আর্চওয়ে গেট কেনাকাটা
আর্চওয়ে গেট এক ধরণের দরজা যার মধ্য দিয়ে মানুষ চলাচল করে এবং এটি কারো কাছে মেটাল থাকলে তা শনাক্ত করে ফেলে নিমিষেই। এটির উচ্চতা পর্যাপ্ত হওয়াতে ছোট-বড় মানুষ এবং খুব লম্বা ব্যাক্তিও এর নিচ দিয়ে সহজেই আসা-যাওয়া করতে পারে। এটিকে একটি মূল প্রবেশমুখে স্থাপন করা হয় কেননা সর্বসাধারণের আসা-যাওয়া এখান থেকেই হয়।
আর্চওয়ে গেট কোথায় ব্যবহার করা হয়?
আর্চওয়ে গেইট বা ওয়াক থ্রো মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হয় ওই স্থানগুলোতে যেখানে জনতার আনাগোনা বেশি থাকে। যেমনঃ স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মেলা, মল, বাজার, সুপার শপ, সরকারি বা বেসরকারি অফিস, ব্যাংক সহ বিভিন্ন স্থানে এটি ব্যবহার হয়ে থাকে।
আর্চওয়ে গেট বা ওয়াক থ্রো মেটাল ডিটেক্টরের সুবিধা গুলো কি কি?
আর্চওয়ে গেট ব্যবহারের ফলে কয়েকটি সুবিধা পাওয়া যায়। এ সুবিধা সমূহ নিচে উল্লখ করা হলোঃ
ডিটেকশন জোনঃ
বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন রকমের জোন স্ক্যানিং বিশিষ্ট আর্চওয়ে গেইট পাওয়া যায়। এগুলোর ডিটেকশন জোন বলতে মূলত বোঝায় ঐ দরজাটি ঠিক কতটি ভাগে একজন ব্যক্তিকে স্ক্যান করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ৬ জোন বিশিষ্ট একটি দরজা একজনকে ৬ ভাগে ভাগ করে স্ক্যান করে দেখবে শরীরে মেটাল কিছু আছে কিনা। স্ক্যান করার পর যদি পায়, তবে এটি শব্দ করে জানিয়ে দেবে। এছাড়াও বিভিন্ন ডিটেকশন জোন স্মপন্ন আর্চওয়ে গেট বা ওয়াক থ্রো মেটাল ডিটেক্টর আছে বাংলাদেশে। এগুলো শরীরের কোন অংশে মেটাল পাওয়া গেছে তা এই দরজার সাইড বডিতে থাকা লাইটের দ্বারা সংকেত দিয়ে দিবে।
পাওয়ারঃ
মূলত পাওয়ার এবং চার্জিংয়ের মাধ্যমে কাজ করে এই মেটাল ডিটেকটরগুলো। এটির পাওয়ার খরচ খুবই কম যেমনটা একটি মোবাইল এবং ল্যপটপ চালাতে দরকার পরে। ৩৫ ওয়াট পাওয়ার ব্যবহার করে এটি পরিচালিত হয় যা এত বড় যন্ত্রের তুলনায় খুবই কম।
অন্যান্য বৈশিষ্ট্যঃ
এটিতে মেটাল ডিটেকশন ছাড়াও কতজন ভিতরে গেল এবং বের হল, সময়, তাপমাত্রা, বিদ্যুৎ ছাড়া পরিচালন সুবিধা সহ এটি কাস্টোমাইজ করে সুবিধামত ব্যবহার করা যায়।
বাংলাদেশে আর্চওয়ে গেটের দাম কত?
বাংলাদেশে যেসকল আর্চওয়ে গেট ব্যবহার করা হয় এগুলোর দাম সাধারণত ৪০,৬০০ টাকা থেকে ৫,০০,০০০ টাকার মধ্যে হয়। বাংলাদেশে একটি আর্চওয়ে গেট বা ওয়াক থ্রো মেটাল ডিটেক্টরের দাম নির্ধারিত হয় এর ব্র্যান্ড, মডেল, কতগুলো জোন ডিটেকশন, সাইজ এবং বিশেষত্বের উপর নির্ভর করে। এগুলো হালকা হওয়ায় সহজেই যেকোন স্থানে স্থাপন করা যায়।