আলমারি কেনাকাটা
বেড রুমে বহুল ব্যবহৃত ফার্নিচার হলো আলমিরা যাতে জামাকাপড় সহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র সংরক্ষণ ও নিরাপদে রাখা হয়। বাংলাদেশের মানুষ যখন শোবার ঘর সাজানোর কথা ভাবেন, তখন আলমিরাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় কেননা এটি যেমন বেডরুমের আকর্ষণ বৃদ্ধি করে তেমন জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে বেশ কার্যকর। বর্তমানে প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ডিজাইনের ও সাইজের আলমারি বিডিস্টলে.কম এ কমদামে পাওয়া যায়। তাছাড়া, বাংলাদেশে পছন্দমত ডিজাইন ও সাইজে আলমারি কাস্টমাইজ করা যায়।
বাংলাদেশে আলমারির দাম কত?
আজকাল আলমিরার দাম এর ডিজাইন, পাল্লা সংখ্যা, সাইজ, নির্মিত উপাদান, এবং গুণমান এর ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে আলমিরার দাম সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা যা একটি বোর্ডের তৈরি ১-পার্ট আলমিরা। বাংলাদেশে ২-পার্ট আলমারি কেনার জন্য কমপক্ষে ৭,০০০ টাকা খরচ করতে হবে। তাছাড়া, বাংলাদেশে ৩-পার্ট আলমারি কিনতে ১০,০০০ টাকার বেশি খরচ করতে হবে। আলমারির নির্মিত উপাদানে গুণমান যত ভালো হবে এর দাম তত বৃদ্ধি পাবে।
কোন উপাদানের আলমিরা সেরা?
বাংলাদেশে বিভিন্ন উপাদানের তৈরি আলমিরা পাওয়া যায়, বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
কাঠের আলমিরাঃ বাংলাদেশে কাঠের আলমারি যুগ যুগ ধরে জনপ্রিয় কেননা কাঠের আলমারি যেকোনো বেডরুমের সৌন্দর্য বাড়াতে পারে অনায়াসে। কাঠের আলমারি মনমুগ্ধকর ডিজাইন সাথে আসে যা ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকার অন্যতম কারন। তাছাড়া, কাঠের নিজস্ব যে রং থাকে তা হলো একধরনের সতন্ত্র ডিজাইন। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের কাঠের আলমারি কাস্টমাইজ করা যায় যার মধ্যে মেহগনি, সেগুন, আকাশি, এবং গর্জন বেশ জনপ্রিয় এবং এই কাঠের আলমারি বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়। বাংলাদেশে উন্নত গুণমানের কাঠের তৈরি ২-পার্ট আলমারি কেনার জন্য কমপক্ষে ২০,০০০ টাকা খরচ করতে হবে।
বোর্ডের আলমারিঃ বর্তমানে বাংলাদেশে বোর্ডের আলমারির ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা বোর্ডের আলমিরা দামে সস্তা ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের হয়ে থাকে যা বেডরুমকে সজ্জিত করার জন্য উপযুক্ত। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের বোর্ডের আলমিরা পাওয়া যায় যার মধ্যে মালয়েশিয়ান এমএফডি বোর্ড এবং কানাডিয়ান বোর্ড বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশে বোর্ডের তৈরি আলমারি তুলনামূলক অনেক সস্তা।
স্টিলের আলমারিঃ সবচেয়ে মজবুত ও নিরাপদ আলমারি হলো স্টিলের আলমারি। বাংলাদেশে সাধারণত সরকারি বা বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সহ বাসা-বাড়িতেও স্টিলের আলমারি ব্যবহার করা হয়। মূলত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র এবং জিনিসপত্র অতিরিক্ত নিরাপদে রাখার জন্য স্টিলের আলমারি ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া, স্টিলের আলমারি যুগের পর যুগ স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায়। বাংলাদেশে বেশীর ভাগ সময় প্রয়োজন অনুসারে একাধিক পার্ট সম্পন্ন স্টিলের আলমারি কাস্টমাইজ করতে দেখা যায়। বাংলাদেশে স্টিলের তৈরি ২-পাল্লা আলমারি সংগ্রহ করতে সর্বনিম্ন ২৫,০০০ টাকা খরচ করতে হবে। তবে, স্টিল এর পুরুত্ব ও গুণমানের ভিত্তিতে আলমারির দাম কমবেশি হয়ে থাকে।
প্লাস্টিক আলমারিঃ প্লাস্টিক আলমারি আকর্ষণীয় ডিজাইনের সাথে আসে এবং এই আলমারি তুলনামূলক অনেক হালকা ওজনের হয়ে থাকে বিধায় বাংলাদেশে ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাচেলার বা ছোট ফ্যামেলিগুলো প্লাস্টিক আলমারি ব্যবহারকে প্রাধান্য দিচ্ছে যার অন্যতম কারন হলো বহনযোগ্যতা এবং সস্তা দাম।
বাংলাদেশে পার্ট আলমারি কতটা জনপ্রিয়?
বাংলাদেশে কাঠের, বোর্ডের, স্টিলের, এবং প্লাস্টিকের তৈরি ১-পার্ট আলমিরা, ২-পার্ট আলমিরা, ৩-পার্ট আলমিরা, ৪-পার্ট আলমিরা পাওয়া যায়। তবে, বিশেষ করে ২-পার্ট আলমিরা এবং ৩-পার্ট আলমিরা বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় এবং চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করছে। তাছাড়া, বাংলাদেশে ৫-পার্ট এবং ৬-পার্ট আলমিরা প্রয়োজনে কাস্টমাইজ করে নেওয়া যায়।
আলমারি কেনার আগে কি কি বিবেচনা করতে হবে?
১। আলমিরা কেনার আগে প্রয়োজনীয়তা অনুসারে কত পাল্লার আলমিরা কিনবেন তা বিবেচনা করতে হবে।
২। আলমিরা কেনার আগে এর ডিজাইন বেডরুমের অভ্যন্তরের সাথে সামঞ্জস্য কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।
৩। বেশী বড় আলমিরা কেনার ক্ষেত্রে বেডরুমে পর্যাপ্ত জায়গা আছে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে। অন্যদিকে, ঢাকা শহরে অনেক বাড়ির সিঁড়ি সংকুচিত থাকে তাই বড় আলমিরা কেনার আগে এর সার্বিক দিক বিবেচনা করতে হবে।
৪। বাংলাদেশে বিভিন্ন উপাদানের তৈরি আলমিরা কিনতে পাওয়া যায় তাই, পছন্দ ও বাজেট অনুসারে কোন উপাদানের তৈরি আলমিরা কিনবেন তা বিবেচনা করতে হবে।
৫। প্রয়োজনীয়তা অনুসারে পর্যাপ্ত লক সিস্টেম আছে কিনা তা বিবেচনা করে আলমিরা নির্বাচন করতে হবে।