কার্টিজ কেনাকাটা
সকল প্রিন্টারের ভেতরেই একটি অংশ আছে যেখানে কালি জমা থাকে মূলত সেটিই হলো কার্টিজ। একটি প্রিন্টারে যখন প্রিন্টিং করার সংকেত প্রদান করা হয় তখন প্রিন্টারের কার্টিজ থেকে কালি নির্গত হয়ে কাগজে আসে এবং কাঙ্খিত প্রিন্টিং পেতে সহায়তা করে। তবে এই কার্টিজে থাকা কালির একটি নির্দিষ্ট সীমা থাকে। অনেক ব্যবহারের পর কার্টিজ থেকে কালি শেষ হয়ে যায় পরবর্তিতে পুনরায় কালি যুক্ত হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের কার্টিজ পাওয়া যায় এবং ব্যবহার এবং কোয়ালিটির উপর দাম দিয়ে কেনা জিতে পারে।
বাংলাদেশে কত ধরণের প্রিন্টার কার্টিজ পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে দুই ধরণের প্রিন্ট্রার কার্টিজ পাওয়া যায়। এগুলো হলোঃ
- ইঙ্ক কার্টিজ
- টোনার কার্টিজ
ইঙ্ক কার্টিজঃ ইঙ্ক কার্টিজ সরাসরি প্রিন্টারে প্রবেশ করাতে হয়। ইঙ্ক কার্টিজকে ইঙ্কজেট কার্টিজ ও বলা হয়। এই কালিটি সম্পূর্ণ তরল থাকে। এটি সাধারণত ইঙ্কজেট বা ডেস্কজেট প্রিন্টারে ব্যবহৃত হয়।
টোনার কার্টিজঃ টোনার কার্টিজ লেজার প্রিন্টারে ব্যবহার করা হয়। এটি টোনার পাউডার, প্লাস্টিকের কণা, কার্বন এবং কালো বা অন্যান্য রঙিন উপাদানের একটি সূক্ষ্ম এবং শুকনো মিশ্রণ থাকে যা লেসারের সাহায্যে গলিয়ে কাগজে প্রকৃত চিত্র তৈরি করে বা অক্ষর হিসেবে প্রতিফলিত করে। টোনার কার্টিজের দাম বাংলাদেশে বেশ সস্তা আর এগুলো বিভিন্ন মানের পাওয়া যায় তাই বাজেট এবং চাহিদা অনুযায়ি বেছে নেয়া যায়।
বাংলাদেশে কত মানের কার্টিজ রয়েছে?
বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের কার্টিজ পাওয়া যায় তবে কাজের উপর ভিত্তি করে এদের ৩ ভাগে ভাগ করা যায় যেমনঃ
- অরিজিনাল কার্টিজ
- কম্প্যাটিবল কার্টিজ
- রিফিল কার্টিজ
অরিজিনাল কার্টিজঃ অরিজিনাল কার্টিজ গুলো প্রিন্টার ব্র্যান্ড অনুযায়ী অফিশিয়াল কার্তিজ হয়ে থাকে। অর্থাৎ যে ব্র্যান্ডের প্রিন্টার সে ব্র্যান্ডের কার্টিজ যা মডেলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সেটিই অরিজিনাল কার্টিজ। অরিজিনাল কার্টিজ গুলোর কালির মান অনেক ভাল থাকে। প্রিন্টিং করার সময় স্পষ্ট লেখা এবং ছবি পাওয়া যায়। বাংলাদেশে অরিজিনাল প্রিন্টার কার্টিজ এর দাম তুলনামুলক একটু বেশি।
কম্প্যাটিবল কার্টিজঃ কম্প্যাটিবল টোনার কার্টিজ গুলো যেকোনো প্রিন্টার কার্টিজের সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো দামে অনেক সাশ্রয়ী হয়। কম্প্যাটিবল কার্টিজ গুলোকে থার্ড পার্টি কার্টিজও বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে কম্প্যাটিবল কার্টিজ গুলো ব্যবহার হতে বেশি দেখা যায়।
রিফিল কার্টিজঃ অন্যান্য কার্তিজ গুলো রিপ্লেস ক্রএ নিতে হয় কিন্তু রিফিল কার্টিজ গুলো একটু ব্যতিক্রম। কালি শেষ হয়ে গেলে রিফিল কার্টিজ সাধারণ ভাবে তরল হওয়ায় এটিকে সরাসরি প্রিন্টারে প্রতিস্থাপন করাতে হয়। রিফিল কার্টিজের দাম বাংলাদশে খুব সাশ্রয়ী।
প্রিন্টার কার্টিজ কেনার সময় কি কি দেখতে হবে?
প্রিন্টার কার্টিজ কেনার সময় কয়েকটি জিনিস দেখে নেয়া একান্ত ভাবে জরুরী। এই জিনিস গুলো না দেখলে সঠিক ভাবে প্রিন্টার কার্টিজ কেনা যাবে না। একটি প্রিন্টার কার্টিজ কেনার সময় যেসব জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে এগুলো হলোঃ
১। প্রিন্টার কার্টিজ কেনার আগে প্রিন্টার মেশিনের ব্র্যান্ডের পাশাপাশি মডেল সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কেননা মডেলের সাথে কার্টিজ সাপোর্ট না করলে আউটপুট পাওয়া যাবে না ফলে টাকা অপচয় হবে।
২। কি ধরণের কার্টিজ প্রিন্টার সাপোর্ট করে সেটি জেনে নিতে হবে। উদাহরস্বরূপ বলা যায়, টোনার কার্টিজ সাপোর্ট করে এমন প্রিন্টারের জন্য যদি রিফিল কার্টিজ নেয়া হয় তাহলে কার্টিজটি প্রিন্টারে সাপোর্ট করবে না।
৩। কম্প্যাটিবল কার্টিজ কেনার আগে জেনে নিতে হবে কালির মান কেমন। সাধারণত বাংলাদেশের বাজারে কম্প্যাটিবল কার্টিজ গুলো সবচেয়ে সস্তা দামে পাওয়া যায় তবে এর মধ্যেও কিছু কোয়ালিটি আছে। তাই একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও ভাল মানের কম্প্যাটিবল কার্টিজ কেনা উত্তম।
৪। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একাধিক মডেলে সাপোর্ট করে এমন কার্টিজ কেনা সবচেয়ে বেশি জরুরী। অনেক সময় জরুরী মূহুর্তে কালি শেষ হয়ে যেতে পারে তাই কার্টিজ কেনার সময় একাধিক মডেলে সাপোর্ট করে এমন কার্টিজ কিনলে একসাথে কয়েকটি প্রিন্টারে কালি প্রতিস্থাপন করা যাবে।
৫। যে কার্টিজই কিনুন না কেন আগে যাচাই করে নিতে হবে। থার্ড পার্টি কার্টিজের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে জেনে নেয়া ভাল।
বাংলাদেশে প্রিন্টার কার্টিজের দাম কত?
বাংলাদেশে প্রিন্টার কার্টিজের দাম শুরু হয় মাত্র ২৫০ টাকা থেকে। এই কালি গুলো তরল হয়ে থাকে। তরল হকালি সাপোর্ট করে এমন প্রিন্টারের জন্য এটি উপযোগী। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের কার্টিজ রয়েছে বাংলাদেশের বাজারে যা অরিজিনাল কার্টিজ, কম্প্যাটিবল কার্টিজ, রিফিল কার্টি নামেও পরিচিত। এগুলোর দাম নির্ভর করে ব্র্যান্ড, কালির ধরণ, কালির পরিমাণ এবং অন্যান্য বিশেষত্বের উপর ভিত্তি করে।