ডায়াবেটিস মেশিন কেনাকাটা
শরীরের ডায়াবেটিসে সুগারের পরিমান নির্ণয় করার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে গ্লুকোমিটার। যাদের ডায়াবেটিসে আছে তাদের যখন স্বাভাবিক নিয়মের ব্যত্যয় হয় তখন শরীরে গ্লুকোজের পরিমানও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পরে। এসময় শরীরের সুগারের পরিমান জানার জন্য প্রয়োজন একটি গ্লুকোমিটার।
স্বয়ংক্রিয় কোডিংঃ প্রতিটি টেস্ট স্ট্রিপ শুরু করার আগে কোডিং ইনপুট দিতে হয় যাতে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় এগুলোকে ম্যানুয়াল কোডিং বলে। তবে কিছু মেশিন আছে অটো কোডিং সাপোর্ট করে তার মানেই এগুলো নিজ থেকেই স্ট্রিপ অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারে।
ডেটাঃ গ্লুকোমিটার দিয়ে গ্লুকোজ পরীক্ষা করার পর এর তথ্য সেভ করে রাখার জন্য ডেটা স্টোরেজের প্রয়োজন হয়। যাতে নির্দিষ্ট সময় পর পর পূর্বের ফলাফলের সাথে তুলনা করে বর্তমান পরিস্থিতি নির্ণয় করা যায়। তাই বেশি তথ্য জমা রাখা যায় এমন গ্লুকোমিটার কিনতে হবে।
পরীক্ষার সময়ঃ ডায়বেডিস বেড়ে গেলে প্রতিদিন কয়েকবার করে পরিক্ষা করতে হয়। তাই একটু দ্রুত পরিক্ষা করে এমন মেশিন সুবিধা প্রদান করবে।
রক্তের নমুনার পরিমানঃ বর্তমান সময়ের গ্লুকোমিটারের পরীক্ষার জন্য খুব সামান্য পরিমানের রক্তের প্রয়োজন হয়। পরিমাপের দিক থেকে তা মাত্র ১ মাইক্রো লিটারের চেয়েও কম। এতে করে যারা ডায়াবেডিস পরিক্ষা করাবেন তাদের পক্ষে এটি খুব সামান্য পরিমানের কষ্টকর হবে এবং রক্তের অপচয় ও কম হবে। তাই মেশিনটি যেন খুব কম রক্তেও ভাল ফলাফল দেয় এমন কেনা উচিত।
বাজেটঃ বাংলাদেশে একটি ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের মাত্র ৬০০ টাকা তবে মেশিন কেনার আগে তার স্ট্রিপের দাম ও সহজলভ্যতা দেখে নেওয়া ভাল।