bdstall.com

কপিয়ার টোনার এর দাম

আইটেম ১-৪০ এর ৪৩

কপিয়ার টোনার কেনাকাটা

কপিয়ার টোনার মূলত যে কোনো ফটোকপি মেশিনে ছবি কিংবা যেকোনো ডকুমেন্টস প্রিন্ট করার জন্য অপরিহার্য উপাদান। এছাড়াও, কপিয়ার টোনার এক ধরনের সূক্ষ্ম পাউডার দিয়ে তৈরি যা উচ্চ-মানের প্রিন্ট এবং কপি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রিন্টিং করার প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং ফর্মুলেশনের ফটোকপি মেশিন টোনার বিডিতে পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে এইচপি, ক্যানন, ব্রাদার, স্যামসাং সহ আরও অনেক ব্র্যান্ডের উচ্চ-মান সম্পন্ন কপিয়ার টোনার পাওয়া যায়।

ফটোকপি টোনারের দাম কত?

বর্তমানে, বিডিতে কপিয়ার টোনারের দাম এর ব্র্যান্ড, গুণমান, পেইজ ইয়েল্ড এবং কপিয়ার মেশিনের সাথে সামঞ্জস্যতার বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ফটোকপি মেশিনের টোনারের দাম ৫২০ টাকা থেকে শুরু হয় যা এনালগ পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে হয় এবং প্যাকেট অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়াও, মনোক্রোম টেকনোলজি যুক্ত টোনারের দাম ১২০০ টাকা শুরু যা সাধারণত কালো রঙের এবং ১০,০০০ পেইজ পর্যন্ত প্রিন্ট করার ক্যাপাসিটি রয়েছে। পাশাপাশি উন্নত মানের প্রিন্ট ও কপি, লেজার টেকনোলোজি, এবং ২৪,০০০ পেইজ প্রিন্ট করার সক্ষমতা সম্পন্ন টোনারের দাম ৩,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়।

কপিয়ার টোনার কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?

বাংলাদেশে কপিয়ার টোনার কেনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক টোনার বাছাই করে নেওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় জেনে নেওয়া উচিত। তাহলে নেওয়া যাক বিডিতে টোনার কেনার আগে কোন বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবেঃ

মডেল সামঞ্জস্যতাঃ অসামঞ্জস্য টোনার ফটোকপি মেশিনের ব্যবহারের ফলে মেশিনের ক্ষতির পাশাপাশি প্রিন্ট কোয়ালিটি নিম্নমানের হতে পারে। তাই কপিয়ার টোনার কেনার আগে অবশ্যই টোনারটি এবং ব্যবহৃত ফটোকপি মেশিনের ব্র্যান্ড এবং মডেলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।

পেইজ ইয়েল্ডঃ টোনারের প্রিন্টিং সক্ষমতা যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা টোনার কতগুলি পৃষ্ঠা প্রিন্ট করতে পারে তা জানা যাবে। তাছাড়া বিডিতে বেশি প্রিন্ট সক্ষমতা সম্পন্ন টোনারের দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।

টোনারের কোয়ালিটিঃ নিম্ন মানের টোনার প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে দাগ তৈরির সাথে বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে। তাই, ফটোকপি টোনার কেনার আগে গুণগত মান যাচাই করে নেওয়া উচিত যা তীক্ষ্ণ, পরিষ্কার এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রিন্ট তৈরি করবে।

বাজেটঃ সস্তায় কেনা কপিয়ার টোনার সব সময় সেরা মান সম্পন্ন নাও হতে পারে। তাই বাজেটের অনুযায়ী মান সম্পন্ন টোনার খুঁজে পেতে বিভিন্ন ফটোকপি মেশিনের টোনারের সাথে দাম যাচাই করে নেওয়া উচিত।

টোনার টেকনোলজিঃ কপিয়ার মেশিনের টোনার মূলত লেজার ও ইঙ্কজেট টেকনোলজি ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে লেজার টেকনোলজির টোনার দ্রুত এবং উচ্চ-ভলিউমে পেপার প্রিন্ট করার জন্য উপযুক্ত অন্যদিকে ইঙ্কজেট টেকনোলজির টোনার ফটোগ্রাফি এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রিন্ট করার জন্য ভালো। তাই কপিয়ার টোনার কেনার আগে অবশ্যই টোনার টেকনোলোজি সম্পর্কে যাচাই করে নেওয়া উচিত।    

জেনুইন কপিয়ার টোনারের চেনার উপায় কি?

