দাম বাংলাদেশে এখন অনেক কম।
ডুপ্লেক্সিংঃ তোশিবার ডুপ্লেক্স প্রিন্টারগুলো বাংলাদেশে এখন কম দামের জন্য বেশ জনপ্রিয়। এগুলো দিয়ে উভয়পাতা সহজেই কপি করা যায় যা দোকান বা ব্যবসার জন্য গুরুত্তপুর্ন।
জুমঃ তোশিবার সকল মডেল ৪০০% পর্যন্ত জুম সাপোর্ট করে তাই এটি দিয়ে যেকোন ডুকুমেন্ট ছোট বা বড় করে কপি করা যায়।
তোশিবার কন্ট্রোল প্যানেল কেমন?
তোশিবা ফটোকপিয়ার মেশিনগুলো কন্ট্রোল করা খুবই সহজ। কেননা এটি কন্ট্রোল করার জন্য ডিসপ্লের পাশাপাশি অনেক গুলো কন্ট্রোল বোতাম পাওয়া যায়। এই বোতাম গুলো দিয়ে কপি, প্রিন্ট, স্ক্যান ইত্যাদি সকল ফাংশন সিলেক্ট করা যায় এবং পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়।
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় তোশিবা কপিয়ার কেমন কাজ করে?
তোশিবার এই মেশিনগুলো বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে বাংলাদেশের কথা বিবেচনা করে তাই অনেক আদ্র আবহাওয়া এবং গরমে এটি ভাল ভাল কাজ করে। আর এটির ওয়ার্মআপ টাইম খুব ভাল বিধায় শীতকালেও দ্রুত কাজের নিশ্চয়তা দেয়।
তোশিবার ফটোকপি মেশিনের বিশেষ সুবিধাঃ
তোশিবা ফটোকপিয়ারগুলো দিন দিন আরো বেশি জনপ্রিয়তার প্রধান একটি কারণ হলো এগুলোতে রয়েছে মাল্টি ফিচার্স সুবিধা। একসময় ফটোকপি মেশিন দিয়ে শুধু মাত্র ফটোকপি ছাড়া আর কিছুই করা যেতো না কিন্তু বর্তমানে এর পাশাপাশি যে কোন কিছু স্ক্যান করা থেকে শুরু করে সরাসরি কম্পিউটার থেকে প্রিন্টের কাজও সেরে ফেলা যায় ফটোকপিয়ারের মাধ্যমে। এছাড়াও তোশিবা ফটোকপিয়ারগুলোর আরো কিছু এডভান্স ফিচার্স হলো দ্রুত চালু হওয়া, কাগজের আকার এ৫ আর থেকে এ৩ পর্যন্ত ব্যবহার করার সুবিধা, ২৫০ পর্যন্ত পেপার ফিডার, অতি কমসময়ে যে কোন ফাইল কপি করার সুবিধা। এই বিশেষ ফিচার্সগুলোই তোশিবা ফটোকপিয়ারগুলোকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে। তোশিবার বিভিন্ন মডেলের এবং সিরিজের ফটোকপি মেশিন রয়েছে। দাম এবং কনফিগারেসনের উপর ভিত্তি করে এগুলোর বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা বিভিন্ন রকম হয়।
তোশিবা ফটোকপিয়ার মেশিনের দাম
বাংলাদেশের বাজারে তোশিবা ফটোকপি মেশিনের বিভিন্ন মডেল পাওয়া যায়। সকল মডেলের ফটোকপি মেশিনের দাম এক হয় না। বাংলাদেশের বাজারে এখন ৪৬,৫০০ টাকা থেকে ৩,২০,০০০ টাকা দাম এর তশিবা ফটোকপিয়ার মেশিন পাওয়া যায়। কাজের চাহিদা অনুযায়ী ফটোকপিয়ার মেশিন কেনা উচিৎ। কাজের পরিমাণ বেশি হলে তোশিবা ডুপ্লেক্স ফটোকপি মেশিন অথবা তোশিবা মাল্টিফাংশন ফটোকপি মেশিন কিনতে পারেন। চাহিদার জন্য আপনার বাজেট কিছুটা বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশে তোশিবা সিংগেল ফাংশন ফটকপিয়ারের দাম
বাংলাদেশে সিংগেল ফাংশন তোশিবা ফটোকপি মেশিন ৪৬,০০০ টাকা থেকে ৮০,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়, যা সাধারণত ছোট বা মিনি সাইজের ফটোকপি মেশিন। তোশিবা সিংগেল ফাংশন ফটোকপি মেশিন সাধারণত দ্রুত ওয়ার্মআপ সক্ষমতা রয়েছে এবং গুণমান সম্পন্ন কালো রঙের প্রিন্ট প্রদান করে থাকে। পাশাপাশি সিংগেল ফাংশন তোশিবা ফটোকপি মেশিন ইউএসবি এবং ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন সাইজের পেপার একমুখী প্রিন্ট প্রদান করে, তবে ম্যানুয়ালি ডুপ্লেক্স প্রিন্ট করা যায়। এছাড়াও, বাংলাদেশে তোশিবা সিংগেল ফাংশন ফটোকপি মেশিনের দাম প্রিন্ট ক্যাপাসিটি, মডেল এবং অন্যান্য ফিচার সমূহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে তোশিবা ডুপ্লেক্স ফটোকপি মেশিনের দাম
বাংলাদেশে তোশিবা ডুপ্লেক্স ফটোকপি মেশিন ৮০,০০০ টাকা ১,৮৪,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়, যা দিয়ে প্রিন্ট, কপি এবং স্ক্যানিংয়ের কাজ করা যায়। তোশিবা ডুপ্লেক্স ফটোকপি মেশিন সাধারণত টাচস্ক্রীন ডিসপ্লে, ডাটা সেভ রাখার জন্য পর্যাপ্ত স্টোরেজ ক্যাপাসিটি প্রদান করে। তবে, বাংলাদেশে তোশিবা ডুপ্লেক্স ফটোকপি মেশিনের দাম মূলত মডেল, র্যাম, রোম, প্রিন্টিং ক্যাপাসিটি এবং অন্যান্য ফিচার সমূহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
বাংলাদেশে তোশিবা কালার ফটোকপিয়ারের দাম
বাংলাদেশে তোশিবা কালার ফটোকপি মেশিন ১,১০,০০০ টাকা থেকে ৩,৯৯,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়, যা মাল্টি ফাংশন সুবিধা প্রদান করে এবং সাদা-কালোর পাশাপাশি মনোক্রম, কালার প্রিন্ট করা যায়। তোশিবা কালার ফটোকপি মেশিন সাধারণত কাস্টমাইজড ইউজার ইন্টারফেস প্রদান করে, পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রয়োজন অনুযায়ী ওয়ার্ক ফ্লো সেট করা যায়। তবে, তোশিবা কালার ফটোকপি মেশিনের দাম সাধারণত ফটোকপি মেশিনের মডেল, কালার প্রিন্টিং ক্যাপাসিটি, অ্যাডভান্স কালার ম্যানেজম্যান্ট ফিচার,এবং মাল্টিপল ডিভাইসের কানেক্টিভিটি অপশন সহ অন্যান্য ফিচার সমূহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।