এমপ্লিফায়ার কেনাকাটা
এমপ্লিফায়ার হলো এমন একটি বৈদ্যুতিক সার্কিট যা ডিভাইস আকারে বাজারে পাওয়া যায় যেটি কোন ইনপুট সিগন্যালের বৈদ্যুতিক শক্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি স্পীকারে শব্দ তৈরি করতে সাহায্য করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সাউন্ড সিস্টেমের সাথে এমপ্লিফায়ার দেখা যায়।
বাংলাদেশে এমপ্লিফায়ারের দাম কত?
বাংলাদেশে এমপ্লিফায়ারের দাম মাত্র ১১,০০০ টাকা। এটি ৬০ ওয়াটের একটি এমপ্লিফায়ার। এটি ৬.৩ মিলিমিটার ফোন জ্যাক সাপোর্ট করে, আরসিএ প্রযুক্তিতে ইনপুট এবং আউটপুট প্রদান করে। এটি ভলিউম নিয়ন্ত্রণ, এফএম ও বেসকে সঠিক মাত্রায় স্পীকারে প্রদান করতে পারে। একটি মসজিদ অথবা একটি কনভেনশন রুমে স্পীকারকে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক শক্তি এবং উচ্চ মানের অডিও প্রদানে এই এমপ্লিফায়ার রাখবে বিশেষ ভূমিকা।
বাংলাদেশে মিনি এমপ্লিফায়ার কি কাজে ব্যবহৃত হয়?
আকারে ছোট বলে মিনি এমপ্লিফায়ার নামে এটি পরিচিত। শিক্ষক, বিক্রয় প্রচার, ট্যুর গাইড ইত্যাদি কাজের জন্য এটি একটি আদর্শ এপমপ্লিফায়ার। এটি খুব সহজেই কোমরে বাধা যায় বেল্টের সাহায্যে। এতে আরও আছে অনেক বিশেষত্ব। বাংলাদেশে মিনি এমপ্লিফায়ারের দাম মাত্র ৩,০০০ টাকা। এটি জরুরী কোনো নোটিশ প্রদানের জন্য স্পীকারের সাথে এই মিনি এমপ্লিফায়ার চমৎকার ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশে মিনি এমপ্লিফায়ার এর ব্যবহার অনেক দেখা যায়।
সব এমপ্লিফায়ারের গুণাগুণ কি একই রকম?
বাংলাদেশের বাজারে প্রায় প্রতিটি এমপ্লিফায়ারের কাজের ধরণ একই রকম এবং এগুলোর বৈশিষ্ট্যের দিক থেকেও আছে একটির সাথে আরেকটির মিল। তবে বৈশিষ্ট্য প্রায় এক হলেও এরা গুণাগুণের দিক থেকে আলাদা। তাই একটি এমপ্লিফায়ারের গুণাগুণ দেখেই নির্বাচন করা উচিৎ ব্যবহারের জন্য সঠিক এমপ্লিফায়ার। নিচে এমপ্লিফায়ারের কিছু গুণাগুণ তুলে ধরা হলোঃ
ব্যান্ডউইথঃ ব্যান্ডউইথের সাহায্যে এমপ্লিফায়ারে ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ ভালো কাজ করে।
নয়েজঃ আউটপুটে অন্তর্ভুক্ত অযাচিত অতিরিক্ত শব্দের পরিমাণই হলো নয়েজ।
স্লিউ রেটঃ স্লিউ রেট হলো আউটপুট পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা।
গেইনঃ গেইন হলো আউটপুট ইনপুট সিগনালের মাত্রার অনুপাত।
স্ট্যাবিলিটিঃ নিরবিচ্ছিন্ন আউটপুট সরবরাহের ক্ষমতাই হচ্ছে এমপ্লিফায়ারের স্ট্যাবিলিটি।
লাইনেরেটিঃ একটি ইনপুট পাওয়ার কতটুকু আউটপুট পাওয়ারে পরিনত হয় তার অনুপাতই হচ্ছে লাইনেরেটি।
ইফেসিয়েন্সিঃ আউটপুট পাওয়ার কতটুকু শব্দে পরিনত হয় সেটির হারকে ইফেসিয়েন্সি বলে।
আউটপুট ডায়নামিক রেঞ্জঃ বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম কার্যকরী আউটপুট লেভেলের অনুপাতকে আউটপুট ডায়নামিক রেঞ্জ বলে।
বাংলাদেশে কি ধরনের এমপ্লিফায়ারের পাওয়া যায়?
বিশেষত্বের অনুপাতে এমপ্লিফায়ারের অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে এই এমপ্লিফায়ার কেনা উচিত।
পাওয়ার এমপ্লিফায়ারঃ এই ধরনের এমপ্লিফায়ার দিয়ে সব ধরনের স্পিকার চালানো যাবে। এমনকি এটি মাইক, লাউড স্পিকার, এবং সব ধরনের উচ্চ ক্ষমতার স্পিকারে এটি ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশে এটি সর্বত্র পাওয়া যায়।দাম, স্পিকারের ক্ষমতা অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন।
ভয়েস কন্ট্রোল এমপ্লিফায়ারঃ
বিভিন্ন স্পিচকে স্পষ্ট ভাবে স্পীকারে প্রদান করাই হলো ভয়েস কন্ট্রোল এমপ্লিফায়ারের মূল কাজ। বাংলাদেশে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, সেমিনার, মিটিংয়ে ভয়েস কন্ট্রোল এমপ্লিফায়ার বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ভয়েস কন্ট্রোল এমপ্লিফায়ারের দাম অনেক কম।
মিক্সার এমপ্লিফায়ারঃ
কয়েকটি অডিওকে নিখুঁত ভাবে একত্রে স্পীকারে প্রদান করাই হলো মিক্সার এমপ্লিফায়ারের কাজ। বাংলাদেশে মিক্সার এমপ্লিফায়ার গুলো বেশি ব্যবহার হয় বিভিন্ন স্টেজ প্রোগ্রামে। এছাড়াও যেখানে অনেক মানুষ সমবেত হয় বড় কোনো জায়গায় বা খোলা মাঠে তখন মিক্সার এমপ্লিফায়ার ব্যবহার করা হয়।