শাড়ি Clothing কেনাকাটা
শাড়ি বাংলাদেশে নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এটি শহর ও গ্রামের নারীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় পোশাক। এটি পেশাদার কাজে, বিবাহ, উৎসব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নারীদের জাতীয় পোশাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সময় বিবর্তনের সাথে সাথে আকর্ষণীয় কালার এবং নতুন নতুন ডিজাইনে তৈরি শাড়ি, ফ্যাশন জগতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। বর্তমানে, সুতি, সিল্ক, জর্জেট, তাঁতের শাড়ি, হাফ সিল্ক, কাতান, বেনারসিসহ আকর্ষণীয় ডিজাইনের শাড়ি বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।
শাড়ি কোথায় কিনবেন?
আকর্ষণীয় কালার এবং ডিজাইনে সব রকমের শাড়িই বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিডিস্টল.কম এ পাওয়া যায়। তাই, বিডিস্টল.কম এ সরাসরি অর্ডার করে সহজেই পছন্দের শাড়ি সংগ্রহ করা যাবে।
বাংলাদেশে শাড়ির দাম
বাংলাদেশে শাড়ির দাম মূলত ফেব্রিক্স, ডিজাইন, কারুকার্য, শাড়ির ধরণ ইত্যাদি বিষয় সমূহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে শাড়ির দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু, যা ১২ হাত দৈর্ঘ্যের জাপানী সিল্ক শাড়ি। এছাড়া, বিলাসবহুল ডিজাইনে তৈরি শাড়ি ২,০০০ টাকা থেকে ৬,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। আকর্ষণীয় ডিজাইন, জরির, পাথরের পাশাপাশি উন্নত ফেব্রিক্সে তৈরি শাড়ির দাম ১০,০০০ টাকার বেশি হয়ে থাকে।
শাড়ি কেনার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে
শাড়ির কাপড়ঃ শাড়ি কেনার ক্ষেত্রে শাড়ির ফেব্রিক্স যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিল্ক, জর্জেট, সুতি, শিফন এর মত বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক্সের শাড়ি পাওয়া যায়। শাড়ির আরামদায়ক হবে কিনা এই বিষয়টি ফেব্রিক্স এর উপর নির্ভর করে। তবে, ফেব্রিক্স যাচাইয়ের পাশাপাশি আবহাওয়া এবং ব্যাক্তিগত পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
শাড়ির ডিজাইনঃ শাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ডিজাইন বাছাই করাটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ এতে শাড়ির কালার, প্যাটার্নের বিষয় যুক্ত থাকে। তাছাড়া, শাড়ির ডিজাইন বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে শরীরের ধরণ, কালার বিবেচনা করতে হবে। তাহলে, একটি কাঙ্ক্ষিত মানের শাড়ি পাওয়া যাবে।
উচ্চতা এবং ওজনঃ শাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর উচ্চতা এবং ওজন বিবেচনা করতে হবে। বড় পাতা এবং ফুলের বড় প্রিন্টের শাড়ি সাধারণত ভারী হয়ে থাকে। অন্যদিকে উচ্চতায় ছোট হলে আকর্ষণীয় পাড় সহ সাধারণ শাড়ি বাছাই করা উচিত।
ড্রেপিং স্টাইলঃ শাড়ি সাধারণত বিভিন্ন ড্র্যাপিং স্টাইলে হয়ে থাকে। তাই, স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে এমন ড্রেপিং স্টাইল যুক্ত শাড়ি যাচাই করতে হবে। কারণ, শাড়ির স্টাইল বহন করার ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য এবং আত্মবিশ্বাস বিবেচনা করা অপরিহার্য।
