ব্যাগ কেনাকাটা
ব্যাগ যা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সহ বিভিন্ন জিনিস বহনে আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ডিজাইন ও ধরনের ব্যাগ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে আসছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন উপাদানের তৈরি এবং বিভিন্ন ডিজাইনের ও সাইজের ব্যাগ সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। তাছাড়া, বিডিস্টল.কম থেকে কমদামে বিভিন্ন ডিজাইনের, সাইজের, এবং ধরনের ব্যাগ কেনা যায়।
ব্যাগ এর দাম কত?
ব্যাগের দাম এর নির্মিত উপাদান, ধরণ, ডিজাইন, সাইজ, ইত্যাদির ভিত্তিতি নির্ধারিত হয়। বর্তমানে, বিডিতে ব্যাগের দাম সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু যা একটি স্মুথ কাপড়ের তৈরি মিনি ব্যাকপ্যাক। তাছাড়া, উন্নত গুণমানের ব্যাগ কিনতে কমপক্ষে ৮০০ টাকা খরচ করতে হবে। অন্যদিকে, বিডিতে লেডিস ব্যাগের দাম সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু। তবে, লেদার দ্বারা তৈরি ব্যাগ কেনার জন্য ৩,০০০ টাকার বেশি খরচ করতে হবে।
ব্যাগ কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?
১। পছন্দ অনুসারে ব্যাগের ডিজাইন নির্বাচন করতে হবে।
২। প্রয়োজন অনুসারে ব্যাগে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা রয়েছে কিনা তা বিবেচনায় ব্যাগ নির্বাচন করতে হবে। তবে, ট্রাভেল ব্যাগ কেনার ক্ষেত্রে একটু বড় সাইজের ব্যাগ নির্বাচন করাই উত্তম।
৩। ব্যাগে কয়টি জিপার রয়েছে এবং জিপারের গুণমান বিবেচনা করে ব্যাগ নির্বাচন করতে হবে।
৪। ব্যাগ কেনার আগে অবশ্যই এর সেলাই গুণমান পর্যবেক্ষণ করেতে হবে।
৫। ব্যাগ কোন উপাদান দ্বারা তৈরি এবং এর গুণমান বিবেচনা করে ব্যাগ নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে লেদার, কৃত্রিম লেদার, এবং বিভিন্ন গুণমানের ও ধরনের কাপড় দ্বারা ব্যাগ তৈরি করা হয়। তাই, পছন্দ অনুসারে নির্দিষ্ট উপাদানে তৈরি ব্যাগ নির্বাচন করুন। তবে, লেদার ব্যাগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা যেন বৃষ্টিতে না ভেজে অথবা পানির সংস্পর্শ না আসে সে বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
বাংলাদেশে কয় ধরনের ব্যাগ পাওয়া যায়?
মানুষের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ বাংলাদেশে পাওয়া যায়। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাগের ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
ব্যাকপ্যাকঃ সাধারণত যেসকল ব্যাগ পিঠে বহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে সেসকল ব্যাগ ব্যাকপ্যাক নামে পরিচিত। দীর্ঘ পথ ভ্রমন থেকে শুরু করে কোথাও বেড়াতে গেলে ব্যাকপ্যাক হলো বেশির ভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ। কারন, ব্যাকপ্যাক দ্বারা জিনিসপত্র বহন করা সহজ এবং দেখতেও আকর্ষণীয় দেখায়। বিডিতে ব্যাকপ্যাকের দাম এর ডিজাইন, সাইজ, এবং নির্মিত উপাদান এর ভিত্তিতে কমবেশি হয়ে থাকে।
লেডিস ব্যাগঃ ল্যাডিস ব্যাগ বলতে মহিলাদের ব্যবহার উপযোগী হাত ব্যাগকে বোঝায় যা সাধারণত ভেনিটি ব্যাগ নামেও পরিচিত। লেডিস ব্যাগ বা ভেনিটি ব্যাগ এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর আকর্ষণীয় ডিজাইন। যেকোনো জায়গায় যাওয়া আসার ক্ষেত্রে মহিলারা নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লেডিস ব্যাগে বহন করে নিয়ে যায়।
স্কুল ব্যাগঃ স্কুল ব্যাগ মূলত ব্যাকপ্যাক যা স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। স্কুল ব্যাগে তুলনামূলক একাধিক জিপার থাকে। তাছাড়া, স্কুল ব্যাগ বিভিন্ন ডিজাইনের ও সাইজের হয় থাকে যাতে করে সব বয়সের শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুসারে ব্যাগ নির্বাচন করতে পারে। বিডিতে স্কুল ব্যাগের দাম এর গুণমান, সাইজ, ডিজাইনের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে শুরু হয়।
অফিস ব্যাগঃ অফিস ব্যাগ যা সাধারণত এক কাধে ঝুলিয়ে বহন করা হয়। বাসভবন থেকে অফিসে যাতায়াতকালে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করার জন্য অফিস ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত অফিস ব্যাগের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জিম ব্যাগঃ জিম ব্যাগ সাধারণত জিমনেশিয়ামে যাওয়া আসায় প্রয়োজনীয় কাপড় ও জিনিসপত্র বহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। জিম ব্যাগ হলো কাপড় বা চামড়া দিয়ে তৈরি একটি বড় ব্যাগ যাতে সাধারণত একটি আয়তক্ষেত্রাকার ভিত্তি এবং টপ জিপার থাকে। বাংলাদেশে জিম ব্যাগের দাম সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা থেকে শুরু।
লাগেজ বা স্যুটকেসঃ লাগেজ বা স্যুটকেস হলো আয়তক্ষেত্রাকার ব্যাগ যা ভ্রমনকালে প্রচুর জিনিসপত্র এবং কাপড় বহন করা যায়। বাংলাদেশে ব্যাপক হারে লাগেজ বা স্যুটকেস ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে বেশীর ভাগ লাগেজ চাকা বিশিষ্ট্য হয়ে থাকে যা ট্রলি ব্যাগ নামে পরিচিত এবং বহন করা খুবই সহজ। বাংলাদেশে লাগেজ বা স্যুটকেস কিনতে সর্বনিম্ন ১,৮০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা খরচ করতে হবে।
এছাড়াও, প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ডিজাইনের ছোট বড় ব্যাগ পাওয়া যায় যা বিভিন্ন নামে বাংলাদেশে পরিচিতি লাভ করছে।