বহনযোগ্য Ac কেনাকাটা
এসি কেনার ইচ্ছা কম বেশি সবারই থাকে কিন্তু এসি ইন্সটলেশন ঝামেলা অনেকেরই পছন্দ না। তবে বর্তমানে পোর্টেবল এসি পাওয়া যায় বাংলাদেশের সর্বত্র স্থানে। এই এসি গুলোকে সহজেই এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নেয়া যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটতে কোনো ইন্সটলেশন খরচও নেই। অফিস, বাসা এ জাতীয় বিভিন্ন কক্ষের জন্য পোর্টেবল এসি ভীষণ উপযোগী। বাংলাদেশে গ্রী, মিডিয়া, এলজি, জেনারেল, শাওমি, প্যানাসনিক, হিটাচি, ক্যারিয়ার সহ বিভিন্ন মডেলের পোর্টেবল এসি সুলভ দামে পাওয়া যায়।
পোর্টেবল এসির কার্যক্ষমতা কেমন?
বর্তমানের পোর্টেবল এসির কার্যক্ষমতা স্প্লিট এসি বা ওয়াল মাউন্ট এসির চাইতে কোনো অংশে কম না। কেননা বর্তমানের প্রতিটি পোর্টেবল এসিতে স্প্লিট এসি বা ওয়াল মাউন্ট এসির মতো বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ১ টন থেকে শুরু করে ৫ টনের মতো শক্তিশালী পোর্টেবল এসি রয়েছে বাংলাদেশের বাজারে।
পোর্টেবল এসি গুলোকে নিয়ন্ত্রণ কীভাবে করতে হয়?
পোর্টেবল এসি গুলো রিমোটের সাহয্যে পরিচালিত হয়। পোরর্টেবল এসিগুলোর রিমোট খুব শক্তিশালী এবং উন্নত মানের হয়ে থাকে ফলে কিছু দূর থেকেও রিমোটের বোতাম চাপলে এসিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় খুব সহজেই। শুধু তাই নয় পোর্টেবল এসি গুলোতে উপরের দিকে কিছু বাটন থাকে যার সাহায্যে বাতাস কমানো বাড়ানো যায়, কুলিং সিস্টেমও নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং বাতাস কোথায় দরকার সেটিও সেট করে নেয়া যায়।
১ টন পোর্টেবল এসি কতটুকু জায়গা শীতল রাখতে পারবে?
১ টন পোর্টেবল এসি ৮০ বর্গফুট থেকে ১২০ বর্গফুট জায়গা শীতল রাখতে পারে। শুধু তাই নয় ১ টনের এই এসিগুলো খুব দ্রুত রুমকে শীতল করতে পারে এবং বিদ্যুৎ খুব কম খরচ করে। ১ টন পোর্টেবল এসি গুলোতে ইনভার্টার এবং নন ইনভার্টার দুইটি প্রযুক্তির সুবিধাই রয়েছে ফলে পছন্দ মতো কেনা যায়।
৫ টন পোর্টেবল এসির কর্মক্ষমতা কেমন?
৫ টন পোর্টেবল এসি খুবই শক্তিশালী ক্ষমতা সম্পন্ন এসি। এগুলো যেকোনো অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, মিটিং প্লেসে ব্যবহারের জন্য আদর্শ মানের। ৫ টনের পোর্টেবল এসিগুলো বেশির ভাগ ইনভার্টার প্রযুক্তির হয় তবে নন-ইনভার্টার প্রযুক্তির পোর্টেবল এসিও পাওয়া যায় বাংলাদেশের বাজারে। খুব অল্প সময়ে অনেক স্থান জুড়ে শীতল করে দিতে পারে ৫ টন পোর্টেবল এসি।
বাংলাদেশে পোর্টেবল এসির দাম কত?
বাংলাদেশে পোর্টেবল এসির দাম শুরু হয় মাত্র ৩৩,০০০ টাকা থেকে। এটি একটি ১ টনের এসি। ১২০ বর্গফুটের একটি রুমকে এই পোর্টেবল এসি মুহুর্তের মধ্যেই শীতল করে দিতে পারে। এছারাও ১.৫ টন, ২ টন, ২.৫ টন, ৪ টন, ৫ টন পোর্টেবল এসি বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় যার দাম খুবই সস্তা।
পোর্টেবল এসির কেনার আগে ও পরে কি কি জেনে নিতে হবে?
পোর্টেবল এসির কেনার আগে কিছু জিনিস জেনে রাখা প্রয়োজন কেননা পোর্টেবল এসি কেনার সময় এ জিনিস গুলো জানা না থাকলে সঠিকভাবে কেনা যাবে না কাঙ্খিত পোর্টেবল এসিটি। আর কেনার পরেও থাকে কিছু নিয়ম তাতে সবার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। তাই নিচের বিষয় গুলো জেনে নিনঃ
- প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে পোর্টেবল এসি কোথায় থাকবে বা কোথায় ব্যবহার হবে। যদি কোনো রুমে ব্যবহার হয় তাহলে জেনে নিতে হবে রুমের আকৃতি কেমন। আর যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য নিতে হয় তাহলে স্থান অনুসারে পোর্টেবল এসির টন নির্বাচন করে কিনতে হবে।
- দরকার ছাড়া পোর্টেবল এসি না চালানোই ভাল কেননা এতে বিদ্যুৎ অপচয় হবে অনেক। তবে পোর্টেবল এসি গুলো অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
- সবসময় বহনযোগ্য এসিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিৎ। ধুলাবালি মুক্ত না রাখলে বাতাস কমে যাবে।
- দরজা জানালা খোলা রেখে পোর্টেবল এসি চালানো উচিৎ নয়। নির্দিষ্ট স্থান থেকে বেশি এলাকা জুড়ে বাতাস ছড়ালে পর্টেবল এসির কম্প্রেসার নষ্ট হয়ে যাবে।
- অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন এসব থেকে পোর্টেবল এসিকে দূরে রাখতে হবে।