সিসিটিভি ক্যামেরা কেনাকাটা
বাংলাদেশে বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে সিসিটিভির ভূমিকা ক্রমেই আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে এই নিয়ে সচেতনতা। অনেকেই এখন নিজের বাড়ি বা অফিসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বেছে নিচ্ছেন সিসি ক্যামেরা। সিসি ক্যামেরা বাংলাদেশে সিসিটিভি, সিকিউরিটি ক্যামেরা নামেও পরিচিত। তাছাড়া, সম্পূর্ণ সমাধানের জন্য আপনি বিডিস্টল-এ বাংলাদেশে সিসি ক্যামেরা প্যাকেজের দাম দেখতে পারেন।
সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সুবিধা কি?
- সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড অনেকাংশে কমে যায়। যা অনুপ্রবেশকারী সিসি ক্যামেরা অবস্থান বুঝতে পেরে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকে।
- সিসি ক্যামেরা নিরাপত্তা এবং নজরদারিতে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে, যা কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে রিয়েল টাইম মনিটরিং এবং অ্যালার্ম প্রদান করে।
- যেকোনো অপরাধের তদন্তে মূল্যবান প্রমাণ, অপরাধী শনাক্ত, এবং অন্যান্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সিসি ক্যামেরা।
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে গ্রাহক এবং কর্মচারীদের মধ্যে অসদাচরণ, হয়রানি রোধ করে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখে।
- সিসি ক্যামেরার সাথে রিমোটলি মনিটরিং এর সুবিধা প্রদান করে। ফলে, ব্যবহারকারী স্মার্টফোন বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে যেকোনো জায়গা থেকে লাইভ ফুটেজ দেখার পাশাপাশি রেকর্ড করা ফুটেজ ও দেখা যায়।
- বাসা-বাড়ি, ব্যবসা বাণিজ্যে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে অননুমোদিত অ্যাক্সেস রোধ করে মূল্যবান সম্পদ নিরাপদ রাখে।
- অফিস কিংবা শিল্পকারখানায় সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে কর্মচারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং কাজের পরিবেশ উন্নত থাকে।
- রাস্তার যানজট নিরসন এবং নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ ট্রাফিক মনিটরিং, ট্রাফিক ফ্লো পর্যবেক্ষণ এবং ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারীদের সহজেই ক্যাপচার করা যায়।
কোন ধরণের সিসি ক্যামেরা উপযুক্ত?
বুলেট ক্যামেরাঃ বুলেট ক্যামেরা আভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে তবে কখনও কখনও এই বুলেট ক্যামেরাগুলি বাহিরেও ব্যবহৃত হয় একটি বিশেষ হাউজিং দিয়ে যা দ্বারা জল, পোকামাকড়, ধূলিকণা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক জিনিসগুলি থেকে রক্ষা করে। বাংলাদেশে বুলেট ক্যামেরার দামও খুব সস্তা এবং সাধারণত সরাসরি দূরত্বের জন্য ইনস্টল করা হয় এবং বেশিরভাগই বাংলাদেশের গ্যারেজ, প্রবেশপথ এবং রাস্তায় ব্যবহৃত হয়।
ডোম ক্যামেরাঃ ডোম ক্যামেরা বিশেষভাবে তাদের ডোম আকারের জন্য নামকরণ করা হয়েছে। ডোম ক্যামেরা আকারে ছোট হয় এবং ইনডোর ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ডোম ক্যামেরাটি কোন দিকে পয়েন্ট করে থাকে তা বোঝা প্রায় অসম্ভব। ডোম ক্যামেরা সাধারণত প্রশস্ত দৃশ্যের জন্য ইনস্টল করা হয় এবং ডোম ক্যামেরা বেশিরভাগই বাংলাদেশে অফিস এবং কক্ষে ব্যবহৃত হয়। ডোম ক্যামেরার দাম বাংলাদেশে বুলেট ক্যামেরার সমান এবং কখনও কখনও উভয় ক্যামেরাই একে অপরের সাথে সর্বাধিক দূরত্ব ক্যাপচার করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
৩৬০° ডিগ্রি ক্যামেরাঃ সবদিকে একই সময়ে ভিডিও ধারণ করতে পারে বলে এগুলোকে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা বলা হয়। এগুলো সাধারণত চাকার আকৃতি হয় এবং সিলিঙে সেট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। পেন, টিল্ট এবং জুম বা পিটিজেড ক্যামেরাগুলো একদিকেই ফোকাস করে থাকে তবে প্রয়োজনমত এগুলো ডানে, বামে, উপরে, নিচে ঘুরান যায় এবং লেন্সের সাহায্যে জুম করা যায়। এগুলো বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে।
মিনি সিসি ক্যামেরাঃ মিনি সিসি ক্যামেরা সাধারণত আকারে ছোট এবং সরাসরি পাওয়ারের পরিবর্তে ব্যাটারিতে চলে।
সিসি ক্যামেরা দিয়ে কতদূর রেকর্ড করা যাবে?
