শাওমি এসি কেনাকাটা
শাওমি কর্পোরেশন এর অন্যতম বিশেষ পণ্য হলো শাওমি এসি। শাওমি এসিতে উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে এবং তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায় ফলে এশিয়া মহাদেশে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। তাছাড়া, শাওমি এসি ব্যবহারে বৈদ্যুতিক সাশ্রয় হয় ফলে ব্যবহারকারীরা কম খরচে প্রতিনিয়ত শাওমি এসির ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে পারে। শাওমি এসি বিশেষ করে বাসা বাড়ি ও অফিসের নির্দিষ্ট রুমের জন্য উপযুক্ত। এবং, বর্তমানে ১-টন, ১.৫-টন, এবং ২-টন ক্যাপাসিটির শাওমি ব্র্যান্ডের এয়ার কন্ডিশনার বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
কয়টি সিরিজের শাওমি এসি বাংলাদেশে পাওয়া যায়?
বর্তমানে তিনটি সিরিজের শাওমি এসি বাংলাদেশে পাওয়া যায়। যা হলোঃ ১। শাওমি ভিওমি এসি সিরিজ, ২। শাওমি মিজিয়া এসি সিরিজ, এবং ৩। শাওমি এমআই ইনভার্টার এসি সিরিজ। শাওমি এয়ার কন্ডিশনারের প্রতিটি সিরিজে মধ্যে নির্দিষ্ট ডিজাইন এবং প্রযুক্তিগত কিছু ভিন্নতা রয়েছে। তাই, প্রয়োজন অনুসারে শাওমি এসির সিরিজের বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যর এসি সংগ্রহ করতে হবে। তবে, বিশেষ করে শাওমি ভিওমি সিরিজের এসি বাংলাদেশের মানুষের মাঝে অধিক জনপ্রিয়তা।
বাংলাদেশে শাওমি এসির দাম কত?
বর্তমানে শাওমি এয়ার কন্ডিশনারের ক্যাপাসিটি, প্রযুক্তি, এবং ফিল্টার সিস্টেমের ভিত্তিতে দাম নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশে শাওমি এসির দাম ৩০,৫০০ টাকা থেকে শুরু যা একটি ১-টন ক্যাপাসিটির এসি, এবং ১০০ স্কোয়ার ফিট রুমের জন্য উপযুক্ত। এছাড়া, বাংলাদেশে শাওমি ইনভার্টার এসি পাওয়া যায় যার দাম কিছুটা বেশি।
কেন শাওমি এসি কিনবো?
শাওমি এসির উন্নত প্রযুক্তি, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি, এবং অন্যান্য বিশেষ বৈশিষ্ট্যর কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে এসি ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপক সুপরিচিত। শাওমি এসির বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনাঃ
বায়ুপ্রবাহ মোডঃ শাওমি এসিতে ৪টি বায়ু প্রবাহ মোড থাকে ফলে, বাহ্যিক আবহাওয়ার ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুসারে ঠান্ডা বায়ুপ্রবাহ কমানো ও বাড়ানো যায়। রুমকে যেকোনো পরিস্থিতিতে শীতল রাখতে বায়ুপ্রবাহ মোডগুলো কার্যকরী।
তাপমাত্রা সামঞ্জস্যঃ শাওমি এসির মাধ্যমে রুমের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠানো ও নামানো যায়। তবে, বাহ্যিক আবহাওয়ার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে এসি তাপমাত্রা বজায় রাখতে হবে। কেননা অত্যধিক গরম তাপমাত্রায় এসি সর্বনিম্ন ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখলে এসির কম্প্রেসারে ক্ষতি হতে পারে।
হাই-ডেন্সিটি ফিল্টারঃ শাওমি এসিতে হাই-ডেন্সিটি ফিল্টার থাকে ফলে বাতাস থেকে ক্ষুদ্রতম আণুবীক্ষণিক ধূলিকণা অপসারণ করতে পারে এবং দূষিত বায়ুকে বিশুদ্ধ বাতাসে রূপান্তরিত করে। তাই, শাওমি এসি এজমা রোগির কক্ষে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
অ্যানার্জি এফিসিয়েন্টঃ শাওমি এয়ার কন্ডিশনারগুলোতে ৫-তারকা অ্যানার্জি এফিসিয়েন্ট রেটিং রয়েছে তাই তুলনামূলক অ্যানার্জি এফিসিয়েন্ট হয়ে থাকে ফলে ৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। তবে, প্রতিনিয়ত ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং এর উপরের তাপমাত্রায় শাওমি এসি চালানো হয় তাহলে বিদ্যুৎ খরচ আরো কম হবে। তাছাড়া, অত্যধিক গরমে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে তাপমাত্রায় এসি চালানো হলে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা বেশি হবে।
স্বয়ংক্রিয় বৈশিষ্ট্যঃ শাওমি এয়ার কন্ডিশনারে স্বয়ংক্রিয় রিস্টার্ট সিস্টেম রয়েছে ফলে, অত্যধিক লোডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিস্টার্ট নিতে পারে। এছাড়াও, স্বয়ংক্রিয় স্লিপ সিস্টেম রয়েছে যা রাতে ঘুমানোর সময় রুমের তাপমাত্রার অনুপাতে এসির তাপমাত্রা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমাতে ও বাড়াতে পারে।
ডিজাইনঃ শাওমি এসি আকর্ষণীয় ডিজাইনের সাথে প্রদর্শিত হয় যা অফিস বা বাড়ির রুমের যেকোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ ডিজাইনের সাথে মানানসই।