ইন্টেল প্রসেসর কেনাকাটা
সেলেরন প্রসেসর ও পেন্টিয়াম প্রসেসরের পরে ইন্টেলের কোর প্রসেসর বাজারে আসে। প্রসেসর আগে সিপিইউ’তে এক বা একাধিক কোর হিসেবে ব্যবহার করা হত। সিপিইউ এর প্রতিটি কোরই মূলত একটি প্রসেসিং ইউনিট হিসেবে কাজ করে। ইন্টেলের প্রসেসরে সাধারণত দুটি বা চারটি ফিজিক্যাল কোর থাকে যা ডুয়েল বা কোয়ার্ড কোর হিসেবে পরিচিত।
৬ষ্ঠ প্রজন্মের পর বা স্কাইলেকের ক্ষেত্রে দুই কোরের প্রসেসর হিসেবে কোর আই৩ দেখা যায়। বর্তমানে স্কাইলেকের কোর আই৩, আই৫, আই৭ এবং সর্বশেষ আই৯ প্রসেসর পাওয়া যায়। কোর আই৭ এর ইক্সট্রিম ভার্সনের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোরের সংখ্যা আরও বেশি থাকে। প্রসেসরে কোরের সংখ্যা যত বেশি থাকবে একই সময়ে তুলনা মুলক অধিক কাজ করার ক্ষমতা রাখে।
প্রসেসরের ক্লক স্পিডের বাড়িয়ে দিতে প্রসেসরের টার্বো বুস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কর আই৩ প্রসেসরে টার্বো বুস্ট ব্যবহার করা যায় না বা থাকে না। এছাড়া অন্যান্য প্রসেসর যেমন কোর আই৫, আই৭, আই৯ টার্বো বুস্ট ব্যবহার করা যায়। প্রয়োজনে অনুযায়ী এধরনের সিপিইউ বেইজ স্পিডের চাইতে বেশি স্পিডে পারফর্ম করানো সম্ভব।
কোর আই৩ প্রসেসরের ক্যাশ মেমরি ৩এমবি থেকে সর্বোচ্চ ৪ এমবি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং অন্যান্য প্রসেসর কোর আই৫ ও কোর আই৭ ক্যাশ মেমরি যথাক্রমে ৬ এমবি থেকে ৮ এমবি ও কোর আই৯ এর মেমরি ১০ এমবি পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
প্রসেসরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রসেসরের জেনারেশন। শুধুমাত্র ইন্টেল প্রসেসরের ক্ষেত্রে এই জেনারেশন শব্দটা ব্যবহার করা হয়। জেনারেশন হল ইনটেল প্রতি বছর যে প্রসেসর তৈরি করে তার উৎপাদনের মান কতটা উন্নত এবং কতটা ছোট। ইনটেল প্রসেসরের প্রতিটি নতুন জেনারেশনে এই ট্র্যান্সিস্টর গুলো ব্যবহার করে ক্ষুদ্রভাবে তৈরি করে বাজারে প্রকাশ করে। ট্র্যান্সিস্টর গুলো যত বেশি ক্ষুদ্র হবে কম্পিউটার প্রসেসর ততো বেশি দ্রুত গতি সম্পন্ন হবে এবং কম পাওয়ারে বেশি কাজের আউটপুট দিবে।