ক্যানন ফটোকপিয়ার কেনাকাটা
ক্যানন ফটোকপি মেশিন সারাবিশ্বে সবচেয়ে পুরোনো এবং জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। ১৯৬৮ সালে ‘ক্যানোফ্যাক্স- ১০০০’ নামের ফটোকপি মেশিন দিয়ে প্লেইন পেপারে ফটোকপি করার মধ্যে দিয়ে ক্যানন ফটোকপিয়ার মেশিনের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। বর্তমানে ক্যনন ব্র্যান্ডের ফটোকপিয়ার নতুন নতুন প্রযুক্তির সংযোজন ও ব্যবহারকারীকে সেরা আউটপুট দেওয়ার সক্ষমতার জন্য বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়।
কেন ক্যানন ফটোকপি মেশিন ব্যবহার করব?
বিডিতে ক্যানন ব্র্যান্ডের ফটোকপি মেশিন মূলত বিভিন্ন মডেল ও সিরিজের রয়েছে। গঠনগত দিক থেকে ক্যানন ব্র্যান্ডের সকল ফটোকপিয়ার প্রায় একই হলেও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, সক্ষমতা, এবং স্থায়িত্বের দিক থেকে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। ক্যানন ব্র্যান্ডের ফটোকপি মেশিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
কপিঃ ক্যানন ফটোকপি খুবি দ্রুতগতি সম্পন্ন যে যেকোনো ডকুমেন্ট কিংবা টেক্সট ফাইল দ্রুত সময়ের মধ্যে কপি করা যায়। তাই, ক্যাননের ফটোকপিয়ার কপি করার সক্ষমতা দিক থেকে সেরা। ক্যানন ফটোকপিয়ারগুলো প্রতি মিনিটে কমপক্ষে ২০টি পেজ থেকে ৪৫টি পেইজ কপি করতে পারে। ক্যানন ফটোকপিয়ারগুলো মডেল ভেদে কালার ও সাদা-কালো উভয় পেজ কপি করতে পারে।
স্ক্যানঃ ক্যানন ফটোকপিয়ারে কন্টাক্ট ইমেজ সেন্সর টেকনোলজি রয়েছে। এবং, নিজস্ব স্ক্যান সফটওয়ার রয়েছে ফলে সহজেই যেকনো ডকুমেন্ট ও টেক্সট ফাইল কিংবা কালার ফুল ইমেজ স্ক্যান করা যায়। ক্যানন ফটোকপিয়ার প্রতি মিনিটে ১৪টি থেকে ২৮টি কালার ও সাদা-কালো পেজ কিংবা ছবি স্ক্যান করতে সক্ষম। পাশাপাশি স্ক্যান করে পিডিএফ ফাইল সেভ রাখা যায়।
প্রিন্টঃ ক্যানন ব্র্যান্ডের সকল মডলের ফটোকপি মেশিন প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে দ্রুত গতির হয়ে থাকে। এই ব্র্যান্ডের ফটোকপিয়ার প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ পেজ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ পেজ পর্যন্ত প্রিন্ট করতে পারে। তাছাড়া, ছবি প্রিন্টের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন এবং সঠিক কালারে প্রিন্ট করে।
কালার কোয়ালিটিঃ ক্যানন ব্র্যান্ডের ফটোকপিয়ারগুলো মূলত সব ধরনের কালার ইফেক্ট দিয়ে থাকে। মডেল বা সিরিজ অনুযায়ী কালার কার্টিজ ব্যবহার করতে হয়। এই ব্র্যান্ডের ফটোকপি মেশিন সাদা-কালো পাশাপাশি সিএমওয়াইকে কালার প্রসেস ব্যবহার করে থাকে ফলে সঠিক কালারে টেক্সট কিংবা ছবি প্রিন্ট করা যায়।
