সিএনজি কেনাকাটা
সিএনজি মূলত অটোরিকশার ন্যায় তিন চাকার বাহন এবং আকারেও ছোট হয়ে থাকে। এই ধরণের গাড়ী মূলত প্রাকৃতিক গ্যাসের সাহায্যে চালানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ফলে, প্রচলিত পেট্রোল বা ডিজেলের যানবাহনে যাতায়াতের তুলনায় জ্বালানী খরচ কম হয়ে থাকে। তাছাড়া, সিএনজি পরিবেশ বান্ধব, জ্বালানী সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ যাতায়াতের জন্য ব্যাক্তিগত কিংবা পরিবারের যাতায়াতের জন্য সহায়ক বাহন হিসেবে বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সিএনজি কেনার আগে যেসব বিষয় দেখতে হবে
- ইঞ্জিনঃ সিএনজিতে সাধারণত ১৭৫সিসি থেকে ২১০ সিসি ডিসপ্লেসমেন্টের ইঞ্জিন সরবারহ করে থাকে। এই ক্যাপাসিটির ইঞ্জিন সাধারণত ৬.৭ কিলোওয়াট থেকে ৮.১ কিলোওয়াট পাওয়ার আউটপুট পাওয়া যায়। উচ্চ ক্যাপাসিটির ইঞ্জিন যুক্ত সিনএনজি ভালো কর্মক্ষমতা এবং ত্বরণ সরবারহ করে। সিটি এরিয়াতে ড্রাইভ করার জন্য ১৭৫ সিসি ইঞ্জিন যুক্ত সিএনজি উপযুক্ত। তবে আপনি যদি শহর থেকে বাইরে ড্রাইভ করতে চান সেক্ষেত্রে ২১০সিসি বা তার বেশি সিসি বিশিষ্ট সিএনজি উত্তম। তাই, সিএনজি কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ইঞ্জিন যাচাই করতে হবে।
- ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটিঃ সিএনজি কেনার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি যাচাই করা। কারণ ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি মূলত রিফুয়েলিং ফ্রিকোয়েন্সি সম্পর্কে ধারনা প্রদান করে থাকে। সিএনজিতে সর্বনিম্ন ৮ লিটার ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি সরবারহ করে থাকে। তাছাড়া, বেশি ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি সম্পন্ন সিএনজি ব্যবহারে রিফুয়েলিং এর জন্য বেশি স্টপেজ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
- ব্রেকিং সিস্টেমঃ নিরাপত্তার স্বার্থে সিএনজি এর ব্রেকিং সিস্টেম যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাছাড়া, এই ধরণের গাড়ীর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্রেকিং সিস্টেম হচ্ছে ড্রাম ব্রেক। এছাড়াও, যাত্রী পরিবহনের সময় ব্রেক যথাযথ স্টপিং পাওয়ার প্রদান করে তা যাচাই করতে হবে।
- ব্যাটারিঃ এই ধরণের যানবাহনের জন্য ১২ ভোল্ট এবং ৩২ এএইচ পাওয়ার ক্যাপাসিটির ব্যাটারি উপযুক্ত। তাছাড়া, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে এই ধরণের ব্যাটারি সিএনজিতে নির্ভরযোগ্য বৈদ্যুতিক পাওয়ার প্রদান করে থাকে। তাই, সিএনজি কেনার ক্ষেত্রে ব্যাটারি ক্যাপাসিটি যাচাই করে নেওয়া উত্তম।
- আরপিএমঃ সিএনজিতে সাধারণত ৩৫০০ আরপিএম থেকে সর্বোচ্চ ৫,০০০ আরপিএম সরবারহ করে থাকে। উচ্চতর আরপিএম এর ইঞ্জিন যুক্ত সিএনজি সাধারণত ভাল কর্মক্ষমতা সরবারহ করে, যা আপনাকে ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
- ফুয়েল সিস্টেমঃ বর্তমানে, কিছু কিছু সিএনজিতে ফুয়েল হিসেবে গ্যাস ব্যবহারের পাশাপাশি পেট্রোল ব্যবহার করা যায়। এই ধরণের ফুয়েল সিস্টেম যুক্ত সিএনজি চালানোর ক্ষেত্রে বেশি সুবিধাজনক হয়ে থাকে। তাই, আপনার চাহিদা অনুযায়ী যথাযথ ফুয়েল সিস্টেমের সিএনজি যাচাই করে নেওয়া উত্তম।
বাংলাদেশে সিএনজির দাম
বাংলাদেশে সিএনজির দাম ৮৮,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যা ব্যবহৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাছাড়া, সিএনজির দাম সাধারণত সেকেন্ড হ্যান্ড সিএনজি নাকি নতুন সিএনজির মতো বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে। আপনি যদি নতুন সিএনজি কেনেন তবে আপনার আলাদা লাইসেন্স থাকতে হবে তবে সেকেন্ড হ্যান্ড সিএনজি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য লাইসেন্সের সাথে আসে। উদাহরণস্বরূপ, মেট্রোপলিটন এলাকায় গণপরিবহনের জন্য একজনকে মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য লাইসেন্স নিতে হবে এবং সাধারণত বাংলাদেশে মেট্রো সিএনজির দাম দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেক বেশি। মনে রাখবেন, প্রাইভেট সিএনজি এর জন্য এলাকা ভিত্তিক লাইসেন্স লাগে না।