বর্তমানে বাংলাদেশে আসল কপিয়ার টোনার চেনা চ্যালেঞ্জিং বিষয়, কারণ বাজারে অনেক নকল কপিয়ার টোনার রয়েছে যেগুলো আসল পণ্য থেকে আলাদা করা কঠিন। তাহলে আসল কপিয়ার টোনার সনাক্ত করতে সহায়ক হবে এমন কিছু টিপস জেনে নেওয়া যাকঃ

১। ফটোকপি মেশিনের টোনার আসল কিনা তা যাচাই করার জন্য প্রথমত প্যাকেজে টোনার ব্র্যান্ডের লোগো, নাম এবং এক ধরনের কোড থাকে তা যাচাই করে নেওয়া উচিত।

২। প্যাকেজের সিল চেক করার পাশাপাশি লেভেল পরিষ্কার ও সহজে পড়া যায় কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।

৩। প্যাকেজিংয়ে এক ধরণের হলোগ্রাম স্টিকার থাকে তা ভালো ভাবে যাচাই করে নিতে হবে।

৪। বিডিতে টোনারের দাম গড় বাজার মূল্যের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে সস্তা হয়ে থাকে। তাই সস্তা দামে আকৃষ্ট না হয়ে ভালো ভাবে যাচাই করে নিতে হবে।

৫। কপিয়ার টোনার কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে কেনা উচিত তাহলে আসলে টোনারের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।

৬। কেনার আগে টোনারের প্রিন্ট কোয়ালিটি কেমন তা ভালো ভাবে পরিক্ষা করে নিতে হবে। কারণ আসল টোনার উচ্চ-মানের প্রিন্ট তৈরি করে থাকে পাশাপাশি নকল টোনার নিম্ন-মানের প্রিন্ট, স্মাডিং এবং স্ট্রিক তৈরি করে থাকে।

৭। এছাড়াও কপিয়ার টোনারের প্যাকেজিংয়ে যে বারকোড থাকে তা স্ক্যান করে প্রস্তুতকারকের ডাটাবেসের সাথে মিলিয়ে নিয়ে সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন।

উপরোক্ত টিপসগুলো অনুসরণ করে, নকল কপিয়ার টোনার কেনার ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি আসল এবং উচ্চ-মানের টোনারের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।

লেজার প্রিন্টিং টেকনোলজির টোনার বলতে কি বুঝায়?

লেজার প্রিন্টিং টেকনোলজির টোনার বলতে লেজার প্রিন্টার এবং ফটোকপিয়ারে ব্যবহৃত টোনারের ধরন বোঝায়। লেজার টেকনোলজির টোনার ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রক্রিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চ মানের প্রিন্ট করতে সক্ষম যা কাগজে লেজার রশ্মি ব্যবহার করে প্রিন্ট সম্পন্ন করে। এটি ডকুমেন্টস, ছবি এবং গ্রাফিক্সের ক্ষেত্রে  উচ্চ-মানের প্রিন্ট প্রদান করার পাশাপাশি উচ্চ গতিতে প্রিন্ট করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।

মনোক্রোম লেজার টেকনোলজির টোনার কি?

মনোক্রোম লেজার টেকনোলজির টোনার সাধারণত একরঙের হয়ে থাকে যা লেজার প্রিন্টার এবং ফটোকপিয়ারে ব্যবহার করা হয়। এই ধরণের টোনার কার্টিজ কেবল সাদা-কালো রঙে প্রিন্ট করতে পারে। এছাড়াও মনোক্রোম লেজার টেকনোলজির টোনার অন্যান্য প্রিন্টিং টেকনোলজির টোনারের তুলনায় বেশি সুবিধা প্রদান করে। সামগ্রিকভাবে, এই টেকনোলজির টোনার বাংলাদেশে অফিসে, বাণিজ্যিকভাবে এমনকি বাসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশের সেরা কপিয়ার টোনার এর মূল্য তালিকা November, 2024

November, 2024-এর বাংলাদেশের সেরা কপিয়ার টোনার এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের কপিয়ার টোনার ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা কপিয়ার টোনার এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

কপিয়ার টোনার মডেল বাংলাদেশে দাম
Toshiba T-2323C Genuine Black Toner Cartridge ৳ ৫,০০০
Ricoh MP 2014HS 12000 Pages Yield Black Copier Toner ৳ ১,৬০০
Sharp BP-AT300 Black & White Photocopier Toner ৳ ৫,২০০
Toshiba T-3028C Original Black Toner ৳ ৮,০০০
Ricoh Aficio MP2501S Black Printer Toner Cartridges ৳ ১,৬০০
Toshiba T-3028P Original Black Toner Cartridge ৳ ১০,০০০
Canon NPG-51 Black Copier Toner ৳ ৯০০
Toshiba T-5018C Genuine Black Toner Cartridge ৳ ৮,০০০
Konica Minolta Bizhub 185 Black 9000 Page Toner Cartridges ৳ ১,৬০০
Toshiba T-2309C Photocopier Toner For e-Studio Series ৳ ৫,০০০