বিদ্যুৎ সরবরাহ কেনাকাটা
কম্পিউটার আমাদের বিভিন্ন কাজকে সহজ করে থাকে তাই কম্পিউটারে সঠিক পাওয়ার প্রদান করা জরুরি কারন এটি কম্পিউটার মাদারবোর্ডসহ অন্যান্য অংশগুলিকে ভাল রাখবে। সাধারণত কেসিংএর সাথে এই পাওয়ার সাপ্লাই আসে কিন্তু কারও যদি অধিক পরিমান রিলায়েবল পাওয়ার সাপ্লাই দরকার হয় তখন এই অতিরিক্ত পাওয়ার সাপ্লাই সংযুক্ত করা লাগতে পারে। যেমন সার্ভারে ডুয়েল পাওয়ার সাপ্লাই দরকার হয় তেমনি গেম খেলার জন্য দরকার শক্তিশালী পিসি পাওয়ার সাপ্লাই। আর বাংলাদেশে এখন কম দামে ভাল রেটিংযুক্ত পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যাচ্ছে।
বিডিতে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের দাম কত?
বিডিতে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের দাম ৪,০০ টাকা থেকে শুরু এগুলো দিয়ে ৫৫০ ওয়াট পর্যন্ত পিসিতে পাওয়ার দেয়া যায় সাথে ডাবল বল বিয়ারিং ফ্যান থাকে আর মাদারবোর্ডে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কানেক্টর থাকে। বাজেট এবং কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে পিএসউ নির্বাচন করা উচিত।
সঠিক পাওয়ার সাপ্লাইয়ার খুঁজে পেতে কি কি টিপস জানা দরকার?
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের পাওয়ার সাপ্লাইয়ার পাওয়া যায়। কম্পিউটারের জন্য সঠিক পাওয়ার সাপ্লাই খুঁজে পেতে কিছু টিপস নিচে তুলে ধরা হলোঃ
১। প্রথমে নির্ধারণ করুন কোন কাজে এটি ব্যবহার করবেন। যদি পিসির জন্য হয় তবে তবে পিসি পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে হবে যেগুলো বাংলাদেশে পাওয়া যায়। যদি সার্ভারের জন্য হয় তবে রিডান্ডেন্ট পাওয়ার ব্যবহার করতে হতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণত গেম খেলার জন্য বিশেষ পাওয়ার সাপ্লাই দরকার হয় যেগুলোকে গেমিং পাওয়ার সাপ্লাই বলে। তবে পাওয়ার একটু বেশি নেয়া ভাল কারন পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে কাজে লাগবে।
২। ভোল্টেজ কনভার্টার প্রযুক্তির পাওয়ার সাপ্লাইয়ার বেশ ভাল বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য। কারন ভোল্টেজ ওঠা নামার ফলে কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি পুড়েও যেতে পারে। তাই পিসিকে সুরুক্ষিত রাখতে ভোল্টেজ কনভার্টার প্রযুক্তির পাওয়ার সাপ্লাইয়ার নির্বাচন করতে পারেন।
৩। অনেক পাওয়ার সাপ্লাইয়ারে আউটপুট রেগুলেটর প্রযুক্তি ব্যবহার হয়ে থাকে। ফলে পিসিতে থাকা আর্থিং সমস্যা কমে যাবে এবং সঠিক মাত্রায় শক্তি সম্পাদন হবে।
৪। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পিএসউ বাংলাদেশে ব্যপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছে অল্প সময়ে। এগুলোর এফিসিয়েন্সি অনেক ভাল তাই কম বিদ্যুৎ টেনেও সঠিক পরিমান পাওয়ার আউটপুট দিয়ে থাকে। ৮০+ রেটিং যুক্ত পাওয়ার সাপ্লাই বিডিতে এখন কম দামে সহজলভ্য। এই পাওয়ার সাপ্লাইগুলো পাওয়ার এফিসিয়েন্সির নিশ্চয়তা দেয়।
৫। বিভিন্ন ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়। পিসির কনফিগারেশন যেমনঃ র্যাম, স্টোরেজ, গ্রাফিক্স ইত্যাদি আরও যা যা আছে এগুলোর উপর নির্ভর করে পাওয়ার সাপ্লাইয়ারের পরিমাপ নির্ধারণ করতে হবে। উচ্চ মানের কনফিগার দিয়ে কম্পিউটার বিল্ড করলে অবশ্যই বেশি ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাইয়ার নিতে হবে। আবার উচ্চ মানের কনফিগার না থাকলে কম ভোল্টেজের পাওয়ার সাপ্লাইয়ার নিলে চলবে তাতে খরচ কিছুটা বাঁচবে। উদাহরণ দিয়ে বলা যায় কোনো পিসি যদি ৮জিবি র্যাম, এইচডিডি এবং এসএসডি ডুয়াল স্টোরেজ, উচ্চ মানের প্রসেসর, শক্তিশালী মাদার বোর্ড থাকলে ৪৫০ ওয়াট থেকে ৫৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই নেয়া ভালো।
৬। পাওয়ার সাপ্লাইয়ারে কুলিং সিস্টেম আছে কিনা জেনে নিন। পাওয়ার সাপ্লাইয়ারে কুলিং সিস্টেম একটি প্রয়োজনীয় জিনিস। অনেক সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করতে হলে উচ্চ মানের কুলিং সিস্টেমের পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে পারেন এর ফলে কেসিং গরম কম হবে এবং গতি থাকবে সঠিক।
৭। পাওয়ার সাপ্লাইয়ারের ওজন এবং আকৃতি দেখা একটি জরুরি বিষয়। পাওয়ার সাপ্লাইয়ারের আকৃতি বেশি বড় হলে বা ওজন বেশি হলে এটি কেসিং-এ অনেক স্থান জুড়ে থাকবে। আবার ওজন বেশি হলে এটি বহন করাও কষ্টকর তাই ওজন এবং আকৃতি দেখে পাওয়ার সাপ্লাইয়ার কেনা উচিত।