এটি আপনার সিসিটিভি ক্যামেরা লেন্সের গুণ এবং জুম লেন্স, রেজোলিউশন, আইআর প্রযুক্তি এবং আপনি যে সময় পর্যবেক্ষণ করছেন তার উপর নির্ভর করে। ক্যামেরাটি যদি দিন/রাতের ক্যামেরা হয় তবে মনে রাখবেন এটি দিনের তুলনায় রাতে ৫-১০ ফুট কম এলাকা কভার করতে পারে। প্রথমে কতটা দূরত্ব কভার করতে চান তা নির্ধারণ করুন যাতে মুখ এবং যেকোন বস্তু স্পষ্টভাবে রেকর্ড করা যায়। সাধারণত বেশিরভাগ সিসি ক্যামেরা ২.৮ মিমি লেন্সের সাথে আসে যা ৫ ফুট ভালভাবে রেকর্ড করতে পারে এবং যত বেশি দূরত্ব হবে তত কম পরিষ্কার হবে। অন্যদিকে ২২ মিমি লেন্স সহজেই ৪০ ফুট পর্যন্ত রেকর্ড করতে পারে। সুতরাং, প্রয়োজন অনুসারে সঠিক লেন্সটি বেছে নিন। আরেকটি জিনিস আইআর আলো যা কালো/সাদা রঙে রাতের সময় স্পষ্ট রেকর্ডিং সুবিধা দেয়। সুতরাং, আইআর দূরত্ব জেনে নিন যাতে এটি আপনার লেন্সের মতো একই দূরত্ব কভার করতে পারে। ক্যামেরা রেজোলিউশন যা সাধারণত মেগাপিক্সেলে পরিমাপ করা হয় তা দৃশ্য রেকর্ড করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই এটি যত বেশি হবে তত দুর্দান্ত ছবি ধারণ হবে। অন্তত এচডি মানের সিসি ক্যামেরা পাওয়ার চেষ্টা করুন।
কিভাবে ক্যামেরা কানেক্ট করবেন?
ক্যামেরার সাথে সংযোগ করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। একটি হল কক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহার করে প্রচলিত পদ্ধতি এবং এটি ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। সাম্প্রতিককালে নেটওয়ার্ক ক্যামেরা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কারণ এটি অতিরিক্ত সেটআপের প্রয়োজন ছাড়াই বিদ্যমান ইথারনেট কেবল ব্যবহার করতে পারে। মনে রাখবেন নির্বাচন করা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলির যেন রেকর্ডারকে সমর্থন করে। কিছু ক্যামেরায় ওয়াইফাই সমর্থন রয়েছে যাকে ওয়াইফাই ক্যামেরা বলা হয় এবং এটিতে তারের কোন সেটআপ প্রয়োজন নেয়। কিছু ক্যামেরায় পিওই পোর্ট থাকে যা কোন পাওয়ার লাইন ছাড়াই ক্যামেরাকে সংযুক্ত করতে পারে এবং এটি সেটআপের জন্য খুবই সুবিধাজনক।
কোথায় ক্যামেরা সেটআপ করবেন?
আপনি যে কোনো জায়গায় ক্যামেরা সেটআপ করতে পারেন তবে এটি এমন দূরত্বে সেট করা উচিত যাতে রেকর্ডারে সিগন্যাল পৌঁছাতে পারে। আরেকটি জিনিস, যদি বাইরে রাখেন তবে এটি পানিরোধী হওয়া উচিত। কিছু ক্যামেরা পানিরোধী নয় তবে এটিকে পানিরোধী এবং ধুলোরোধী করতে অতিরিক্ত আবাসন সমর্থন করে। সঠিক আকৃতি নির্বাচন করুন যাতে ক্যামেরাগুলি কম দৃশ্যমান হয় তাতে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে। মনে রাখবেন এমনভাবে ক্যামেরা ইনস্টল করবেন না যা একটি আরেকটিকে রেকর্ড করে। এই সমস্যাটি দূর করতে আপনাকে একাধিক ধরণের ক্যামেরা ইনস্টল করতে হতে পারে।
সিসিটিভি ক্যামেরার দাম কত?
