প্যানাসনিক এসি কেনাকাটা
পৃথিবীতে মেরুকরণের ফলে বছরের প্রায় লম্বা সময় ধরে প্রায় প্রত্যেক দেশেই গরমের তীব্র দাবদাহ চলে। গরমের স্বস্তির জন্য প্রায় সকল বাসা বাড়ি, অফিস, ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফ্যান ব্যবহার করলেও গরমে শরীর তেমন ঠান্ডা হয় না বললেই চলে। ফলে ফ্যানের বিকল্প হিসেবে এসি ব্যবহার করা হয় যা অল্প সময়ে শরীর ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের ভিতরের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নেওয়া যায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচুর এসি থাকলেও জাপানি প্যানাসনিক ব্র্যান্ডের এসি খুবই জনপ্রিয়। কারণ প্যানাসনিক এসি প্রধানত ব্যবহারকারীর জন্য টেকসই এবং স্মার্ট টেকনোলজির সাথে পরিবেশ বান্ধব করে তৈরি করা হয়েছে।
কেন প্যানাসোনিক এসি কিনব?
পরিবেশবান্ধব আর৩২ রেফ্রিজারেন্টঃ আর৩২ রেফ্রিজারেন্ট মূলত ব্যবহার করা হয়েছে প্যানাসনিক ব্র্যান্ডের এসি গুলোতে। যা ওজোন স্তরের উপর খুবই কম প্রভাব ফেলে এবং গ্রীনহাউস গ্যাস কম নির্গমন করে ফলে পরিবেশকে ঝুকি মুক্ত রাখে। ফলে প্যানাসনিক এসি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়। তাছাড়া আর ৩২ রেফিজারেন্ট ব্যবহারের ফলে খুব দ্রুত রুমের মধ্যে তাপ স্থানান্তর করতে পারে এবং কম বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহারে করে। ফলে প্যানাসনিক ব্র্যান্ডের এসিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বলা হয়।
ইকো এআই টেকনোলজিঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন পরিবেশ বান্ধব টেকনোলজি দিয়ে তৈরি প্যানাসনিক এয়ার কন্ডিশনার। ফলে ঘরের তাপমাত্রা এয়ার কন্ডিশনার সহজে জানতে পারে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশনা ছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী ঠান্ডা রাখতে সক্ষম। তাছাড়া এই টেকনোলজি ব্যবহারের ফলে প্রতিটি রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী প্যানাসনিক এয়ার কন্ডিশনারে ক্ষমতার উপর ভিত্তিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পরিবেশ বান্ধব রাখতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে।
কুলিং সিজন পারফরম্যান্স ফ্যাক্টরঃ প্যানাসনিক এয়ার কন্ডিশনার গুলোতে শীতকালে রুমে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইস থেকে রুমে যে তাপ থাকে তা নিয়ন্ত্রণ রাখতে কুলিং সিজন পারফরম্যান্স ফেক্টর ব্যবহার করা হয়েছে। কুলিং সিজন পারফরম্যান্স ফ্যাক্টর মূলত রুমের তাপমাত্রা থেকে কয়েকটি রেটিং নিয়ে থাকে এবং পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার না করে আংশিক ক্ষমতা ব্যবহারে করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ফলে শীতকালে প্যানাসনিক এয়ার কন্ডিশনার রুমে ভিতরের তাপ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং শক্তি সঞ্চয় ব্যবস্থাঃ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন ও শক্তি সঞ্চয় করে রাখার ক্ষেত্রে প্যানাসনিক ব্র্যান্ডের ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার অন্যতম। কারণ প্যানাসনিক ব্র্যান্ডের ইনভার্টার এসি তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে কম্প্রেসারের গতি পরিবর্তন করতে পারে। তাছাড়া প্রচলিত এয়ার কন্ডিশনারের মত প্যানাসনিক ইনভার্টার এসিকে বার বার চালু বা বন্ধ করতে হয় না এবং রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী নিজে থেকে তাপ নিয়ন্ত্রণ করে রাখে ফলে বিদ্যুৎ খরচ অনেকাংশেই কমে যায়। তাছাড়া প্যানাসনিক ইনভার্টার এসি ব্যবহারে তাপমাত্রা কম উঠানামা করার ফলে সবসময় সামঞ্জস্যপূর্ণ ঠান্ডা পাওয়া যায়।
ন্যানো এক্স টেকনোলজিঃ বর্তমানে প্যানাসনিক এসিতে সর্বশেষ ন্যানো এক্স টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। ন্যানো এক্স টেকনোলজি ব্যবহারের ফলে প্যানাসনিক ব্র্যান্ডের এয়ার কন্ডিশনার গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। ন্যানো এক্স টেকনোলজি হচ্ছে মূলত হাইড্রক্সিল র্যাডিকেলকে পানিতে মেশানোর প্রযুক্তি। হাইড্রক্সিল র্যাডিকেল হচ্ছে এক ধরনের প্রাকৃতিক ডিটারজেন্ট যা ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াকে সহজে ধ্বংস করতে পারে। ফলে ন্যানো এক্স টেকনোলজির প্যানাসনিক এসি রুমের পরিবেশ নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং বিশুদ্ধ রাখতে যথেষ্ট দক্ষ।
বাংলাদেশে প্যানাসোনিক এসির দাম কত?
বাংলাদেশে প্যানাসনিক এসির দাম এসির টন ক্যাপাসিটি, টেকনোলজি, ইনভার্টার বা নন-ইনভার্টার ইত্যাদির উপর নির্ভর ৬০,০০০ টাকা থেকে ৬৫,০০০ টাকা মধ্য থেকে শুরু হয়। এছাড়া, বর্তমানে বিডিতে ব্যবহৃত প্যানাসনিক এসির দাম ২৮,০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকার মধ্য থেকে শুরু হয়। তবে, প্যানাসনিক ব্র্যান্ডের ন্যানো এক্স টেকনোলজি যুক্ত এসির দাম ৯০,০০০ টাকা থেকে শুরু।