পেপার সাইজঃ ক্যানন ফটোকপিয়ার প্রধানত এ৩,এ৪,এ৪আর, এ৫, এ৫আর, বি৪, বি৫, বি৫ আর, এনভেলাপ, কিংবা ৮ইঞ্চি x ১০ইঞ্চি ও ৪ইঞ্চি x ৬ইঞ্চি সাইজের পেপার ব্যবহার করা যায়। ফলে যেকোনো সাইজের টেক্সট ফাইল কিংবা ছবি সহজেই যেকোন সাইজের পেজে প্রিন্ট করা যায়।
কানেক্টিভিটিঃ ক্যানন ফটোকপি মেশিনে আপডেট জেনারেশন প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে, এই ব্র্যান্ডের প্রায় সকল মডেল ও সিরিজের ফটোকপিয়ারে ইউএসবি ক্যাবল কানেকশনের পাশাপাশি ইন্টারনেট ক্যাবল, ওয়াই ফাই, এবং ব্লুটুথের মাধ্যমে কানেক্ট করে নির্দিষ্ট স্থান ও দূরত্ব থেকে প্রিন্ট করা যায়। এছাড়াও মোবাইল এর সাথে কানেক্ট করে প্রিন্ট ও স্ক্যান করা যায়।
ডিউটি সাইকেলঃ ডিউটি সাইকেল মূলত ফটোকপিয়ারের টেকসইতা বোঝায় যার সাহায্যে ফটোকপিয়ারের পেইজ প্রিন্ট করার সংখ্যার ধারণা দেয়। ক্যানন ব্র্যান্ডের ফটোকপিয়ারের মডেল ভেদে সর্বনিম্ন ২,৫০০ পেজ থেকে ৩৬,০০০ পেজ পর্যন্ত এর ডিউটি সাইকেলে হয়ে থাকে।
ক্যানন ফটোকপিয়ারের বিশেষ সুবিধা কি?
ক্যানন ফটোকপিয়ারগুলো উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরী হওয়ায় উচ্চ কর্মক্ষমতা প্রদান করে। তাছাড়া ক্যাননের ফটোকপি মেশিনগুলোতে সমন্বিত স্ক্যানার, লেজার প্রিন্টিং ও মাল্টি ফাংশন বৈশিষ্ট্য আছে। ফলে এই ব্র্যান্ডের ফটোকপিয়ার দিয়ে টেক্সট কিংবা ছবি স্ক্যান ও প্রিন্ট করার পাশাপাশি ফ্যাক্স করা যায়। ক্যানন ফটোকপিয়ার দিয়ে উচ্চ মান সম্পন্ন এবং সঠিক গ্রেডিয়েন্টের কালারে প্রিন্ট ও কপি করা যায়। ক্যানন ব্র্যান্ডের ফটোকপি মেশিনে যদি ভালো টোনার নিশ্চিত করা যায় সেক্ষেত্রে ফটোকপিয়ার দীর্ঘস্থায়ী হয়। মাল্টিফাংশন সিস্টেমের জন্য ক্যানন ফটোকপিয়ারগুলো যেকোন অফিস ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাথে মানানসই।
বাংলাদেশে ক্যানন ফটোকপি মেশিনের দাম কত?
বাংলাদেশে ক্যানন ফটোকপি মেশিনের দাম ৯২,০০০ টাকা থেকে ১,১০,০০০ টাকা যা শুধুমাত্র সাদা-কালো ফটোকপি ও প্রিন্ট করতে পারে তবে ফটোকপি মেশিনগুলোতে তুলনামূলক উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। এবং, ক্যানন কালার ফটোকপি মেশিন ১,২০,০০০ টাকা থেকে ২,৫০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় যা কালার ফটোকপির পাশাপাশি স্ক্যান ও প্রিন্ট করতে পারে। এছাড়াও, ৩,০০,০০০ টাকার মধ্যে ক্যানন ফটোকপি মেশিন পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বেশি ব্যবহার করা হয়। তাই, ক্যানন ফটোকপিয়ার মেশিন কেনার আগে অফিস কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় কেনা উচিত।