ব্যবহারের উপলক্ষঃ ভারী গয়নার সাথে মানানসই ঐতিহ্যবাহী শাড়ি সাধারণত বিবাহ এবং বড় পরিসরের অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য আদর্শ। অন্যাদিকে হালকা ওজন এবং সাধারণ ডিজাইনে তৈরি শাড়ি দৈনন্দিন ব্যবহারের পাশাপাশি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। তাই, শাড়ি কেনার আগে অবশ্যই ব্যবহারের উপলক্ষ কিংবা কোন ধরনের অনুষ্ঠানে পড়তে চাচ্ছেন তা বিবেচনা করতে হবে।
বাজেটঃ বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে বিভিন্ন ডিজাইন এবং ফেব্রিক্সে বিস্তৃত পরিসরে শাড়ি পাওয়া যায়। তাই, শাড়ি কেনার আগে অবশ্যই বাজেট ফিক্সড করতে হবে। কারণ শাড়ির দাম শুধুমাত্র শাড়ির গুনমান নির্ধারণ করে না। তাই, বাজেট এবং পছন্দের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত শাড়ি বাছাই করতে হবে।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় শাড়ি
সুতি শাড়িঃ বাংলাদেশে সকল ধরনের শাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শাড়ি হচ্ছে সুতি শাড়ি। এই ধরনের শাড়ি সাধারণত হালকা ওজনের এবং সুতির কাপড় থেকে তৈরি হয়ে থাকে। বিভিন্ন রঙ এবং ডিজাইনে তৈরি সুতি শাড়ি বাংলাদেশের বাজারে কম দামে পাওয়া যায়। এই ধরনের শাড়ি দৈনন্দিন ব্যবহারের পাশাপাশি গরম আবহাওয়ায় ব্যবহারের জন্য আদর্শ শাড়ি। বাংলাদেশে ভালো মানের সুতি শাড়ি ১,০০০ টাকায় পাওয়া যায়।
টাঙ্গাইল শাড়িঃ টাঙ্গাইল শাড়ি মূলত হাতে বোনা শাড়ি, যা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় বিস্তৃত পরিসরে তৈরি করা হয়। এই ধরণের শাড়ি জ্যামিতিক প্যাটার্ন এবং মোটিফ ফিচারের সমন্বয়ে ইউনিক ডিজাইনে তৈরি হওয়ায় বেশ জনপ্রিয়। টাঙ্গাইলের শাড়ি হালকা এবং আরামদায়ক হওয়ায় দৈনন্দিন ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পড়ে যাওয়ার জন্য আদর্শ শাড়ি। বাংলাদেশে টাংগাইলের শাড়ির দাম যথেষ্ট সস্তা, যা ২০০০-৬০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে পাওয়া যায়।
কাতান শাড়িঃ কাতান শাড়ি সাধারণত খাঁটি সিল্ক থেকে তৈরি করা হয়। এই ধরনের শাড়ি সমৃদ্ধ টেক্সচার এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের জন্য পরিচিত। তাছাড়া, প্রায় সকল কাতান শাড়ি জরি দিয়ে ডিজাইন করা হয়। কাতান শাড়ি মূলত বিশেষ অনুষ্ঠান এবং বিয়েতে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। তাছাড়া, বাংলাদেশে কাতান শাড়ির দাম ৩,০০০ টাকা থেকে শুরু।
সিল্ক শাড়িঃ এই ধরনের শাড়ি উচ্চ-মানের সিল্ক থেকে তৈরি হয়ে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন ডিজাইন এবং প্যাটার্নে পাওয়া যায়, যা আকর্ষণীয় এবং বিলাসবহুল হয়ে থাকে। সিল্ক শাড়ি সাধারণত ফেস্টিবল এবং ফরমাল অনুষ্ঠানের ব্যবহারের জন্য জনপ্রিয় পছন্দ। বাংলাদেশে সিল্ক শাড়ি ৪,০০০ টাকায় পাওয়া যায়।
জামদানি শাড়িঃ এই ধরনের শাড়ি মূলত সূক্ষ্ম কারুকার্য এবং মসলিন কাপড়ের জন্য বিখ্যাত। জামদানি শাড়ি ঐতিহ্যগতভাবে হাতে বোনা পাশাপাশি আকর্ষণীয় ফুল এবং জ্যামিতিক মোটিফ ডিজাইনে তৈরি করা হয়। এই ধরণের শাড়ি স্পেশাল অনুষ্ঠান এবং কালচারাল অনুষ্ঠানে পরার জন্য উপযুক্ত। বাংলাদেশে জামদানি শাড়ির দাম ৮,০০০ টাকা থেকে শুরু।