সাইকেল কেনাকাটা
বেবি বাইসাইকেল মূলত আকর্ষণীয় ডিজাইনের পাশাপাশি আকারের ছোট হয়ে থাকে, যা বাচ্চাদের সাইকেল চালানো শিখানোর জন্য উপযুক্ত। এই ধরনের সাইকেল বিডিতে টডলার সাইকেল বা ব্যালেন্স বাইসাইকেল নামেও পরিচিত। তাছাড়া, নিরাপদ রাইডিং অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য বাচ্চাদের সাইকেল সাধারণত সামঞ্জস্যযোগ্য আসন, হ্যান্ডেলবার সহ মজবুত ফ্রেম দিয়ে ডিজাইন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে, গ্রাহক চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী আকর্ষণীয় ডিজাইন, নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত এবং ভিন্ন ভিন্ন সাইজের দুরন্ত, হিরো, এটলাস, ভেলোস এবং ওয়ালটন সহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের বেবি সাইকেল বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।
বেবি বাইসাইকেলের দাম কত?
বাংলাদেশে বেবি বাইসাইকেলের দাম সাধারণত ৪,৮০০ টাকা থেকে শুরু, যা ছোট বাচ্চাদের বাইসাইকেল চালানো শিখার জন্য উপযুক্ত। তাছাড়া, বাংলাদেশে বেবি বাইসাইকেলের দাম মূলত ব্র্যান্ড, সাইজ, ডিজাইন এবং ফিচার সমূহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। এছাড়াও, ৩-৮ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য আকর্ষণীয় ডিজাইনের উচ্চতর কার্বন ইস্পাত দিয়ে তৈরি বেবি বাইসাইকেল ৬,৫০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
বেবি বাইসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে কি কি দেখতে হবে?
বেবি বাইসাইকেল কেনার আগে বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে যেন বাচ্চার পছন্দ অনুযায়ী উপযুক্ত হয়।
সাইজ ও ফিটঃ বাচ্চাদের বাইসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে সঠিক সাইজের বাইসাইকেল বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাশাপাশি বাচ্চাদের বয়স, উচ্চতা এবং ইনসিম পরিমাপ বিবেচনা করতে হবে। তাছাড়া, বাচ্চা আরামদায়কভাবে বেবি বাইসাইকেল রাইড করার সময় যেন পা মাটিতে স্পর্শ করতে পারে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও, বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে বেবি বাইসাইকেলের সিট এবং হ্যান্ডেলবার উচ্চতা সামঞ্জস্য করা যাবে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
বিল্ড কোয়ালিটিঃ বেবি বাইসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে বাইসাইকেলের বিল্ড কোয়ালিটি মজবুত, সুগঠিত এবং টেকসই উপকরণ থেকে তৈরি কিনা যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যবহারে আরামদায়ক রাইড সুবিধা প্রদানের জন্য শক্তিশালী ফ্রেম এবং নির্ভরযোগ্য ফিচার যেমন ব্রেক, প্যাডেল সহ অন্যান্য নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে৷
উপকরণঃ বাচ্চাদের বাইসাইকেল সাধারণত স্টিল বা অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। স্টিলের বেবি বাইসাইকেল যথেষ্ট কম দামে পাওয়া যায়, যা টেকসই এবং ভারী হয়ে থাকে। অন্যদিকে অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি বেবি বাইসাইকেল হালকা এবং মরিচা প্রতিরোধী হয়ে থাকে তবে দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
গিয়ারঃ বেশিরভাগ বেবি বাইসাইকেলে একক গিয়ার সম্পন্ন হয়ে থাকে। তবে, একাধিক গিয়ার যুক্ত বেবি বাইসাইকেলও বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। তবে, গিয়ার যুক্ত বেবি বাইসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে শিশুর বাইসাইকেল চালানোর দক্ষতা যাচাই করে নেওয়া উচিত।
বাইসাইকেলের ওজনঃ ছোট বাচ্চাদের জন্য ভারী সাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে থাকে। পাশাপাশি বেবি বাইসাইকেল ব্যালেন্স করে চালানোও কষ্টসাধ্য হয়। তাই, বাচ্চাদের জন্য সুবিধাজনক ওজনের বেবি বাইসাইকেল বাছাই করতে হবে।
টায়ারঃ বাচ্চাদের আরামদায়ক সাইকেলিং সুবিধা প্রদানে বেবি বাইসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে টায়ার যাচাই করতে হবে। রাবার টায়ার যুক্ত বেবি বাইসাইকেল অসমান রাস্তায় মসৃণ রাইড সুবিধা প্রদান করে। অন্যদিকে, ফোম বা শক্ত রাবারের টায়ার যুক্ত বেবি বাইসাইকেল পাংচার-প্রুফ হয়ে থাকে, তবে রাইড করার ক্ষেত্রে কিছুটা কম আরামদায়ক হয়ে থাকে।