৪ জিবি Ram কেনাকাটা
র্যাম হচ্ছে র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি যা কম্পিউটারের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ৪ জিবি র্যাম বলতে কম্পিউটারের থাকা অস্থায়ী মেমোরির পরিমাণকে বোঝায় যা মূলত ডাটা ধরে রাখতে এবং দ্রুত অ্যাক্সেস করতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়া কম্পিউটারে র্যাম পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্রয়োজন অনুযায়ী একাধিক কাজ একই সময়ে করার সক্ষমতা প্রদর্শন করে। ৪জিবি র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি শুধু মাত্র ডাটা জমা রাখে না, প্রসেসরের কাজকে প্রসেস করতে সহায়তা করে। ৪জিবি র্যাম ওয়েব ব্রাউজিং, ওয়ার্ড প্রসেসিং, এবং হালকা গেমিংয়ের মতো মৌলিক কাজের জন্য উপযুক্ত হওয়ায় বর্তমানে বিডিতে খুবই জনপ্রিয় কম্পিউটার মেমোরি।
৪জিবি র্যামের সুবিধা কি কি?
- ৪জিবি র্যাম কম্পিউটার মেমোরিতে বেশি ডাটা সঞ্চয় করে পাশাপাশি ধীরগতির হার্ড ড্রাইভ সহ অন্যান্য সিস্টেমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে।
- অ্যাপ্লিকেশন লোডের সময় কমিয়ে মাল্টিটাস্কিং কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ৪জিবি র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি।
- উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরির তুলনায় ৪জিবি র্যাম সাধারণত দামে কম হয়ে থাকে ফলে কম বাজেটের গ্রাহকদের জন্য উপযুক্ত
- ৪জিবি র্যাম পুরোনো হওয়ায় বিভিন্ন মডেল রয়েছে যা বিস্তৃত পরিসরে বিভিন্ন কম্পিউটার ডিভাইসে ব্যবহারের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
- ওয়েব ব্রাউজিং, ডকুমেন্ট এডিটিং এবং, হালকা গেমিংয়ের মতো মৌলিক কাজের জন্য ৪জিবি র্যাম যথেষ্ট কার্যকর।
- ৪জিবি র্যামের মডিউল গুলো কম শক্তি করে থাকে ল্যাপটপে ব্যবহারের ফলে ব্যাটারি লাইফ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
- নূন্যতম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন যে কেউ সরল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কম্পিউটার ডিভাইসে ৪ জিবি র্যাম ইন্সটল করতে পারবে।
৪জিবি র্যামের দাম কত?
সাধারণত, ৪জিবি র্যামের দাম নির্ধারণ করা হয় এর ব্র্যান্ড,বাস স্পীড, এবং ডিডিআর টেকনোলোজির উপর ভিত্তি করে। বর্তমানে, বিডিতে ৪জিবি র্যামের দাম ৫৫০ টাকা থেকে শুরু হয় যা মূলত ডিডিআর৩ টেকনোলোজিতে তৈরি। তাছাড়া, উন্নত ডিডিআর৪ টেকনোলোজির ৪ জিবি র্যামের দাম ১,২০০ টাকা থেকে শুরু হয় যা উচ্চ গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া, বাংলাদেশে ডিডিআর৫ টেকনোলোজির ৪জিবি র্যাম পাওয়া যায় যার দাম কিছু টা বেশি।
৪জিবি র্যাম কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?
কম্পিউটার সিস্টেমের জন্য সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করবে এমন ৪জিবি র্যাম বাছাই করা উচিত। সঠিক ৪ জিবি র্যাম বাছাই করার জন্য যে বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবেঃ
সামঞ্জস্যতাঃ কম্পিউটার কনফিগারেশন বা স্পেসিফিকেশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ৪জিবি র্যাম বাছাই করতে হবে। কারণ এতে র্যামের এর গতি, ফর্ম ফ্যাক্টর, এবং ভোল্টেজের মত প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
র্যামের ধরণঃ বর্তমানে বাংলাদেশে ডিডিআর৩, ডিডিআর৪, এবং ডিডিআর৫ টেকনোলোজি যুক্ত বিভিন্ন ধরণের ৪জিবি র্যাম রয়েছে। তাই ব্যবহৃত সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সঠিক ধরনের ৪জিবি র্যাম বেছে নিতে হবে।
র্যামের গতিঃ কম্পিউটারের সামগ্রিক সিস্টেমের কর্মক্ষমতা প্রভাবিত করার জন্য র্যামের গতি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই কম্পিউটারে ব্যবহৃত র্যামের এর গতির সাথে কিংবা সিস্টেম কনফিগারেশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ৪জিবি র্যাম বাছাই করতে হবে।
সক্ষমতাঃ কম্পিউটার সিস্টেমে কতগুলি র্যাম স্লট রয়েছে এবং বেশি ক্ষমতার পাওয়ার জন্য আরও ৪জিবি র্যাম যুক্ত করা যাবে কিনা তা যাচাই করা উচিত।