গাড়ি কেনাকাটা
মসৃণ এবং দক্ষ ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য বৈদ্যুতিক মোটরের সাথে পেট্রোল ইঞ্জিন একত্রিত করে নতুন ডিজাইনে তৈরি কৃত গাড়ি হচ্ছে টয়োটা প্রায়াস। টয়োটা প্রায়াস গাড়ি মূলত নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তিযুক্ত, দক্ষ, শক্তিশালী, এবং পরিবেশ বান্ধব গাড়ি। তাছাড়া টয়োটা প্রায়াসে রয়েছে রিজেনারেটিং ব্রেকিং সিস্টেম যা গাড়িটিকে ড্রাইভ করা অবস্থায় ব্যাটারি চার্জ করবে। এছাড়াও রয়েছে স্মার্ট কী সিস্টেম যা চাবি ছাড়া গাড়িতে প্রবেশ এবং ইগনিশন বা ইঞ্জিন স্টার্ট করতে সহায়তা করবে। বর্তমানে, টয়োটা প্রায়াস গাড়ি উন্নত হাইব্রিড প্রযুক্তি, চমৎকার জ্বালানি দক্ষতা, জ্বালানি অর্থ সাশ্রয়, এবং পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশে টয়োটা প্রায়াস গাড়ির দাম কত?
বাংলাদেশে ব্যবহৃত এবং রিকন্ডিশন উভয় ধরনের টয়োটা প্রায়াস গাড়ি পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে টয়োটা প্রায়াস গাড়ীর দাম ২৩,০০,০০০ টাকা থেকে শুরু যা রিকন্ডিশন, হাইব্রিড ফুয়েল সিস্টেম এবং ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১৮০০ সিসি হয়ে থাকে। এছাড়াও গাড়ির মডেল, ডিজাইন এর পাশাপাশি রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম, প্রি-কলিশন কন্ট্রোল, সাউন্ড সিস্টেম এবং স্মার্ট কী সিস্টেম সহ উন্নত প্রযুক্তি উপর ভিত্তি করে বিডিতে টয়োটা প্রায়াস গাড়ীর দামের পার্থক্য হয়ে থাকে। তবে, বর্তমানে বাংলাদেশে স্মার্ট কী সিস্টেম, উন্নত ডিজাইন, ৭ আসন বিশিষ্ট এবং অক্টেন ফুয়েল সিস্টেমে তৈরি টয়োটা প্রায়াস গাড়ির দাম ৩২,০০,০০০ টাকা থেকে শুরু।
টয়োটা প্রায়াস গাড়ির কি কি বিশেষত্ব রয়েছে?
টয়োটা প্রায়াস এমন এক ধরণের হাইব্রিড গাড়ি যা ব্যবহারকারীদের জন্য আরামদায়ক, দক্ষ এবং নিরাপদ ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য উন্নত প্রযুক্তি এবং স্মার্ট ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।
হাইব্রিড পাওয়ারঃ টয়োটা প্রায়াস গাড়ি ইঞ্জিন পরিচালনার জন্য মূলত দুই ধরণের পাওয়ার সিস্টেম রয়েছে। কারণ প্রায়াস গাড়ি পেট্রোল ইঞ্জিন এবং বৈদ্যুতিক মোটরচালিত ইঞ্জিন উভয়ই পাওয়ার সিস্টেম দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। ফলে টয়োটা প্রায়াস গাড়ি ড্রাইভ করে চমৎকার জ্বালানী দক্ষতা পাওয়া যাবে এবং পরিবেশ থাকবে কার্বন ফুটপ্রিন্ট মুক্ত।
রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেমঃ গাড়ি ড্রাইভ করার সময় মূলত ব্রেক কষার ফলে শক্তির অপচয় হয়। তবে প্রায়াস গাড়িতে রয়েছে উন্নত রিজেনারেটিং ব্রেকিং টেকনোলোজি যা ব্রেক করার সময় নষ্ট হওয়া শক্তিকে ব্যাটারি রিচার্জ করতে সহায়তা করবে। যার ফলে গাড়ির কর্ম দক্ষতা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
স্মার্ট কী সিস্টেমঃ টয়োটা প্রায়াস গাড়িতে উন্নত প্রযুক্তির স্মার্ট কী সিস্টেম রয়েছে যা মূলত চাবি ছাড়াই গাড়িতে প্রবেশ এবং ইঞ্জিন স্টার্ট করতে সহায়তা করবে। এছাড়া কী সিস্টেমে সেন্সর রয়েছে যা সহজে ড্রাইভারকে শনাক্ত করবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির দরজা খুলে যাবে।
টাচস্ক্রিন ডিসপ্লেঃ বিনোদন এবং নেভিগেশন সিস্টেমে সহজে অ্যাক্সেস করার জন্য টয়োটা প্রয়াস গাড়িতে রয়েছে বড় টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে।
লেন চেঞ্জ এলার্ট সিস্টেমঃ টয়োটা প্রায়াস গাড়িতে রয়েছে লেন পরিবর্তনের এলার্ট সিস্টেম। যা মূলত গাড়ির লেন পরিবর্তন করার সময় গাড়ির ড্রাইভারকে সতর্কতা প্রদান করবে।
ক্রুইজ কন্ট্রোলঃ টয়োটা প্রায়াস গাড়িতে রয়েছে ক্রুজ কন্ট্রোল সিস্টেম যার ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির গতি সামঞ্জস্য করে রাস্তায় অন্যান্য গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
প্রি-কলিশন সিস্টেমঃ সম্ভাব্য সংঘর্ষ শনাক্ত করার পাশাপাশি গাড়ির ড্রাইভারকে সতর্ক করার জন্য টয়োটা প্রায়াসে রয়েছে প্রি-কলিশন সিস্টেম। তাছাড়া এই সিস্টেমটি সংঘর্ষ থেকে নিরাপদ রাখতে ইমারজেন্সি ব্রেক করতে সহায়তা করবে।
ব্লাইন্ড স্পট মনিটরঃ কোয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ কিংবা অন্ধকার স্থানে গাড়ি শনাক্ত করার পাশাপাশি ড্রাইভারকে সতর্কতা করার জন্য টয়োটা প্রায়াসে ব্লাইন্ড স্পট মনিটরিং সিস্টেম রয়েছে।
জেবিএল সাউন্ড সিস্টেমঃ বিনোদনের জন্য গুণগত মান সম্পন্ন প্রিমিয়াম জেবিএল সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে টয়োটা প্রায়াস গাড়িতে।
পরিবেশ বান্ধবঃ টয়োটা প্রায়াস গাড়িটি পরিবেশ বান্ধবভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। কারণ এতে জ্বালানী তেলের পরিবর্তে বৈদ্যুতিক মোটর ইঞ্জিন ব্যবহার করে চালানোর সুবিধা রয়েছে। যা জ্বালানি নির্গত করে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে না।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায়, বর্তমানে বিডিতে গ্রাহকদের মাঝে টয়োটা প্রায়াস গাড়ি ভালো জনপ্রিয়তা পেয়েছে।