bdstall.com

প্রসেসরের দাম ২০২৪

বিডিতে সর্বশেষ প্রসেসরের দাম প্রায় ১২,৫০০ টাকা যা শুধুমাত্র ডেস্কটপের জন্য উপযুক্ত সিপিইউ এবং এই প্রসেসরটি সব ধরনের কাজের জন্য আদর্শ। ল্যাপটপের প্রসেসর সাধারণত বাজারে আলাদাভাবে পাওয়া যায় না। আপনার যদি বাজেট কম থাকে কিন্তু একটি শক্তিশালী প্রসেসর চান তাহলে সর্বনিম্ন জেনারেশনের কোর আই-৫ বা আই-৭ কিনুন তাহলে এটি অনেক টাকা সাশ্রয় করবে কিন্তু এটি লেটেস্ট সিপিইউ-এর প্রায় কাছাকাছি পারফরম্যান্স প্রদান করবে এবং এই কৌশলটি বাংলাদেশে প্রায়শই ব্যবহৃত হয়। বিডিতে, নতুন এবং ব্যবহৃত কন্ডিশন প্রসেসরও পাওয়া যায় এবং মনে রাখবেন যে প্রসেসর সাধারণত সহজে নষ্ট হয় না এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পারফর্ম করতে পারে এবং সেই কারণে এটি সস্তা সিপিইউ-এর জন্য একটি বিকল্প। Read more

আইটেম ১-৪০ এর ৫৪
বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট প্রসেসর এর দাম

প্রসেসর কেনাকাটা

মানুষের কাজ করার জন্য যেমন মস্তিষ্কের প্রয়োজন তেমন প্রত্যেক কম্পিউটার কাজ করানর জন্য প্রসেসর এর প্রয়োজন  থাকে, হোক সে কম্পিউটার বড় বা ছোট। ব্যবহারকারির দেয়া ইনপুটকে যথাযথ প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে প্রসেস করে তার ফলাফল প্রকাশ করে ব্যবহারকারিকে এবং তা স্টোরেজ ডিভাইসে  জমা ‌করে রাখা পর্যন্ত সকল কাজ প্রসেসর করে থাকে। সাধারণ ডেস্কটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যেকোনো ইন্সট্রাকশনকে ১ সেকেন্ডের ১ মিলিয়ন ভাগ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে ফলাফল প্রদর্শনে সক্ষম, যা সুপার কম্পিউটার করতে পারে ১ সেকেন্ডের ১ বিলিয়ন ভাগ সময়ে। বিডিতে, নতুন প্রজন্মের আবির্ভাব হওয়ায় আগের প্রজন্মের প্রসেসর কম দামে কেনা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু উপায়-

বাংলাদেশে কোন ব্র্যান্ডের প্রসেসর ভালো?

বাংলাদেশে কম্পিউটার প্রসেসরের দুটি জনপ্রিয় ব্রান্ড রয়েছে - ইন্টেল এবং এএমডি। যদিও এএমডির কয়েকটি জনপ্রিয় সিরিজ রয়েছে তবে ইন্টেল প্রসেসর বেশি জনপ্রিয়।

ইন্টেল প্রসেসরঃ

ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও দেখা এবং প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য ইন্টেল এর ইন্টেল কোর আই -৩ প্রসেসর আদর্শ।

সাধারন গেমিং, ছবি এডিটিং, ব্রাউজিং এর জন্য ইন্টেল কোর আই-৫ প্রসেসর ভাল কাজ করে।

ইন্টেল কোর আই-৭ প্রসেসর উচ্চ-মানের গেমিং, অডিও-ভিডিও সম্পাদনা, প্রোগ্রামিং এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলির জন্য বেশ শক্তিশালী একটি প্রসেসর।

ইন্টেল কোর আই-৯ প্রসেসর একটি নতুন সিরিজ এবং প্রায় কোর আই-৭ এর মতো তবে দ্রুত প্রসেসিং শক্তি, আরও বেশি কোর এবং আরও ক্যাশ রয়েছে।

এএমডি প্রসেসরঃ

এএমডি গেমিং, ভিডিও স্ট্রিমিং, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জন্য উচ্চ-কার্যকারিতার তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যের প্রসেসর।

বিডিতে, নতুন প্রজন্মের আবির্ভাব হওয়ায় আগের প্রজন্মের প্রসেসর কম দামে কেনা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু উপায়-

বিডিতে ন্যূনতম বাজেট কত হওয়া উচিত?

