পিটিজেড Cctv Camera কেনাকাটা
পিটিজেড হচ্ছে প্যান-টিল্ট-জুম এর সংক্ষিপ্ত রূপ। পিটিজেড সিসিটিভি ক্যামেরা হচ্ছে এমন এক ধরণের নিরাপত্তা ক্যামেরা যা দূরবর্তী অবস্থান থেকে অনুভূমিক, উলম্ব অবস্থানে জুম-ইন ও জুম-আউট করে বড় স্থানের ইনডোর আউটডোর পর্যবেক্ষণ করা যায়। এই ধরণের সিসিটিভি ক্যামেরা বিডিতে মূলত পার্কিং এর স্থান, বিল্ডিং এক্সটেরিয়র, এবং পাবলিক প্লেসগুলোর মতো বড় এরিয়া পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া গতি সনাক্তকরণ, স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাকিং, চিত্র স্থিতিশীল, ইনফারেড ইমিটার এর মত উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত এবং যেকোনো ধরণের আবহাওয়ায় ব্যবহার উপযোগী হওয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশে পিটিজেড সিসিটিভি ক্যামেরা খুবই জনপ্রিয়।
বাংলাদেশে পিটিজেড ক্যামেরার দাম কত?
বাংলাদেশে পিটিজেড ক্যামেরার দাম ব্র্যান্ড, কভারেজ রেঞ্জ, লেন্স, টেকনোলজি ও ফিচারের ভিত্তিতে ১২০০ টাকা থেকে শুরু হয়। তাছাড়া, ইনডোর বা আউটডোরে ব্যবহার উপযোগী পিটিজেড ক্যামেরার দাম ৪,১০০ টাকা থেকে ১,১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে যাতে ট্র্যাকিং সিস্টেম, স্পীড ডিডেকটশন, ইনফারেড ইমিটারের মত উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত থাকে।
কেন পিটিজেড সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবো?
পিটিজেড সিসিটিভি ক্যামেরা উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত, জুম ফ্যাসিলিটি, প্রশস্ত কভারেজ ইত্যাদি সুবিধা সমূহ রয়েছে। ফলে বড় ধরণের শিল্প কারখানা থেকে শুরু করে ছোট পরিসরে অফিস কিংবা বাসা বাড়ির ভিতরে-বাইরে বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহার করা যায়।
কভারেজ এরিয়াঃ পিটিজেড আইপি ক্যামেরার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরাকে অনুভূমিক ও উলম্ব ভাবে স্থাপন করে পর্যবেক্ষণ করা যায়। তাছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে সন্দেহ জনক কোনো কিছু দেখার সুবিধার্থে জুম ইন বা আউট করার সুবিধা রয়েছে। তাই পিটিজেড ক্যামেরা ব্যবহারে স্থির ক্যামেরার তুলনায় অনেক বেশি এরিয়া কভারেজ দিয়ে থাকে।
সুদক্ষ নজরদারিঃ পিটিজেড সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারির কাজে খুবই দক্ষ। তাছাড়া এ ধরনের ক্যামেরাকে দূরবর্তীভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরানোর জন্য অন্তর্নির্মিত প্রোগ্রাম রয়েছে। ফলে সন্দেহভাজন কোনো কিছু সহজে ডিটেক্ট করার পাশাপাশি বৃহত্তর নজরদারি নমনীয়তা প্রদান করে।
চলন্ত বস্তু ট্র্যাকঃ প্যান, টিল্ট, এবং জুম সক্ষমতা থাকায়, পিটিজেড ক্যামেরা দিয়ে সহজেই চলমান বস্তু বা ব্যক্তিদের ট্র্যাক করা যায়। যেকোনো পরিস্থিতিতে নজরদারি করে সচেতনতা প্রদান করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
অতিরিক্ত ক্যামেরার প্রয়োজন হ্রাসঃ পিটিজেড আইপি ক্যামেরা দীর্ঘ পরিসরের জায়গা পর্যবেক্ষণ করার সক্ষমতা রয়েছে। ফলে একটি এরিয়াকে কভার করার জন্য বেশ কয়েকটি ক্যামেরার প্রয়োজন হবে না। এমনকি পিটিজেড সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারে নজরদারি ব্যবস্থার খরচ অনেকাংশে কমে যাবে।
এডভান্স টেকনোলজিঃ ব্যাক্তি, বস্তু কিংবা গাড়ীর গতি সনাক্ত, স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাকিং এবং চিত্র স্থিতিশীলতার মতো উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত রয়েছে পিটিজেড ক্যামেরায়। ফলে এই ধরনের ক্যামেরা ব্যবহারে উন্নত ধরনের নজরদারি ক্ষমতা পাওয়া যায়।
দূরবর্তী অ্যাক্সেসঃ পিটিজেড ক্যামেরা দূরবর্তীভাবে অ্যাক্সেস এবং কন্ট্রোল করার সুবিধা রয়েছে। ফলে ব্যবহারকারী দূরবর্তী অবস্থানে থেকে সহজেই নজরদারি এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
পিটিজেড সিসি ক্যামেরা কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?
বর্তমানে বিডিতে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন, মডেল এবং উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত পিটিজেড ক্যামেরা পাওয়া যায়। তাই পিটিজেড ক্যামেরা কেনার পূর্বে অবশ্যই কিছু বিষয় লক্ষনীয়।
- প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যামেরার আকার এবং রেজোলিউশন বিবেচনা করার পাশাপাশি গতিশীল ভাবে কাজ করতে সক্ষম কিনা তা জেনে নেওয়া
- রাতে ক্লিয়ার ভিডিও ধারণ সক্ষমতা, গতি সনাক্তকরণ, এবং দূরবর্তী পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা যাচাই করে নেওয়া উচিত
- ইনডোর বা আউটডোরে ব্যবহার উপযোগী কিনা কেনার পূর্বে তা অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে
- প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ কভারেজ পাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া