চেয়ার কেনাকাটা
চেয়ার যা বসবার জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যবহার করা হয়। অফিসে বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বসে কাজ করার জন্য হোক বা অতিথিদের বসতে দেওয়ার জন্য চেয়ারের ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। অফিস, বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং বিভিন্ন স্থানের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের চেয়ার বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়। বর্তমানে বিভিন্ন উপকরণের তৈরি চেয়ার বিডিতে পাওয়া যায় ফলে, আরামদায়ক ভাবে বসে গুণমান সম্পন্ন কাজ করা যায়।
বাংলাদেশে চেয়ারের দাম কত?
বাংলাদেশে চেয়ারের ডিজাইন, উপকরণ, বসার আরামদায়কতা, এবং উন্নত বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে। বিডিতে চেয়ারের দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু যা প্লাস্টিকের তৈরি আরামদায়ক চেয়ার। অন্যদিকে, বাংলাদেশে অফিস চেয়ারের দাম ২,৪০০ টাকা থেকে শুরু যা দীর্ঘ সময় একটানা বসে কাজ করার জন্য উপযুক্ত এবং সাচ্ছন্দে নড়াচড়ার জন্য ৫ টি চাকা যুক্ত আছে। তাছাড়া, উন্নত বৈশিষ্ট্য যুক্ত চেয়ার বাংলাদেশে পাওয়া যায় যার দাম কিছুটা বেশি।
বাংলাদেশে কয় ধরণের চেয়ার পাওয়া যায়?
ব্যবহারের ভিত্তিতে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের চেয়ার পাওয়া যায়। চেয়ারের ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলঃ
অফিস চেয়ারঃ একটানা দীর্ঘ সময় বসে কাজ করার জন্য অফিস চেয়ার ব্যবহার করা হয়। অফিস চেয়ার গুলো সাধারণত আরামদায়ক হয়ে থাকে। কেননা অফিস চেয়ারের বসার স্থানে স্পঞ্জ ফোম ব্যবহার করা হয় এবং ব্যাক রেস্টও তুলনামূলক নরম থাকে। এছাড়া, অফিস চেয়ারে বসে সহজে আশে পাশে প্রয়োজন অনুসারে নাড়াচাড়া করার জন্য এর পায়ে চাকা যুক্ত থাকে। এবং, অফিস চেয়ারে হাইড্রলিক প্রযুক্তি যুক্ত থাকে ফলে, নিজের উচ্চতা এবং প্রয়োজন অনুসারে চেয়ারের উচ্চতা বাড়ানো কমানো যায়। এছাড়া, এই চেয়ারগুলো বাসায় দীর্ঘক্ষণ বসে পড়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
অতিথি চেয়ারঃ বাসা-বাড়ি সহ অফিস বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অতিথিদের বসতে দেওয়ার জন্য এই ধরণের চেয়ার সমান হারে ব্যবহার করা হয়। অতিথি চেয়ার গুলো বিভিন্ন ডিজাইনের ও উপকরণে তৈরি হয়ে থাকে। অতিথি চেয়ার হিসেবে বাসা-বাড়িতে প্লাস্টিক ও কাঠের তৈরি চেয়ার বেশি ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া, স্পঞ্জ ফোমে তৈরি অতিথি চেয়ার অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার করা হয়। এই চেয়ারগুলোর দাম তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।
চেয়ার কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?
চেয়ার যা স্থান ভেদে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। তাই, চেয়ার কেনার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
১। চেয়ারের ধরণঃ চেয়ার কেনার আগে চেয়ার কোথায় ব্যবহার করতে হবে তা বিবেচনা চেয়ারের ধরণ নির্বাচন করতে হবে। দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে কাজ করার প্রয়োজন হলে আরামদায়ক অফিস চেয়ার নির্বাচন করতে হবে। বিশেষ করে ডেস্কটপে সারাদিন কাজ করতে হলে একটি ভালো মানের অফিস চেয়ার বা হাইড্রলিক চেয়ার উপযুক্ত। তাছাড়া, অতিথিদের বসার জন্য, বা অল্প সময় বসার জন্য প্লাস্টিক বা কাঠের তৈরি চেয়ার নির্বাচন করা যেতে পারে। তবে, স্পঞ্জ ফোম দ্বারা তৈরি অতিথি চেয়ার পাওয়া যায় যা খুবি আরামদায়ক।
২। উন্নত বৈশিষ্ট্যঃ দীর্ঘ সময় একটানা কাজ করার জন্য আরামদায়ক ও উন্নত বৈশিষ্ট সম্পন্ন চেয়ার নির্বাচন করতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে হাইড্রলিক সিস্টেম এবং চাকা যুক্ত চেয়ার নির্বাচন করতে হবে।
৩। আর্মরেস্ট এবং ব্যাকরেস্টঃ প্রয়োজন অনুসারে আর্ম রেস্ট এবং ব্যাক রেস্ট যুক্ত চেয়ার নির্বাচন করতে হবে। এবং, বেশ কিছু চেয়ারে নমনীয় আর্ম রেস্ট এবং নমনীয় ব্যাক রেস্ট থাকে তাই, সেই বিবেচনায় নিজের জন্য আদর্শ চেয়ার নির্বাচন করতে হবে।
৪। উচ্চতা সামঞ্জস্যযোগ্যঃ বেশীর ভাগ অ্যাডভান্স চেয়ারের উচ্চতা সামঞ্জস্যযোগ্য ফলে, প্রয়োজন অনুসারে উঠানো ও নামানো যায়। এবং, উচ্চতা সামঞ্জস্যযোগ্য চেয়ারগুলো যেকোনো উচ্চতার টেবিলের সাথে মানানসই।
৫। স্থায়িত্বতাঃ চেয়ারের নির্মিত উপকরণ এর ভিত্তিতে এটি কত সময় স্থায়িত্বতা হবে তা নির্ভর করে। তাই, নিয়মিত ব্যবহার করার জন্য চেয়ার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে এর নির্মিত উপকরণ দেখে সংগ্রহ করতে হবে।
৬। বাজেটঃ চেয়ার কেনার আগে অবশ্যই চেয়ারের দামের অনুসারে চেয়ারের বৈশিষ্ট্য যাচাই করে নিতে হবে। এবং, নিজের বাজেটের অনুপাতে সঠিক চেয়ার নির্বাচন করতে হবে।