বিডিতে প্রসেসরের দাম ৪০০ টাকা থেকে শুরু তবে এটি বেশ আগের প্রজন্মের প্রসেসর এবং খুব সহজ কাজ করতে পারে। এটি স্কুল, ট্রেনিং সেন্টারের জন্য ভালো যেখানে অনেক পিসি প্রয়োজন কিন্তু বাজেট কম। বিডিতে ভালো পারফরম্যান্সের প্রসেসরের দাম কমপক্ষে ২,০০০ টাকা যেখানে এটি একজনের নিয়মিত কাজটি সহজভাবে করতে পারে। যদি আরও শক্তিশালী প্রসেসরের প্রয়োজন হয় তবে বাংলাদেশে দাম কমপক্ষে ৩,০০০ টাকা হবে তবে এটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেবে। প্রসেসরের দাম সাধারণত কোরের সংখ্যা এবং এর জেনারেশন, প্রসেসর ফ্যামিলি, সিকিউরিটি ফিচার এবং অ্যাডভান্স টেকনোলজি এর সাপোর্টের উপর নির্ভর করে। কিছু প্রসেসরে গ্রাফিক্স চিপ থাকে তাই এর খরচ একটু বেশি হবে কিন্তু মোট সাশ্রয় হবে অনেক।

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোন ধরনের প্রসেসর ভালো?

ফ্রিল্যান্সার যেকোন প্রসেসর ব্যবহার করতে পারে যা বেশিরভাগ জটিল অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারে এবং এই ধরনের প্রসেসরের বাংলাদেশে খরচ হবে প্রায় ৪,০০০ টাকা। প্রসেসর ফ্যামিলি হবে কোর আই-৫।

বিডির ডিজাইনারদের জন্য সেরা প্রসেসর কি?

ডিজাইনারদের আরও জটিল প্রসেসিং পাওয়ার দরকার তাই কোর আই-৭ বা আই-৯ ফ্যামিলি সবচেয়ে ভালো হবে এবং বিডিতে এই প্রসেসরের দাম হবে ৫,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত। যাইহোক, এই প্রসেসরের শক্তি আপনি যে কাজটি করতে চান তা খুব সহজেই করতে পারে।

বাংলাদেশের ছাত্রদের জন্য সবচেয়ে সস্তা প্রসেসর কি?

শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের যেকোনো প্রসেসর বেছে নিতে পারে যার দাম কম কিন্তু ভালো পারফরম্যান্স আছে। ডুয়াল কোর প্রসেসর যথেষ্ট এবং বাংলাদেশে দাম প্রায় ৫০০ টাকা থেকে শুরু যা খুব প্রাথমিক কাজ করতে পারে। মনে রাখবেন সর্বশেষ সফ্টওয়্যারের জন্য কর্মক্ষমতা ধীর হবে। যাইহোক, এটি উইন্ডোজ, এমএস ওয়ার্ড এবং ব্রাউজারের আগের সংস্করণগুলি খুব মসৃণভাবে চালাতে সক্ষম।

গেমারদের জন্য সঠিক প্রসেসর কি?

গেমারদের ডিজাইনারদের মতো একই ধরণের প্রসেসর প্রয়োজন। এক কথায়, এই ধরনের যেকোনো কনফিগারেশন উভয়ের চাহিদা মেটাতে পারে। সুতরাং, কোর i7 বা কোর i9 প্রথম পছন্দ। যাইহোক, Core i9 কেনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কারণ নতুন গেমগুলি এত দ্রুত মুক্তি পাচ্ছে এবং এই প্রসেসরের দামও সম্প্রতি বাংলাদেশে কমে গেছে।

প্রসেসরের কী বৈশিষ্ট্যগুলি দেখতে হবে?

বাংলাদেশে প্রসেসরের দাম এবং গুণমান সাধারণত এর বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে তাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য জেনে নেওয়া যাক।

প্রসেসরের ক্লক ফ্রিকোয়েন্সিঃ

একটি প্রসেসরের প্রসেসিং ক্ষমতা নির্ভয় করে এর ক্লক ফ্রিকোয়েন্সির উপর। প্রসেসরের মধ্যে একটা দরজার মতো থাকে যাকে বলা হয় ক্লক। ক্লক ফ্রিকোয়েন্সি হচ্ছে একটি প্রসেসরের ক্লক স্পীডের পরিমাণ এর মধ্যে দিয়ে সব ০ আর ১ এর সিগন্যাল আসা যাওয়া করে। যত বার ০ আর ১ যাওয়া আসা করবে তত বার এই ক্লকের দরজাটি খুলবে এবংবন্ধ হবে। যত দ্রুত দরজাটি খুলবে এবং বন্ধ হবে তত দ্রুত ইন্সট্রাকশন প্রসেস হবে।

