ব্যাটারি কেনাকাটা
বাংলাদেশ একটি প্রগতিশীল দেশ। আর এই প্রগতিশীল দেশে চলছে বিভিন্ন যানবাহন, বৈদ্যুতিক সংযোগের ক্ষেত্রে আইপিএস, ইউপিএস, সোলার প্যানেল, ভ্যান, ক্যামেরা, টর্চ লাইট, অটো রিকশা আরও বিভিন্ন সামগ্রীতে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় ব্যাপক ভাবে। এগুলোর জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যাটারি। ব্যাটারি না থাকলে এসকল সামগ্রী একদমই অচল। এগুলোর জন্য বাংলাদেশে অনেক ভালো মানের ব্যাটারি পাওয়া যায় কম দামে পাওয়া যায় কারন এগুলো নিজদেশেই উৎপাদিত হয়।
বাংলাদেশে ব্যাটারির দাম কত?
বাংলাদেশে ব্যটারির দাম ৯০০ টাকা থেকে শুরু এবং এটি একটি লিড-অ্যাসিড ও ১২ ভোল্ট ব্যাটারি। তবে ব্যাটারির দাম নির্ভর করে কি ধরনের ব্যটারির এবং কোন কাজে ব্যবহৃত হবে।
কি কি কাজে ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়?
ব্যাটারির কাজ এবং বৈশিষ্ট্য মিলে কয়েক প্রকারের ব্যাটারি পাওয়া যায় বাংলাদেশে যেমন গাড়ির ব্যাটারি, বাইক ব্যাটারি। এবার ব্যাটারির পরিচিত সম্পর্কে আলোচনা করা যাকঃ
যানবাহনের জন্য ব্যাটারিঃ
বাংলাদেশে প্রাইভেট কার, বাস, ট্রাক, বাইক, ভ্যান বেশি চলাচল করে। এদের একেকটির জন্য একেকরকম ব্যাটারি পাওয়া যায়, যেমনঃ বাইক, ভ্যান বা অটো রিক্সার ক্ষেত্রে ১২ ভোল্টের ব্যাটারি যথেষ্ট তবে এই ১২ ভোল্টের মধ্যে ব্যাটারি এম্পিয়ারের ভিন্নতা রয়েছে। এই এম্পিয়ার নির্ভর করে ব্যবহারের সময়ের উপর। বেশিক্ষণ ব্যবহারের জন্য ১৪০ এম্পিয়ার ব্যাটারি আদর্শ। আবার গাড়ি, বাস, ট্রাক এগুলোর জন্য ১২ ভোল্টের ব্যাটারি হলে যথেষ্ট হবে তবে এম্পিয়ারের ধারণ ক্ষমতা ১৪০ এম্পিয়ারের অধিক হতে পারে ব্যবহারের উপর নির্ভর করে।
আইপিএস ব্যবহারে ব্যাটারিঃ
বাংলাদেশে অনেকেই আইপিএস এর সাথে পরিচিত। আইপিএস সঞ্চালন হতে যে শক্তি দরকার তা প্রদান করে আইপিএসে ব্যবহার করা ব্যাটারি। এই আইপিএস ব্যাটারি বিভিন্ন ক্যাপাসিটির হয়ে থাকে। ক্যাপাসিটির ভিন্নতার উপর নির্ভর করে আইপিএস ব্যবহারকৃত স্থানে কত গুলো ডিভাইজে বৈদ্যুতিক শক্তি প্রদান করবে তা নির্ধারণ করা হয়। আইপিএসের জন্য ব্যবহৃত ব্যটারিগুলো সাধারণত ১০০ এমপ, ১৩০ এমপ, ১৫০-১৬৫ এমপ, ২০০ এম্পের হয়ে থাকে এবং এগুলোর দাম ক্যাপাসিটি ও ব্রান্ডের উপর নির্ভর করে। আর আইপিএসে ব্যবহৃত দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারিকে টিউবুলার ব্যাটারি বলে যেগুলো হাই পাওয়ারের হয় এবং সাইজের উপর এর দাম নির্ভর করে।
সোলার ব্যাটারিঃ
সোলার ব্যাটারি মূলত সূর্য থেকে আগত আলো থেকে সোলার প্যানেলের সাহায্যে নিজের মধ্যে চার্জ শোষন করে বিদ্যুৎ প্রদান করে। যেসব স্থানে লোডশেডিং বেশি সেখানে এই সোলার ব্যাটারি গুলো বিশেষ ভাবে উপযোগী।
ইউপিএস ব্যাটারিঃ
ইউপিএস সাধারণত কম্পিউটারের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকলে ইউপিএসের মাধ্যমে কিছুটা বৌদ্যুতিক শক্তি পাওয়া যায় এর মধ্যে থাকা ব্যটারির সাহায্যে। বাংলাদেশে ইউপিএস ব্যাটারি ৭-এম্পিয়ার থেকে শুরু করে ২০০-এম্পিয়ারের ব্যাটারি হয়ে থাকে।
ড্রাই সেল ব্যাটারি কি এবং দাম কত?
এগুলো সাধারণ ব্যাটারির মতই এবং সাধারণত পোর্টেবল ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। ব্যাটারির ক্যাপাসিটির উপর নির্ভর করে বাংলাদেশে এর দাম।
ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার টিপস
ব্যাটারি যে ক্ষেত্রেই ব্যবহার হোক না কেনো অনেকেই বলে থাকে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। নিচে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার কিছু টিপস নিয়ে এবার আলোচনা করা যাকঃ
১। লিড-এসিড ব্যটারির ক্ষেত্রে নিয়মিত এসিড পানির লেভেল পরীক্ষা করতে হবে।
২। ছোট ব্যাটারির ক্ষেত্রে ব্যবহারের পর সংযোগ খুলে রাখতে হবে।
৩। ব্যাটারিতে আশেপাশে যাতে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪। ব্যাটারিকে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
৫। ব্যাটারি যদি ওয়াটারপ্রুফ না হয় তাহলে পানি থেকে দূরে রাখতে হবে।