শার্প ফটোকপিয়ার কেনাকাটা
শার্প কর্পোরেশনের অন্যতম পন্য হলো ফটোকপি মেশিন। শার্প ফটোকপি মেশিনে মডেল ভেদে সাদা-কালো এবং কালার কপি করার সুবিধা আছে। এছাড়া, শার্প ফটোকপি মেশিনে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন রেজোলিউশন এবং সাইজের পেজে কপি এবং প্রিন্ট করা যায়। দাম এবং কনফিগারেশনের উপর ভিত্তি করে শার্প ফটোকপি মেশিনের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা বিভিন্নরকম হয়ে থাকে। শার্পের বিভিন্ন মডেলের এবং সিরিজের ফটোকপি মেশিন রয়েছে যা তুলনামূলক কম দামে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে শার্প ফটোকপি মেশিনের দাম কত?
শার্প ফটোকপি মেশিনের দাম এর মডেল এবং বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে শার্প ফটোকপি মেশিনের দাম ৫৫,০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু যা প্রতি মিনিটে এ৪ সাইজের ২৪ পেজ কপি করতে পারে। এছাড়া, শার্প কালার ফটোকপি মেশিনের দাম ১,৯৫,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যা প্রতি ১০.২ সেকেন্ডে ফুল কালার কপি এবং ৮.৮ সেকেন্ডে সাদা-কালো কপি করতে পারে। এছাড়া, উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন শার্প ফটোকপি মেশিন বাংলাদেশে পাওয়া যায় যার দাম কিছুটা বেশি।
শার্প ফটোকপিয়ারে ক্রমাগত কত পেজ কপি করা যায়?
শার্প এর যেকোনো ফটোকপিয়ারে একটানা ৯৯৯ টি পেজ উন্নত কোয়ালিটিতে কপি করা যায়। ফলে, বাংলাদেশে অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, এবং যেখানে ক্রমাগত অনেক পেজ ফটোকপি করার প্রয়োজন হয় সেখানে শার্প ফটোকপি মেশিন প্রাধান্য পায়।
শার্প ফটোকপি মেশিনের কন্ট্রোল প্যানেল কেমন?
বাংলাদেশে যেসকল মডেলের শার্প ফটোকপি মেশিনে পাওয়া যায় সেগুলোতে ডিজিটাল কন্ট্রোল প্যানেল থাকে। এবং, ডিজিটাল প্যানেলের পাশাপাশি সহজে মেশিনকে আদেশ দেওয়ার জন্য বোতাম যুক্ত থাকে। তাছাড়া, শার্পের কিছু অত্যাধুনিক মডেলের ফটোকপি মেশিন আছে যাতে টাচ স্ক্রিন কন্ট্রোল প্যানেল যুক্ত থাকে। ফলে, শার্প ফটোকপি মেশিনে সহজেই নির্দিষ্ট সংখ্যার পেজের কপি, প্রিন্ট, এবং স্ক্যান এর আদেশ দেওয়া যায়।
শার্প ফটোকপিয়ার দ্বারা এক টোনার দিয়ে কত পৃষ্ঠা কপি করা যায়?
শার্প ফটোকপিয়ারের মডেল ভেদে বিভিন্ন মডেলের টোনার কার্ট্রিজ ব্যবহার করা হয়। এবং, শার্প ফটোকপিয়ারের সাথে ব্যবহারকৃত টোনার গুলোর মডেল ভেদে কপি করার পেজ সংখ্যার তারতম্য দেখা যায়। তবে, শার্প টোনার কার্ট্রিজ সর্বনিম্ন ১০,০০০ পেজ কপি করতে পারে। এবং, শার্প এর সাথে সামঞ্জস্য টোনার কার্ট্রিজ তুলনামূলক কম দামে বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
ব্যবসার জন্য শার্প ফটোকপি মেশিন কেমন?
শার্প ফটোকপি মেশিনে প্রতি সিঙ্গেল পেজ ফটোকপির জন্য ০.৪৮ পয়সা খরচ হয়। ফলে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন নতুন উদ্যোক্তা অনায়াসে শার্প ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে ফটোকপির দোকান থেকে লাভবান হতে পারবে। তাছাড়া, শার্প ফটোকপি মেশিন দ্বারা বিভিন্ন সাইজের পেজ কপি, প্রিন্ট, এবং স্ক্যান করা যায় বিধায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা দোকানের জন্য আদর্শ।
শার্প কপিয়ার এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য কি কি?
শার্প কপিয়ারের মাধ্যমে উন্নত কোয়ালিটি সম্পন্ন ফটোকপি করা যায় বিধায় বাংলাদেশে অধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শার্প ফটোকপি মেশিনের অন্যান্য বিশেষ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলঃ
১। প্রিন্ট সুবিধাঃ শার্প ফটোকপিয়ারের বেশ কিছু মডেলে কপি করার পাশাপাশি উন্নত রেজোলিউশনে ও বিভিন্ন সাইজের পেজে প্রিন্ট করার সক্ষমতা রয়েছে। এককথায় বলা যায় শার্পের ফটোকপিয়ারগুলো প্রিন্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
২। স্ক্যান সুবিধাঃ শার্পের ফটোকপিয়ারে স্ক্যান করার প্রযুক্তি যুক্ত করা থাকে। ফলে, প্রয়োজনীয় কাগজ পরবর্তী ব্যবহারের জন্য স্ক্যান করে সংরক্ষন করা যায় এবং প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে স্ক্যান কৃত কপি পাঠানো যায়।
৩। কানেক্টিভিটিঃ শার্প এর সকল মডেলের ফটোকপি মেশিনে ইউএসবি ২.০ সংযোগ পোর্ট থাকে। এছাড়া, শার্পের বেশ কিছু মডেলে ল্যান কানেক্টিভিটি অপশন থাকে। তাছাড়া, শার্পের কয়েকটি মডেলের ফটোকপিয়ারে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে প্রিন্ট করার অপশন যুক্ত থাকে। সংযোগের বিভিন্ন মাধ্যম থাকায় শার্প ফটোকপিয়ার আধুনিক জীবন দ্বারার সাথে মানানসই।
এছাড়া, শার্প ফটোকপিয়ারে পেজ কপি বা প্রিন্ট করার আগে প্রয়োজন অনুসারে সর্বনিম্ন ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ শতাংশ জুম করা যায়।