সিসিটিভি ক্যামেরার ১,০০০ টাকায় পাওয়া যায় এবং দামী সিসিটিভির দাম ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কম দামের সিসিটিভি ক্যামেরা বেশির ভাগ লোকের জন্য যথেষ্ট এবং আপনি এই দামটিকে আপনার প্রয়োজনীয় সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা দিয়ে গুণ করতে পারেন। যাইহোক, আপনার বাড়িটিকে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করার জন্য আপনাকে একাধিক ক্যামেরা কেনার প্রয়োজন হতে পারে তাই এটি নির্ভর করে আপনি যে পরিমাণ এলাকাটি কভার করতে চান, রেকর্ডিংয়ের গুণমান এবং কিছু অন্যান্য বিষয়ের উপর।
সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?
রেজোলিউশনঃ সিসিটিভি সাধারণত ৭২০, ১০৮০ পিক্সেলের এইচডি, ৪কে আল্ট্রা এইচডি সহ বিভিন্ন রেজোলিউশনে পাওয়া যায়। তাই স্পষ্ট এবং বিস্তারিত ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণের সুবিধা প্রদান করে, এমন রেজোলিউশন সম্পন্ন সিসিটিভি বাছাই করতে হবে।
ক্যামেরা টাইপঃ বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে মিনি সিসি ক্যামেরা, পিটিজেড সিসি ক্যামেরা, ৩৬০ ডিগ্রী সিসি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা এবং ওয়াইফাই ক্যামেরা সহ বিভিন্ন ধরণের সিসি ক্যামেরা পাওয়া যায়। তাই সিসিটিভি কেনার আগে অবশ্যই কভারেজ এরিয়া এবং দেখার এংগেল যাচাই করার পাশাপাশি ক্যামেরার টাইপ বিবেচনা করতে হবে।
লেন্স টাইপঃ সিসি ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে সঠিক কভারেজ এবং স্পষ্টতা নিশ্চিত করতে ক্যামেরা লেন্সের ফোকাল দৈর্ঘ্য এবং দেখার এংগেল ভালো ভাবে যাচাই করতে হবে।
লো-লাইট পারফরম্যান্সঃ কম আলোতে কিংবা রাতের বেলায় নজরদারি করার ক্ষেত্রে ভালো লো-লাইট পারফরম্যান্স যুক্ত সিসি ক্যামেরা যাচাই করতে হবে।
স্টোরেজ রিকয়ারমেন্টঃ বিল্ট ইন স্টোরেজ সহ সিসি ক্যামেরা কিংবা নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার দিয়ে সিসিটিভি ব্যবহার করা যায়। তাই, সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার আগে চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী স্টোরেজ যাচাই করে নেওয়া উচিত। এছাড়াও, বাজেট কম হলে ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার বা সিসিটিভির অন্তর্নির্মিত স্টোরেজ একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।
কানেক্টিভিটিঃ সিসিটিভি দিয়ে মনিটরিং করার জন্য মনিটিরিং সিস্টেম এর সাথে ওয়্যার কানেকশন কিংবা ওয়্যারলেস কানেকশন এর সুবিধা রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
আবহাওয়া প্রতিরোধীঃ অফিস, বাসা-বাড়ি এবং বানিজ্যিক এরিয়ার ভিতরে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পাশাপাশি বাইরে পর্যবেক্ষণের জন্য আইপি৬৬, আইপি৬৭ এর মত আবহাওয়া প্রতিরোধী সিসি ক্যামেরা পাওয়া যায়। তাই আউটডোর সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে ক্যামেরার বডি এবং যেকোনো আবহাওয়াতে স্থিতিশীল ভাবে ব্যবহার উপযোগী কিনা তা যাচাই করতে হবে।
মোশন ডিটেকশন ও অ্যালার্মঃ সিসি ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে মোশন ডিটেকশন ও মোবাইল কিংবা ল্যাপটপে অ্যালার্ম সুবিধা পাওয়া যাবে কিনা তা যাচাই করতে হবে। মোশন ডিটেকশনের মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ দেখে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এরিয়ায়তে অনুপ্রবেশকারীর গতিবিধি সহজে শনাক্ত করা যায়। এছাড়াও, অ্যালার্ম সিস্টেম যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারে অননুমোদিত প্রবেশের ক্ষেত্রে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপে নোটিফিকেশন পাওয়া যায়।
রিমোট অ্যাক্সেসঃ সিসি ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই রিমোটলি অ্যাক্সেস করার ফিচার যুক্ত রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। যা আপনাকে দূরবর্তী অবস্থান থেকে মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ অ্যাক্সেস করার সুবিধা প্রদান করবে।
সিসিটিভি ক্যামেরার আনুষাঙ্গিক: আপনি যে সিসি ক্যামেরাটি নির্বাচন করেছেন সেই সিসিটিভি ক্যামেরার আনুষাঙ্গিকগুলি বাংলাদেশে সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
ব্র্যান্ড রেপোটেশনঃ বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিসিটিভি পাওয়া যায়। তাই কেনার আগে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্র্যান্ড ভ্যালু, বিক্রয়োত্তর সেবা যাচাই করতে হবে।
আইআর কি এবং নাইট ভিশন সিসি ক্যামেরার দাম কত?