প্রসেসরের গতিঃ

প্রসেসরের প্রসেসিং ক্ষমতা হিসাব করা হয় ১ সেকেন্ডের যত মিলিয়ন বা বিলিয়ন সময়ের ভাগকে। সহজ ভাবে হিসেব করলে একটি প্রসেসর ১ গিগাহার্জ মানে এটি ১ সেকেন্ডের ১ বিলিয়ন ভাগ সময়ে একটি ক্যালকুলেশন সম্পন্ন করতে সময় নিয়ে থাকে। অর্থাৎ ১ সেকেন্ডে প্রসেসরের ক্লক গেটটি ১ বিলিয়ন বার খোলা হয় এবং বন্ধ করা হয়।

মাল্টি-কোর প্রসেসরঃ

বর্তমানে আধুনিক কম্পিউটার প্রসেসরের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রসেসরে সিপিউ চিপের মধ্যে একাধিক প্রসেসরকে বসিয়ে দেয়া হয় যাতে করে কম্পিউটারের ইন্সট্রাকশন এক্সিকিউশন ক্ষমতা অধিক বেড়ে যায় সাথে এক্সিকিউশনের সময় ও অনেক কমে যায়। খুব কম সময়ে অনেকগুলো কাজের দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা যায়। যা একটি সিপিউ চিপের মধ্যে থাকা সকল প্রসেসর কোর একই সাথে কাজ করতে পারে।

প্রসেসর ক্যাশ মেমরিঃ

প্রসেসরের ক্যাশ মেমরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা প্রসেসরের পার্ফরমেন্সে সাথে জড়িত। সিপিইউ যখন একই ধরনের ডাটা নিয়ে বার বার কাজ করে থাকে তখন সে সেই ডাটাগুলো তার ক্যাশ মেমরিতে সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করে যাতে করে কাজের সুবিধা হয়।

সকেট সামঞ্জস্যতাঃ

সকেট সামঞ্জস্য বিবেচনা করা প্রধান জিনিসগুলির মধ্যে একটি। এটি মাদারবোর্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। ইন্টেল প্রসেসর সাধারণত ইন্টেল চিপসেট সাপোর্ট করে এবং এএমডি প্রসেসর এএমডি চিপসেট সাপোর্ট করে। বাংলাদেশে, মাদারবোর্ডে উভয় ধরনের সকেট পাওয়া যায়।

ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্সঃ

কিছু প্রসেসরে গ্রাফিক্স চিপ বিল্ট-ইন থাকে তাই বেসিক গ্রাফিক্স প্রসেসিং করার জন্য অতিরিক্ত কার্ডের প্রয়োজন হয় না। যদি এটি সেখানে না থাকে তবে হয় আপনাকে অন-বোর্ড গ্রাফিক্স সহ একটি মাদারবোর্ড কিনতে হবে বা অতিরিক্ত কার্ড কিনতে হবে।

থার্মাল কুলারঃ

প্রসেসর তাপ উৎপন্ন করবে এবং বিশেষ করে জটিল গ্রাফিক্স অ্যাপ্লিকেশন চালানোর সময়। সুতরাং, প্রসেসরের সাথে কুলার আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন অন্যথায় অতিরিক্ত কুলার কিনতে হবে। বাংলাদেশে সাধারণত বক্স প্রসেসরে কুলার থাকে।

বাংলাদেশের সেরা প্রসেসর এর মূল্য তালিকা November, 2024

November, 2024-এর বাংলাদেশের সেরা প্রসেসর এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের প্রসেসর ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা প্রসেসর এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

প্রসেসর মডেল বাংলাদেশে দাম
Intel Core i5-8400 8th Generation Processor ৳ ৫,৯০০
Intel Core i5 4th Generation 3.2 GHz Processor ৳ ১,৯০০
Intel Core i5 7th Generation Processor ৳ ৪,২০০
Intel Core i5 10th Generation Processor ৳ ১৪,০০০
Intel Core i3 6th Generation Processor ৳ ১,৪৫০
Intel Core i3-4130 4th Genaration Processor ৳ ৪০০
Intel Core i7 4th Generation 3.4 GHz 8MB Cache Processor ৳ ৩,৪০০
Intel Core i3-7100 7th Gen Desktop Processor ৳ ১,৭০০
Intel Core i7-3770 3rd Generation Processor ৳ ২,৭৫০
Intel Core i3-8100 6MB Cache 3.60GHz 8th Gen Processor ৳ ৩,২০০