নাইট ভিশন সিসি ক্যামেরা রাতের বেলা কোন আলো ছাড়াই ভিডিও ধারণ করে ইনফ্রারেড (আইআর) ব্যবহার করে। বাংলাদেশে নাইট ভিশন সিসিটিভি ক্যামেরার দাম ৮০০ টাকা থেকে শুরু এবং প্রায় প্রতিটি সিসিটিভিতে নাইট ভিশন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সাধারণত নাইট ভিশনের ভিডিও ফুটেজ সাদা-কালো হয় তবে কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরায় রঙিন ফুটেজ ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে। সাধারণত নাইট ভিশন ক্যামেরার মান বাংলাদেশে আইআর দূরত্ব হিসাবে পরিমাপ করা হয়।
সিসি ক্যামেরায় আইআর কী?
লাইটিং এর অবস্থা যাই থাকুক না কেন, নাইট ভিশন ক্যামেরাগুলো ২৪ ঘণ্টা আউটডোর কভারেজ দিয়ে থাকে। এগুলো দিনের বেলা একটি নির্দিষ্ট কালার ইমেজ দিয়ে থাকে এবং রাতে ইনফ্রারেড ভিউ (আইআর) এর জন্য সাদাকালোতে রূপান্তরিত হয়।
সিসি ক্যামেরার ভিডিও কিভাবে দেখা যায়?
সিসি ক্যামেরার আউটপুট কানেকশন টিভিতে সরাসরি দেয়া যায় তবে দূরবর্তী জায়গা থেকে দেখতে হলে আপনাকে আইপি সুবিধাসহ সিসিটিভি কিনতে হবে।
স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারে কি সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়?
হ্যা, স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়। সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারকের নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ বা সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে, ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ফুটেজ অ্যাক্সেস করা যায়। এছাড়াও, নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার ব্যবহার করে দূরবর্তী অবস্থান থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা যায়।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় সিসি ক্যামেরা ব্র্যান্ড কোন গুলো?
বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে ডাহুয়া, হিকভিশন, জোভিশন, সিপিপ্লাস, ইউনিভিউ, ইজবিজ, অ্যাভটেক সহ বিভিন্ন চায়না ব্র্যান্ডের সিসিটিভি ক্যামেরা পাওয়া যায়।
সিসি ক্যামেরা কি সাউন্ড রেকর্ড করতে পারে?
হ্যা, সিসি ক্যামেরায় যদি বিল্ড ইন মাইক্রোফোন থাকে তাহলে ভিডিও ফুটেজের পাশাপাশি অডিও রেকর্ড করে থাকে।
ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা যায়?
হ্যাঁ, ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা যায়। এটি ইন্টারনেট সংযোগের উপর নির্ভর না করে ক্লোজ-সার্কিট সিস্টেমে কাজ করে,এবং সরাসরি একটি রেকর্ডিং ডিভাইস বা মনিটর থেকে ভিডিও ফুটেজ মনিটরিং করা যায়।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ কতদিন স্থায়ী হয়?
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ মূলত ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়। তাছাড়া, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করার জন্য রেকর্ডিং ডিভাইসের স্টোরেজ ক্ষমতা এবং ব্যবহারকারীর কনফিগার করা সেটিংসের উপর নির্ভর করে ফুটেজ সংরক্ষণের সময়কাল পরিবর্তিত হয়ে থাকে।